শিশুর মুখে প্রথম দাঁত ওঠার সময় ছয় মাস বলা হলেও ঠিক ওই সময়ই যে দাঁত দেখা যাবে এমনটা না-ও হতে পারে। কখনো কখনো টানা এক বছরেও কোনো দাঁত দেখা যায় না শিশুর মুখে। যখন শিশুর বয়স দুই থেকে আড়াই বছর হবে তখন তার মুখে থাকবে মোট ২০টি দাঁত। এ দাঁতগুলোর যত্ন নিতে হবে প্রথম থেকেই। কেমন করে শিশুর দাঁতের যত্ন নিতে হবে, জেনে নিন তার আদ্যোপান্ত।
যত্ন নিতে হবে দাঁত ওঠার আগে থেকেই। প্রতিবার খাবারের পর ভেজা কাপড় দিয়ে দাঁতহীন মাড়ি মুছে দিন।
যখন মুখে দাঁত দেখা যাবে, শিশুদের জন্য তৈরি বিশেষ টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে দিতে হবে দুই বেলা।
শিশুদের উপযোগী ফ্লোরাইডসমৃদ্ধ টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
খেয়াল রাখতে হবে, শিশু যেন পেস্টের সবটাই গিলে না ফেলে। তাই ব্রাশে পেস্ট লাগাতে হবে খুব অল্প করে।
খাবারের তালিকায় অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। আর খাওয়াতে হলে, খাওয়া শেষে মুখ ধুয়ে দিন।
আস্তে-ধীরে বোতলে করে খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস পরিবর্তন করে নিন। বোতল অনেকক্ষণ ধরে দাঁতের সংস্পর্শে থাকলে দাঁতে বিভিন্ন ধরনের ক্যারিজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
শিশুর বয়স যখন এক বছর পূর্ণ হবে, তাকে অবশ্যই মুখ ও দাঁত রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান। আর বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জেনে নিন শিশুর উপযোগী খাদ্য তালিকা, নিয়ম মেনে দাঁত ব্রাশ করার পদ্ধতি, আর কেমন করে ফ্লোরাইড দাঁতের উপকার কিংবা ক্ষতি করে।
সিদ্ধার্থ মজুমদার
মুখ ও দাঁত চিকিৎসক
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারী ১১, ২০১১
আসসালামুয়ালাইকুম/আপনার লেখা খুব ভাল লেগেছে তাই আমাকেও একটা পরামর্শ দিন……আমার ছেলের বয়স ৫+ ,খুব দুষ্টামি করে। তার মুখের বেসির ভাগ দাত নষ্ট হয়ে গেছে,তাকে বেশির ভাগ সময় হোমপ্যাথিক ঔষধ খাইয়েছি। শক্ত কোন খাবার খাইতে পারে না,দাতে ব্যথা পায়,কোন কিছুতে আলতো ভাবে বাড়ি খেলেও দাত দিয়ে রক্ত বের হয়। আমাকে একটা পরামর্শ দিলে খুব উপকার হইতাম। ধন্যবাদ
আপনার ছেলেকে অবশ্যই দাঁতের ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে সব কিছু পরীক্ষা করে নেবেন।
আর বাকিটা এই পোস্টেই বিস্তারিত বলা আছে।
আসসালামুয়ালাইকুম/
আপনাদের কাছে একটা পরামর্শ চেয়ে ছিলাম,কিছুই পাই নাই শুধু একটা মেইল পয়েছি// সুতরাং বুঝতে পারলাম এই ওয়েব সাইটটা সম্ভবত ভুয়া।
পাঠকদের মন্তব্য এপ্রুভ হলে অটোমেটিক ভাবে একটা মেইল যায়। আবার মন্তব্যের উত্তর দেয়া হলে আরেকটি মেইল দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়।
আমরা এখন পর্যন্ত শুধু এই হেলথ বিভাগেই প্রায় তিন হাজারের উপর মন্তব্যের উত্তর দিয়েছি। প্রতিদিন প্রচুর মন্তব্য জমা হয়। আমরা আগের মন্তব্যের উত্তর আগে দেয়ার চেষ্টা করি। সময়ের অভাবে একদিনের সবার উত্তর দেয়া সম্ভব হয় না। এজন্য মাঝে মাঝে দেরী হওয়াতে আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
মন্তব্যের উত্তর সাথে সাথে আশা না করে আমাদের একটু সময় দেয়ার জন্য অনুরোধ সবাইকে। জরুরী ব্যাপার হলে অবশ্যই আগে ডাক্তার বা হাসপাতালে যোগাযোগ করবেন।