শীতের এ সময়টা কিন্তু বড় সুখের। ফল আর পিঠাপুলির আমেজে দিনগুলো পার করতে চাইলে সুস্থ থাকাটা যে খুব জরুরি। আর তাই জেনে নিন কেমন করে এড়াবেন শীতের রোগবালাই
একটু সতর্কতা
শীতের রোগজীবাণুগুলো এ সময় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে একজন থেকে আরেকজনে। কীভাবে ছড়ায় জীবাণুগুলো? এ খুব সহজ কথা। সংক্রমিত মানুষের হাত থেকে জীবাণুগুলো আটকে থাকে টেবিলে, টেলিভিশনের রিমোটে, কম্পিউটারের কি-বোর্ড কিংবা বাসের হাতলে। কোনো সুস্থ মানুষ এসব জায়গায় হাত দিলে জীবাণু চলে আসে তার হাতে। তারপর হাত থেকে শরীরে এবং শেষে মুখে ঢুকলেই বিপত্তি। তাই এ সময়টা সংক্রমিত লোকের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করা থেকে বিরত থাকুন। আর কিছুক্ষণ পরপর ধুয়ে ফেলুন হাত দুখানা।
দৌড়াতে হবে
শীতের দিনগুলোতে ঠান্ডা আমেজে আলস্য এসে ভর করে। আলসেমিকে পাত্তা না দিয়ে দৌড়াতে বের হোন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী-পুরুষ সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন জোরে হাঁটেন ৪৫ মিনিট করে, তাঁদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা অন্যদের তুলনায় অনেক কম। তবে শীতের সকালে দৌড়াতে বেরোলে গরম কাপড় সঙ্গে নিন।
হেঁশেলের যত্ন
রান্নাঘরের সুরক্ষায় একটু বাড়তি যত্নই নিন। এই ঘর থেকেই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের খাবার আসে টেবিলে। তাই খাবারের সঙ্গে যেন জীবাণু না এসে যায়, এ জন্য চাই বাড়তি সতর্কতা। প্লেট, গ্লাস আর সিংক ধোয়ার স্পঞ্জ কিংবা কাপড়টি প্রতিদিন মাইক্রোওয়েভে দুই মিনিট গরম করে নিন। এ পদ্ধতিতে প্রায় ৯৯ শতাংশ জীবাণু ধ্বংস করা যায়। আর সতর্কতা হিসেবে স্পঞ্জ, কাপড়ের টুকরা মাইক্রোওয়েভে ঢোকানোর আগে ভিজিয়ে নিন। অন্যথায় ফায়ার সার্ভিসকে ডাকতে হতে পারে!
খাওয়া, ব্যায়াম আর ঘুম
শীতে মেলে প্রচুর সবজি। খেতেও হবে। আর মৌসুমি ফলের রসে গলা ভিজিয়ে নিন সুযোগ পেলেই। হালকা ব্যায়াম করতে হবে নিয়মিত। ব্যায়াম একদিকে যেমন কর্মক্ষমতা বাড়াবে, অন্যদিকে মুখেও ফিরিয়ে দেবে রুচি। আর দরকার পর্যাপ্ত ঘুম। এসব কিছুর মিশেলে শরীরে তৈরি হবে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। দূরে থাকবে রোগ, শীত কাটবে আরামে।
সিদ্ধার্থ মজুমদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারী ০৪, ২০১১
Leave a Reply