প্রশ্নঃ চশমা বানাবার পর তা কি আবার চক্ষু বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করানো উচিত?
উত্তরঃ হ্যাঁ। চশমা বানাবার পর আবারো তা পরীক্ষা করানো উচিত। চশমা আসলে একটি জটিল বিষয়। চশমা দেবার সময় কম্পিউটারে চক্ষু পরীক্ষা বা ম্যানুয়াল চক্ষু পরীক্ষা করে আবার রোগীকে অক্ষর পড়িয়ে পাওয়ার কনফার্ম করা হয়। ঐ পাওয়ারটি চশমার প্রেসক্রিপশনে লেখা হয়। চশমার দোকানে ঐ প্রেসক্রিশন দেখে পাওয়ার তৈরি করেন এবং ফিটিং এর জন্য পাঠান। সুতরাং এতগুলো ধাপ পার হয়ে আসার সময় কোথাও কোন ভুল হলো কিনা সেটা দেখার জন্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ বা তাঁর কোন সহযোগীকে দিয়ে পাওয়ার মাপার যন্ত্র ‘লেন্সমিটার’ এ পরীক্ষা করা উচিত।
চশমা একবার পরলে তা কি আবার ছাড়া যায়?
উত্তরঃ অনেকেই মনে করেন-চশমা একবার পরলে আর ছাড়া যায় না। আসলে কার চশমা লাগবে, কখন ছাড়া যাবে-এসবই নির্ভর করে ঐ ব্যক্তির পাওয়ার এর উপর। অনেক শিশুকে ছোটবেলায় মাথা ব্যথার জন্য সামান্য পাওয়ার দেয়া হয়। কিছুদিন ব্যবহারের পর তা নাও লাগতে পারে। অনেক শিশুর ছোটবেলায় প্লাস পাওয়ার লাগতে পারে, বড় হতে হতে তার ঐ পাওয়ার আর নাও লাগতে পারে। বেশিরভাগ শিশুই স্কুলে গিয়ে প্রথম ধরা পড়ে-দূরে বস্নাকবোর্ড দেখতে পারছে না।
এদেরকে মাইনাস পাওয়ার দেবার প্রয়োজন হয়। এরা যত বড় হবে-শরীরের সাথে সাথে চোখের আয়তনও বড় হয়। তখন চোখের পাওয়ারও স্বাবাবিক এর তুলনায় বেড়ে যায়। এদেরকে তখন ভালো দেখতে গেলে অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া পাওয়ার মাইনাস করতে হয় এবং চশমা অনেকদিন পরার প্রয়োজন হয়।
শিশু হোক বা বড় হোক, চোখ পরীক্ষা করে পাওয়ার এর প্রয়োজন হলে তা অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত। তা না হলে চোখের রেটিনার উন্নতি হবে না এবং ৬/৬ দৃষ্টি তৈরি হবে না।
————————-
ডাঃ এম নজরুল ইসলাম
সহযোগী অধ্যাপক, চক্ষু বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা
দৈনিক ইত্তেফাক, ১২ এপ্রিল ২০০৮
Leave a Reply