শুরু হয়েছে বসন্ত। এই ঋতুর অতি পরিচিত রোগ হলো বসন্ত। এ ছাড়া সর্দি, জ্বর, কাশি, টাইফয়েডসহ বিভিন্ন রোগ এই সময় বেশি দেখা যায়। কারণ, হঠাৎ করে ঠান্ডা থেকে গরম শুরু হয়। তাই আবহাওয়া সহ্য করতে একটু কষ্ট হয় সবার। বসন্তকালের অসুখগুলোর জন্য করলা হলো উৎকৃষ্ট খাবার। চর্বি ও চিনিবিহীন এই সবজি রক্ত পরিষ্কার করে। যেকোনো ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে করে যুদ্ধ। নিয়মিত করলা খেলে যেকোনো মানুষের শরীরে আয়রনের পরিমাণ বাড়ে। করলা ও চিরতার রস কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে। ছোট বাচ্চাদের করলা খাওয়ার অভ্যাস করাতে পারলে খুব উপকার হবে। কারণ, ছোটদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। এদের কৃমির আক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি। আর গরম-ঠান্ডাজনিত অন্য সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধেও কাজ করে এ সবজি। বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বেশি—এমন মানুষের রক্তে চিনির পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। ডায়াবেটিক রোগী, অধিক ওজনের মানুষের জন্য করলা অত্যন্ত উপকারী। কারণ, এটি রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। হেপাটিক এনকেফালোপ্যাথি (লিভারের জটিল রোগ), লিভার সিরোসিস ও জন্ডিসের রোগীদের জন্য করলা উপযুক্ত খাবার। মুখ, নাক ও কানের ছিদ্র দিয়ে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে অনেক রোগজীবাণু। এই জীবাণুগুলো ধ্বংস করে করলা। ত্বকের পুষ্টি বাড়াতেও কাজ করে। কাঁচা করলায় ভিটামিন বেশি। তাই কাঁচা খাওয়াই ভালো। আমাদের দেশে ভাজি, তরকারি, ভর্তা বা স্যুপ হিসেবেই করলা খাওয়া হয়। যত কম তেল-মসলা দিয়ে রান্না করা যায়, ততই ভালো।
ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারী ২৯, ২০১২
কাইউম
ধন্যবাদ আপনার তথ্যের জন্য।