এই সময়ের দৃষ্টিনন্দন ফল কামরাঙা। ভিটামিন সি-তে পূর্ণ কামরাঙা। কাজ করে চুল, ত্বক, নখ ও দাঁতের ওপর। গবেষণা করে দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত ভরা পেটে (অবশ্যই যাঁদের কিডনির কোনো অসুখ নেই) কামরাঙা খান, তাঁদের চুল, ত্বক, নখ ও দাঁত তুলনামূলকভাবে উজ্জ্বল, ভঙ্গুরহীন হয়। সমসাময়িক সংক্রামক রোগগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কামরাঙা। অতিরিক্ত মোটা মানুষের দেহের চর্বি কমাতে সাহায্য করে এই ফল। তবে কিডনিতে পাথর, ইনফেকশন রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য এই ফল পরিহার করা উচিত সম্পূর্ণভাবে। আবার যাঁদের দীর্ঘ বছর ধরে ডায়াবেটিস, মোটার অসুখ রয়েছে ও হার্ট দুর্বল, তাঁদের জন্যও এই ফল বর্জনীয়। তাই বলে কামরাঙা পুষ্টিহীন এমন নয়। এতে রয়েছে উচ্চমানের ভিটামিন এ এবং সি। বাড়ন্ত শিশুদের জন্য, খেলোয়াড়, অ্যাথলেটদের জন্য এই ফল যথেষ্ট উপকারী। কামরাঙায় নেই কোনো চর্বি বা ফ্যাট। তাই এই ফল খেলে রক্তে চিনি বা চর্বি বৃদ্ধির আশঙ্কা নেই। এতে যে আঁশ রয়েছে তা কোষ্ঠকাঠিন্য, পাকস্থলীর ক্যানসার দূর করে। অতিরিক্ত টক লাগলে ডাল বা তরকারির সঙ্গে রান্না করে খেতে পারেন। তবে কোনো অবস্থাতেই কেউ এই ফল খালি পেটে খাবেন না।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই ফল ব্রণ হওয়ার পরিমাণ কমায়। এতে বিদ্যমান খনিজ লবণগুলো দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। কিছু পরিমাণ জিংকও রয়েছে এতে। তবে অতিরিক্ত টক হওয়ার জন্য ডায়রিয়া চলাকালে বা ডায়রিয়া ভালো হওয়ার পরপরই এই ফল খাবেন না।
ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ১৪, ২০১২
লিটন
কামরাঙা ডায়াবেটিস রোগির জন্য বর্জনীয় কেন?
Bangla Health
একেবারে বর্জনীয়, তা কিন্তু নয়। যাদের দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, তাদের না খাওয়াই ভালো। কামরাঙায় অক্সালিক এসিডের লেভেল খুব হাই। এটা খুব টক। যাদের আগে থেকেই হজমে সমস্যা বা কিডনি দূর্বল, তাদের জন্য এটা ক্ষতিকর।