শীতের শাকের মধ্যে পালংশাক একটি পরিচিত নাম। এতে রয়েছে গাজরের চেয়ে বেশি পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। এ বিটা ক্যারোটিন শরীরের টিউমার, ক্যানসার, সিস্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। বিশেষ করে, ফুসফুস, মুখের ভেতর-বাহির ও পাকস্থলীর ক্যানসার দূরে সরায় পালংশাক। পালংশাককে ইংরেজিতে বলে স্পিনাচ। ওজন কমাতে এ শাক রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কারণ, এতে পানির পরিমাণ অনেক বেশি। অন্যান্য ভিটামিনের মধ্যে এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, ই, কে, ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম। ভিটামিন ‘এ’ চোখের ওপর ক্রিয়াশীল। চোখের প্রতিটি শিরা-উপশিরা, স্নায়ু, মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে এ ভিটামিন।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য পালংশাক জরুরি খাদ্যপ্রাণ। এতে চিনির পরিমাণ নেই বললেই চলে। তাই রক্তে চিনির মাত্রা বেশি, এমন রোগীদের জন্য পালংশাক যথাযোগ্য। জিংক নামক উপকরণ ডায়রিয়া-পরবর্তী সময়ে শিশু ও বড়—সবার জন্যই দরকারি। পাঠক, খেয়াল রাখুন, ডায়রিয়া চলাকালে সবার জন্য যেকোনো শাক খাওয়া অনুচিত। এ সময়ের উপকারী সবজি হলো কাঁচকলা ও আলু। কিন্তু পালংশাকে জিংক থাকার জন্য ডায়রিয়া ভালো হওয়ার পরে খাওয়ালে উপকার পাওয়া যাবে। কারণ, জিংক ডায়রিয়াজনিত শিশুদের বানায় শক্তিশালী। আর পুরুষের শুক্রাণুকে জিংক করে আরও উর্বর।
গর্ভস্থ শিশুদের জন্যও জিংক আশীর্বাদস্বরূপ। গর্ভবতী মায়ের রক্ত বৃদ্ধি ও গর্ভস্থ শিশুর বর্ধনের জন্য পালংশাক উপকারী বন্ধু। হাড় ক্ষয়ে যাওয়া নারী-পুরুষের জন্যও এটি ভীষণ জরুরি। কারণ, ক্যালসিয়ামে ভরপুর এ শাক। কিন্তু কোনো শাকই রাতে খাওয়া উচিত নয়। রাতের বেলা শাক অনেকেরই এসিডিটি তৈরি করে। সঠিক পুষ্টি পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত তেল, মসলা বাদ দিয়ে এ শাক রান্না করা উচিত। আর স্যুপ বানিয়ে খেতে পারলে আরও ভালো। উচ্চ রক্তচাপ (হাই ব্লাডপ্রেশার) নিয়ন্ত্রণ করে পালংশাক। হূৎপিণ্ডকে সঠিকভাবে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে বলেই হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ হয়।
লিভারে সমস্যা, আর্থ্রাইটিস (যাদের শরীরের প্রতিটি হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা), কিডনি ও পিত্তথলিতে (গলব্লাডার বা পিত্তথলি) পাথর রয়েছে, এমন রোগীদের পালংশাক পরিহার করাই শ্রেয়। কারণ, পালংশাক এ রোগীদের শরীরে অক্সালেট নামের একধরনের উপকরণ তৈরি করে, যা দেহে পাথরের পরিমাণ বাড়ায়। তাই নিজের দেহের অবস্থা বুঝে শাক খান।
ফসফরাস নামক খনিজ লবণ রয়েছে এ শাকে। এ লবণ দাঁত, হাড়, চুল, ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। তাই সুস্থ থাকার জন্য পালংশাক হোক আপনার সহযাত্রী। কিডনিতে পাথর নেই কিন্তু অল্প সমস্যা রয়েছে, এমন ব্যক্তিরা পালংশাক সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে খেতে পারেন।
ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ২৫, ২০১১
স্যার হজম শক্তি কি খেলে বাড়ে?
যাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো, তাদের হজম শক্তিও ভালো। শরীর স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য যা যা করা উচিত, সেসব করলেই হজম শক্তি বাড়বে। প্রথমেই নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করতে হবে। ভরা পেটে না খেয়ে অল্প অল্প করে ঘন ঘন খেতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। বাইরের আজে বাজে খাবার খাওয়া যাবে না। রাত না জেগে অনেক ঘুমাতে হবে। কোন প্রকার নেশা করা চলবে না।
কিন্তু পালংশাকে জিংক থাকার জন্য ডায়রিয়া ভালো হওয়ার পরে খাওয়ালে উপকার পাওয়া যাবে। কারণ, জিংক ডায়রিয়াজনিত শিশুদের বানায় শক্তিশালী। আর পুরুষের শুক্রাণুকে জিংক করে আরও উর্বর।
fol khoar somy fomaling ace bujbo kivabe?
বাংলা রেসিপিতে একটা লেখা আছে- http://www.ebanglarecipe.com/2816