দাঁত অতি ক্ষুদ্র অঙ্গ হলেও এর গুরুত্ব অনেক বলে দাঁত হারালে আবার তা ফিরে পেতে মানুষ অস্থির হয়ে যায়। শুধু যে উপযুক্ত চর্বনের মাধ্যমে খাবারের স্বাদ ও হজমের কাজেই দাঁত সীমাবদ্ধ তা নয়, স্পষ্ট উচ্চারণে, মুখের আকৃতি ঠিক রাখতে, অন্য দাঁত ফাঁকা না হওয়া সর্বোপরি ব্যক্তিত্ব প্রকাশেও দাঁতের গুরুত্ব অনেক বেশি।
কৃত্রিম দাঁত সংযোজনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পদ্ধতিগুলো হচ্ছে—
১. খোলাযোগ্য দাঁত: সাধারণত অ্যাক্রাইলিক বা এর সঙ্গে ধাতব সংমিশ্রণের কারণে এ-জাতীয় দাঁতের প্রধান অসুবিধা হচ্ছে, এটি রাতে খুলে রাখতে হয়। সঙ্গে বড় একটি প্লট থাকায় অস্বস্তি হয় এবং তুলনামূলক দ্রুত ক্ষয় হয়। আর সুবিধা হচ্ছে, এর তৈরি প্রণালি সহজ ও খরচ কম।
২. অনড় দাঁত বা ব্রিজ: বিশেষ ধরনের ধাতব বা এর সঙ্গে অবিকল দাঁতের রং মিলিয়ে পোরসেলিন পদার্থ দিয়ে তৈরি এই দাঁত প্রকৃত দাঁতের মতোই আরামদায়ক। এটি তৈরিতে পাশের দাঁতে কিছু পরিবর্তন করতে হলেও তার ওপর কৃত্রিম মুকুট বসানো হয় বলে তাতে কোনো কষ্ট বা ক্ষতি হয় না, তৈরি প্রণালি অপেক্ষাকৃত জটিল ও ব্যয়বহুল হলেও প্রকৃত দাঁতের মজা পাওয়া যায়।
৩. ইমপ্ল্যান্ট: বিশেষ ধরনের সার্জারির মাধ্যমে চোয়ালের হাড়ের মধ্যে ধাতব স্ক্রু বসিয়ে তার ওপর কৃত্রিম দাঁত লাগানো হয়। সে ক্ষেত্রে রোগীর শারীরিক অবস্থা, চোয়ালের হাড়ের গঠন, দাঁত পরিষ্কারে বিশেষ যত্নবানসহ অনেক কিছু নির্ভর করে। কিছুটা ব্যয়বহুল হলেও এ পদ্ধতিতে কৃত্রিম দাঁত প্রকৃত দাঁতের মতোই কাজ করে।
মো. আসাফুজ্জোহা
মুখ ও দাঁতের চিকিৎসক
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারী ২৯, ২০১২
sir amar muk brass korlaw durgondo taka tata amar bonuder satha colacol korta kub somossa hocca ataki baba dur kora jay janala kushi hobo. please
এটার জন্য ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা করালে ভালো হয়।
অনেক সময় আক্কেল দাঁতের আশেপাশে ব্রাশ যায় না, পরিষ্কার হয় না। ওখানে আলাদা ভাবে পরিষ্কার করা উচিত। সেরকম মনে করলে আক্কেল দাঁতগুলো ফেলেও দেয়া যায়।
এছাড়া নিয়মিত ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করতে পারেন দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা পরিষ্কার করতে। তবে কাঠি বা শলকা ব্যবহার করবেন না।