অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো রেজিস্ট্যান্স। আজ যে অ্যান্টিবায়োটিকটি আপনাকে সুস্থ করে তুলছে কাল সেটিই হয়তো রেজিস্ট্যান্স হয়ে উঠবে। তখন আর ওষুধ খেয়েও কাজ হবে না। কারণ আপনার শরীরের ব্যাক্টেরিয়াগুলো প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলবে অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে। এটা বিশ্বব্যাপী একটি খুব বড় সমস্যা। কেন এই রেজিস্ট্যান্স গড়ে ওঠে তা বলতে গেলে অনেক কথা। অ্যান্টিবায়োটিকের পুরো কোর্স শেষ না করে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়া, কিংবা কারণে-অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া এসবই এর প্রধান কারণ। এ ছাড়াও আরো অনেক কারণ আছে। কারণ যা-ই থাক এটা একটা বড় রকমের সমস্যা এবং সে কারণেই এই সমস্যা দূর করা যায় কী করে তা নিয়ে বিশ্বব্যপী নিরন্তর গবেষণা চলছে। সম্প্রতি আমেরিকার গবেষকগরা নতুন আশার আলো দেখেছেন। তারা ভাইরাস ব্যবহার করে ফল পেয়েছেন অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ক্ষেত্রে। আশা করা যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে অ্যান্টিবায়োটিকের এই সমস্যাটা আর থাকবে না।
হার্টবার্নের নতুন চিকিৎসা
আসছে হার্টবার্নের নতুন ওষুধ। আমেরিকার সাউথ ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সম্প্রতি একটি নতুন ওষুধ তৈরি করেছেন, যা হার্টবার্নের স্থায়ী সমাধান দিতে সক্ষম বলে মনে করা হচ্ছে। এই ওষুধটি খাদ্যনালীর নিচের দিকের স্ফিংটার যা ঢিলে হয়ে গেলেই হার্টবার্নের সমস্যা হয়, সেই স্ফিংটারটাকে টানটান করতে সাহায্য করবে। একই সাথে অ্যাসিড জাতীয় পাচক রসের অম্লত্বও প্রশমিত করবে ঠিক অ্যান্টাসিডের মতো। ওষুধটি এখন এফডিএ’র হাতে। তারা ছাড়পত্র দিলেই বাজারে আসবে
—————–
ডা. নায়লা শারমিন
দৈনিক নয়া দিগন্ত, ৩০ মার্চ ২০০৮
Antaj mia
পাকস্থলীর স্ফিংটার ঢিলা থেকে টানটান বা টাইট করার ঔষধটার নাম কি। দয়া করে বলুন। খুব জরুরি।