গ্রীষ্মের তীব্র গরমে তরমুজ এই সময়ের জন্য উপযুক্ত ফল। এতে প্রায় ৯৫ শতাংশ পানি। তাই ডায়রিয়ার পরে, বমি করার পরে বা যাঁরা অতিরিক্ত রোদে থাকেন, তাঁদের জন্য তরমুজ জরুরি উপকরণ। এতে নিম্ন মাত্রার ক্যালরি, অতি উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
প্রচুর পরিমাণে রসাল ফল হওয়ায় কিডনির জন্য বয়ে আনে সুফল। তরমুজ রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে কিডনিতে পাথর, ইনফেকশনসহ যাবতীয় অসুখগুলো তুলনামূলক কম হয়। আর কিডনি ভালোভাবে কাজ করার জন্য দেহের বর্জ্যগুলো সঠিকভাবে বের হয়ে যায়।
আর উপকারী ভিটামিন ‘সি’র বসতি এই ফলে। ভিটামিন ‘সি’ প্রতিরোধ করে অ্যাজমা বা হাঁপানি, ঋতুজনিত সর্দি, টনসিল, গরম-ঠান্ডার জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, অসটিওআর্থ্রাইটিস, অর্থাৎ শরীরের প্রতিটি জয়েন্টে ব্যথা। গরমজনিত ঘা, ফোড়া দূর করে তরমুজ।
অনেকের ধারণা, তরমুজ মিষ্টি, তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা খেতে পারবেন না। কিন্তু ধারণাটি পুরোপুরি সত্য নয়। তরমুজের পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম রক্তের ইনসুলিনকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করার শক্তি জোগায়। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরাও এই ফল খেতে পারবেন। তবে পরিমিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। রসাল ফল হওয়ার জন্য তরমুজ ত্বককে করে উজ্জ্বল, মসৃণ। ত্বকে সঠিকভাবে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে ত্বককে করে শক্তিশালী।
ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ০৪, ২০১২
জাহিদ সুমন
উপকারী পোষ্ট, ধন্যবাদ।