সাধারণত শিশু ভাইরাস বা অন্য ইনফেকশনে আক্রান্ত হলে জ্বরে ভোগে। জ্বর দেহের ভেতরকার প্রকৃতি প্রদত্ত প্রতিক্রিয়া, শরীরে জীবাণু অনুপ্রবেশের পর তার বিরুদ্ধে লড়াই গড়ে তোলে, যাতে করে ক্ষতিকর এই জীবাণু অসুখ বাঁধাতে না পারে অথবা দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। সে কারণে জ্বর এক অর্থে দেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার একটা অংশ বলে বিবেচনা করা ভালো। তবে এও সত্য, ঘন ঘন জ্বরে পড়া শিশু অন্য কোনো সমস্যায় জর্জরিত কি না, তার মেডিকেল সমাধান জেনে নেওয়া জরুরি।
কারণগুলো
ঘন ঘন জ্বর সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া অণুজীবাণু দ্বারা সংঘটিত হয়।
যেসব শিশু বারবার ঠান্ডা-সর্দি-কাশিতে ভোগে, তারা কান পাকা ও সাইনাস ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে বারবার জ্বরে পড়ে।
শিশু বয়সে কিছু কিছু রোগ বারবার আক্রমণ করে, যেমন—যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েড জ্বর।
এ ছাড়া কিছু বংশগত রোগ—মেডিটেরিয়ান ফিভার, অটো ইম্যুউন অসুখ (লুপাস, শৈশবের বাতব্যাধি), হরমোনগ্রন্থির সমস্যা (হাইপার থাইরোয়ডিজম) ঘন ঘন জ্বর নিয়ে আসতে পারে।
বারবার জ্বরে ভোগা শিশুর জ্বর যদি একদম সেরে না যায়, তবে গভীর কোনো অসুখের বার্তা তাতে লুকানো থাকতে পারে (যেমন, কিডনি ক্যানসার)।
রোগনির্ণয় ও ব্যবস্থাপনা
অনেক সময় এর কারণ ধরা যায় না।
রহস্যময় কারণ খুঁজে পেতে পিইটি স্ক্যানের আশ্রয়ও অনেকে নিয়ে থাকেন।
ভাইরাসজনিত বা সর্দিজ্বরে শিশু শরীরে ব্যথা অনুভব করে। অস্বস্তিতে পড়ে, দেহে কাঁপুনি লক্ষ করা যায়। এসবের জন্য নন-এসিপিরিন ওষুধ, যেমন—প্যারাসিটামল বেশ উপযোগী।
এসব শিশুকে বেশি বিশ্রাম দিতে হবে, যাতে করে তার শরীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিকর ধাক্কা সামলে ওঠার সময় পায়।
শিশু স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পানিস্বল্পতায় ভোগে। তাই এ ধরনের শিশু যাতে বারবার প্রচুর পানীয় ও তরল খাবার গ্রহণ করে, সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। ওআরএস কিংবা পরিষ্কার পানীয় জলই উত্তম। জুস, ড্রিংকস—এসব না।
শিশুকে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করিয়ে নিন।
এমনভাবে কাপড়চোপড় পরান, যা বেশি তপ্ত বা বেশি প্রস্থের তৈরি না।
সতর্ক সংবাদ
সাধারণভাবে শিশু বয়সের জ্বর দুই দিনের বেশি স্থায়ী হওয়া উচিত না এবং তা ১০১ থেকে ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত ছুঁতে পারে। জ্বর যদি বেশি দিন স্থায়ী হয় বা তা ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট অতিক্রম করে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গভীর কোনো অসুখ বা জটিলতা জড়িয়ে আছে কি না, তা আগেভাগে নির্ণয় করা জরুরি।
প্রণব কুমার চৌধুরী
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারী ০৪, ২০১১
Dalowar sarkar
আমার শিশুর বয়স১৮মাস প্রতি মাসে না হয় দুই সপ্তাহ পর পর জর আসে কখনো এক সপ্তাহেরও বেসি জর থাকে পেরাসিটামল এক্সপা খাওয়ালেই জর সারে না এক্সিম সাসস্পেন্সন খাওয়ালে জর সারে অন্ন কোন এন্তিবায়টিকে কাজ করেনা। কয়েকমাস আগে দুইবার হাস্পাতালে ভর্তিছিলো ডাক্তার বলসে খিচুনি জর হয়ে ছিলো, এমতাবস্থায় আমার শিশুকে কি বেবস্থা নিলে স্থায়ি ভাবে এ-ই সমস্যার পরিবর্তন হবে,