যখন তুমি বয়ঃসন্ধিতে পা রাখতে যাচ্ছ তখন ধরে নাও যে তোমার মুখে ব্রণ হবে। প্রায় প্রতি ১০ জনের আটজন প্রাক-বয়ঃসন্ধিতে বা বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছে এতে ভোগে। বয়স্কদেরও হয়। তবে আয়নায় চেহারা দেখে যখন দেখবে তোমার গালে বেশ ক্ষতচিহ্ন দাগ দেখা যাচ্ছে তা তোমার কাছে মোটেও সুখকর হবে না। তবে সুখের সংবাদ এই, কয়েকটা সাধারণ পদক্ষেপ নিলে তুমি তা থেকে মুক্তি পেতে পারো।
ব্রণ বা একনি
ত্বকের সমস্যা। সাদা, কালো বা লাল দানা নিয়ে চামড়ায় স্ফীতি। কখনো বা পুঁজ ভর্তি। ত্বকে কিছু ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ছিদ্র আছে। হেয়ার ফলিকসলস। এর মধ্যে তৈলাক্ত পদার্থ সিবাম (যা চুল ও ত্বক মসৃণ রাখে) মজুদ থাকে। বেশির ভাগ গ্রন্থিতে সিবাম যা উৎপন্ন হয় তা সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে। কিন্তু তা যদি বেশি পরিমাণের হয়, জ্যাম লেগে যায়, মৃত ত্বক কোষ ও সর্বোপরি ব্যাকটেরিয়া অণুজীবাণু মিলে ব্রণের সৃষ্টি। চামড়া ভেদ করে তা বেরিয়ে আসে। লালচে ইনফেকশন নিয়েও প্রকাশ পায়, আবার বেশ ভেতরে ঢুকে সিস্ট তৈরি হতে পারে।
বাচ্চাদের বেশি হয়
কোনো কোনো বয়ঃসন্ধির বাচ্চা, যারা বেশি মানসিক চাপে থাকে, তাতে বেশি সিবাম উৎপন্ন হয়। এমনিতে এই সময়ে দেহে যেসব হরমোন বেশি মাত্রায় উৎপন্ন হয় তা সিবামের আধিক্য বাড়ায়। তবে ২০ বছরের দিকে বেশির ভাগের এই ব্রণ সমস্যা থাকে না।
কী করবে
দিনে ১-২ বার তোমার মুখমণ্ডল হালকা গরম জল ও অল্প ক্ষারের সাবান দিয়ে ধুয়ে নাও।
বেশি ঘষা টষা যেন না করো। হাতের তালু দিয়ে পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিয়ো।
ময়েশ্চারাইজার বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে তা যেন তেলযুক্ত না হয়।
যখন মুখ ধোবে তখন যেন পুরো মেকআপ সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার হয়ে যায়।
হেয়ার স্প্রে বা জেল যেন মুখমণ্ডলে না লাগে।
চুল লম্বা হলে তা যেন এখানে ঘষা না দেয়। তৈলাক্ত চুলের সংস্পর্শ হয়ে থাকলে তা বারবার ধুয়ে নাও।
ক্যাপ ও হ্যাট থেকে যেন ঘষা না লাগে।
প্রতিবার ব্যায়াম বা ঘর্মাক্ত কলেবর হওয়ার পর মুখ ধুয়ে নাও।
বারবার মুখে হাত লাগাবে না।
ব্রণ কখনো খুঁটবে না।
মেডিসিন
নির্দেশ মেনে বেনজোইল পার অক্সাইড বা সেলিসাইলিক এসিড ব্যবহার করা যায়। এ ব্যাকটেরিয়া নিধন করে, ত্বকের স্ফীতি কমায়। তবে এসবে অ্যালার্জি আছে কি না প্রথমে সামান্য লাগিয়ে পরখ করে নাও। মেডিসিন সপ্তাহ বা মাসব্যাপী লাগাতে হতে পারে।
বেশিক্ষণ রোদে থেকো না। ঋতুস্রাবের আগে কারও কারও এটা বেড়ে যায়।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারো। অ্যান্টিবায়োটিকসের প্রয়োজনীয়তা থাকতে পারে।
প্রণব কুমার চৌধুরী
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
nisa
ai gorome koto bar gosol kora ucit ? ami procur gami .
underware vison kalo . ki korte pari ?
hater kunui anek kalo . ki korbo ?
koto time niye gosol kora ucit ?
skin koskose hoye gese & whole body dry hoye gese . ki korbo ?
Bangla Health
দিনে একবার করতে পারেন। আর রাতে ঘুমানোর আগে একবার। ঘাম জিনিসটা খারাপ কিছু নয়। শরীরের বর্জ্যপদার্থ বের হয়ে যায়। তবে প্রচুর পানি পান করবেন আর শাকসবজি বেশি করে খাবেন, রাত না জেগে অনেক ঘুমাবেন রাতে। এতে ত্বক ভালো থাকবে।
ত্বকের রঙ নিয়ে চিন্তা করবেন না। মানুষ হিসাবে ভালো হলেই সব ঠিক।
১০ মিনিটের মধ্যে গোসল শেষ করা উচির। এর বেশি হলে ত্বকের মোলায়েম ভাব কমে যাবে। গোসল সেরেই সাথে সাথে সারা শরীর বডি লোশন মাখাতে পারেন। এতে শুষ্ক ভাব কমে যাবে।