সুস্থ থাকতে সবাই চায়। সঠিক খাওয়া, নিয়মনীতির পাশাপাশি ব্যায়ামটা এ কারণেই দরকার। ব্যায়ামের নেই কোনো ধরাবাঁধা বয়স। ১৫ থেকে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ ব্যায়াম করতে পারবেন। ‘ব্যায়াম সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে। কার্ডিও ভাসকুলার, স্ট্রেন্থ ব্যায়াম ও ফ্লেক্সিবেল ব্যায়াম। শারীরিক অবস্থা, গঠন-ক্ষমতা এবং প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই সঠিক ব্যায়ামটি করা উচিত। মানসিক প্রশান্তি এবং শারীরিক সুস্থতা—উভয়ের জন্যই ব্যায়াম দরকার।’ কথাগুলো বলছিলেন পারসোনা হেলথের হেড অব জিম তানজিনা চৌধুরী। ব্যায়ামের উপকারিতা অনেক। এ কারণে প্রতেক মানুষেরই ব্যায়াম করা উচিত। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি, শরীরের ওজন কমানো, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি, ঘুমের অসুবিধা দূর, মানসিক চাপ কমাতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করাসহ অনেক সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় নিয়মিত ব্যায়াম থেকে। এ ছাড়া ত্বক ভালো হয়। ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের মতো রোগ থেকেও আপনাকে দূরে সরিয়ে রাখতে সহায়তা করবে ব্যায়াম।
প্রতিদিনের ব্যস্ততার মাঝে কিছুটা সময় হলেও বের করা উচিত। কিন্তু সারা দিনের খাটুনির পর জিমে গিয়ে ব্যায়াম করার ইচ্ছেটা আর থাকে না। সে ক্ষেত্রে বাসায় চট করে হালকা টুকটাক ব্যায়ামেই আপনি থাকতে পারবেন পুরো ফিট।
পেছন দিকে পা তোলা
এ ব্যায়ামটি নিয়মিত করলে হিপ কমাতে সহায়তা করবে।
ঘরের যেকোনো প্রান্তের একটি দেয়ালের সামনে দাঁড়াতে হবে।
পিঠ সোজা করে দাঁড়ান।
কাঁধ বরাবর হাত দুটো দেয়ালে রাখবেন।
এবার মধ্যম গতিতে পা-টা পেছন দিকে ওঠাতে হবে। প্রথমে বাঁ পা, তারপর ডান পা।
পা ওঠানোর সময় হাঁটু সোজা থাকতে হবে।
খেয়াল রাখবেন, যেখান থেকে পা তুলবেন, সেখানেই আবার আনতে হবে।
শরীরের ওপরের অংশ যতক্ষণ না সামনে ঝুঁকে যাচ্ছে, ততটুকু পর্যায় পর্যন্ত পা তুলবেন।
এটি ১০-১২ বার করতে হবে। অর্থাৎ প্রতি পায়ে পাঁচ-ছয়বার এ পদ্ধতিতে ব্যায়ামটি করতে হবে। ১০-১২ বার করলে ১ সেট হবে।
তিন সেট করুন। প্রতি বারে ৩০ সেকেন্ড বিরতি দিন। অর্থাৎ আপনাকে মোট ৩০-৩৬ বার এটি করতে হবে।
রয়া মুনতাসীর
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ২৭, ২০১০
Leave a Reply