প্রতিদিন চেক করা হয় না রক্তের সুগার
টাইপ-২ ডায়াবেটিস যাঁদের তাঁরা অনেক সময়ই খাদ্যবিধি, ব্যায়াম ও ওষুধের সাহায্যে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখেন। কিন্তু প্রতিদিন গ্লুকোমিটার দিয়ে রক্তের সুগার চেক না করলে নিখুঁত ফল জানা যায় না। যাঁদেরই ডায়াবেটিস তাঁরাই রক্তের সুগার চেক করলে সুফল পান।
নিয়ন্ত্রণে নেই কী করে বুঝবেন
বেশ পিপাসা, আর প্রস্রাবালয়ে যেতে হচ্ছে বারবার—রক্তে খুব বেশি গ্লুকোজ বাড়ার বড় লক্ষণ। সুগারকে পরিশ্রুত করতে কিডনির কঠোর শ্রম করতে হচ্ছে। কোষ থেকেও পানি টেনে নিচ্ছে বেশি, সে জন্যই বারবার যেতে হচ্ছে প্রস্রাবাগারে। শরীর থেকে পানিহানি হলে স্বভাবতই পিপাসা পায় পানি পূরণের জন্য। পানি তখন না খেলে পানিশূন্যতা হবে।
বড় ক্লান্তি লাগে
ক্লান্তি হলো আরেকটি চিহ্ন যে সুগার নেই নিয়ন্ত্রণে। সুগার দেহকোষে না পৌঁছে যদি থেকে যায় রক্তস্রোতে, তাহলে পেশি পায় না পর্যাপ্ত শক্তি কাজ করার জন্য। তাই ক্লান্তি। কখনো এত ক্লান্ত লাগে যে মনে হয় একটু ঘুমিয়ে নিই। কখনো ডায়াবেটিক রোগী অতিভোজনের পর বিশেষ করে খুব ক্লান্ত বোধ করেন।
ঘর ঘোরে বন্বন্
মাথা ঝিমঝিম। কাঁপে। ঘর ঘোরে যেন বন্বন্। রক্তে সুগার নিচুমানে নামার চিহ্ন। একে বলে হাইপোগ্লাইসিমিয়া। মগজের কাজকর্মের জন্য চাই গ্লুকোজ। তাই রক্তে গ্লুকোজ নেমে যাওয়া বিপজ্জনক—জীবনসংশীয় হয় একে মোকাবিলা না করলে। এক গ্লাস ফলের রস রক্তের সুগারকে ক্ষণকালের জন্য উঠিয়ে নিয়ে আসে, কিন্তু এমন মাথা ঝিমঝিম, শরীর কাঁপা—এমন হলে ডাক্তারকে বলুন। হয়তো পথ্য বা ওষুধ অদল-বদল প্রয়োজন।
হাত ও পা গেছে ফুলে
যদি ডায়াবেটিস থাকে, সঙ্গে থাকে উচ্চরক্তচাপও; তাহলে এ দুটো অসুখ কালক্রমে বর্জ্যপদার্থ নিষ্কাশন ও তরল নিষ্কাশনে কিডনির ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। শরীরে জমা হয় তরল, হাত ও পা ফুলে যেতে পারে—কিডনি রোগের সতর্ক চিহ্ন বটে। ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করলে এবং খাদ্যে প্রোটিনের ব্যাপারে সতর্ক থাকলে এ সমস্যা অনেকটা ঠেকানো যায়।
হাত-পা কি অবশ বা ঝিনিঝন্ করে
যাদের অনেক দিন রক্তের সুগার মান থাকে উঁচুতে, তাদের স্নায়ুক্ষতি হতে পারে—একে বলে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি। তখন হাত বা পায়ের আঙুল হয় অবশ বা ঝিনিঝন্ করে এবং ব্যথা বা উত্তাপের বোধ খর্ব হয়। ফুট কেয়ারে যাবেন চটজলদি। বারডেমের নিচতলায় আছে।
এ জন্য আছে আরও বিশেষায়িত কেন্দ্র। পেডিয়াট্রিস্টকে দিয়ে নিয়মিত পা পরীক্ষা করানো উচিত। নিউরোপ্যাথি যাদের, এরা প্রচণ্ড ব্যথা বা আঘাত পেলেও বোধ থাকে না।
পেটে সমস্যা
পাকস্থলী খালি করার জন্য এবং পাচক নল দিয়ে খাদ্যমণ্ড চলাচলের জন্য যে স্নায়ুপ্রবাহ প্রয়োজন, ডায়াবেটিস এদের বেশ ক্ষতি করতে পারে। পাকস্থলী যদি যথাযথ দ্রুত খালি না হতে পারে, চিকিৎসায় যাকে বলে গ্যাস্ট্রোপ্যারোসিস, তাহলে অপ্রীতিকর সমস্যা হবে পেটে। তরল মল, কোষ্ঠ বা মূত্রবদ্ধতা। অনেকের খাদ্যগ্রহণ ও গলাধঃকরণেও হয় সমস্যা। এমন থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করাও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
দৃষ্টি যেন ঝাপসা, ক্ষীণ হয়ে আসে
উঁচুমান রক্তের সুগার, উচ্চরক্তচাপ—দুটোই চোখের সংবেদনশীল সংস্থানগুলোর বড় ক্ষতি করতে পারে। দৃষ্টিতে বিপদের হুমকিতেও ফেলতে পারে। চিকিৎসাশাস্ত্রে বলে ‘ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি’—চোখের রক্তনালিগুলোর ক্ষতি হতে হতে এ সমস্যা হয়—অন্ধত্বের একটি বড় কারণও বটে। ঝাপসা দৃষ্টি, দৃষ্টিতে ফুটকি দেখা, রেখা দেখা, চোখের সামনে আলোর ঝলকানি—চিকিৎসক দেখাবেন চটজলদি। চোখ চেক করান, দৃষ্টির ক্ষতি হওয়ার আগেই।
ওজন হারাচ্ছি শরীর থেকে
শরীরের বাড়তি ওজন হারানো টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ব্যবস্থাপনার মধ্যে পড়ে। তবে, এমন যদি হয়, দ্রুত ওজন হারাচ্ছে শরীর, চেষ্টা ছাড়াই, অকারণে; তাহলে বোঝা যায় রক্তের সুগার খুব বেশি হতে পারে। রক্তে গ্লুকোজ বেশি হলে এটি মূত্রের সঙ্গে নিষ্কাশিত হয়ে যায়। সঙ্গে যায় ক্যালরি ও তরল।
বারবার জীবাণু সংক্রমণ হচ্ছে
বারবার জীবাণু সংক্রমণ। ঘুরেফিরে বারবার এমন হলে উচ্চরক্ত শর্করা বোঝা যায়। হতে পারে মাড়ির রোগ, মূত্রনালির সংক্রমণ, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সংক্রমণ, ত্বকের—স্ত্রীলোক হলে ছত্রাক সংক্রমণ। হতে পারে নিউমোনিয়া, শ্বাসনালি সংক্রমণ। কিডনি বা পিত্তথলি সংক্রমণ, মধ্যকর্ণ সংক্রমণ, সাইনাস সংক্রমণ।
কাটাছেঁড়া সারছে না
রক্তের সুগার সুনিয়ন্ত্রিত না হলে দেখা যাবে কাটাছেঁড়া সহজে সারছে না। ক্ষত হওয়া এড়ানো ভালো। ছোট হলেও এড়ান। এটা ডায়াবেটিস রোগীদের সংক্রমণ ঠেকায়। সংক্রমণ হলে রক্তের সুগার উথালপাথাল করে।
তাই চাই নিয়ন্ত্রণ
ডায়াবেটিসের জটিলতা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়া কেন? একে এড়ানো চাই। চিকিৎসকের দেওয়া চিকিৎসা পরিকল্পনা মানতে হবে।
অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী
পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস বারডেম হাসপাতাল,
সাম্মানিক অধ্যাপক, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ২১, ২০১১
Bound
i
sir amar salaam niban. sir amar bodur boyis 30 ba 35 habay. tini bibahito. amra onak din doray bidashay asi. edanik 2/3 sapta doray tar samossa holo tar prosab karar somai prosab ar rasta dea birjo barhoy. aboag prosab haina boltay cholay ar onak jala pora karay.
akon shay ki kartay pary. please apni jodi kono ousadar Gagarin nam bolay ditan taholo amar bondu onak upokito hoto.
Thank you
– Show quoted text –
Bangla Health
আপনার বন্ধু কি বীর্যপাতের সময় লিঙ্গ চেপে ধরে বীর্য বের হতে বাধা দেন? এরকম হলে বীর্য মূত্রথলিতে জমা হয়। পরে প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে আসে। এছাড়া প্রচুর ঘুম আর পানি পানের ব্যবস্থা করতে হবে।
জ্বালা-পোড়া চলতে থাকলে বন্ধুকে ডাক্তার দেখাতে বলবেন। কিডনীতে সমস্যা এবং লিঙ্গে কোনো ইনফেকশন আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করা দরকার।
Rahim
sir amar age 23 and amar wight 62 . Amar daibetis dora forece gata 3 mas age.amar bortoman daibetis kaoar 2 gonta por 212 . Besi somossa hoy ami gomale amar gola akdom sokia jai ami 500powari aosod o kai tar por o amar suger komena kena? Amar prosrave o suger ace. Akan ami ki korte pari bolben ki sir.
Thank you sir
Rajim
sir ami Rahim amar uporer uttar ta den pls
Bangla Health
দুঃখিত আপনার মন্তব্যটা আমাদের চোখ এড়িয়ে গেছে আগে।
ডায়াবেটিস হলে প্রথমেই খাবার-দাবারের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। যেসব খাবার খাওয়ার সাথে সাথে সুগার তৈরী করে, সেগুলো বর্জন করতে হবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো- খুব অল্প করে খেতে হবে যাতে কার্ব খুব কম থাকে। এমনিতে খাবার ৩ ঘন্টার মধ্যে হজম হয়ে যাওয়ার কথা। সুতরাং আপনি এমন ভাবে খাবেন যাতে ৩ ঘন্টা পর আবার খেতে পারেন। এভাবে অল্প অল্প করে খেয়ে একবারে সুগার বাড়বে না। আর হজমশক্তি ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করবেন। হাঁটা দিয়ে শুরু করতে পারেন।
সাদা ভাত, ময়দা, সাদা চিনি, গোলআলু- এই জাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলবেন।
Dukkho
স্য়ার আমার বয়স ১৭ বছর। আমি গত ৩ বছর ধরে প্রচুর হস্তমৈথুন করছি। আমি অনেক চেশ্টা করেছি এতা ছেড়ে দিতে। কিন্তু আমি ব্য়ার্থ হয়েছি। আমি এম্নিতে খুব যে খারাপ ছেলে তা নয়। কিন্তু আমি পারছিনা এই বদ অভ্য়াস টা ছাড়্তে। আপ্নি জদি দয়া করে আপনার মূল্য়বান মতামতের মাধ্য়্মে এই সমস্য়ার সমাধান দেন তবে আমি আপনার কাছে আজীবন কৃতগ্গ থাকব।
dukkho
sir amar ans ta plz.
Bangla Health
একা সময় কাটাবেন কম। বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের লোকজনদের সাথে বেশি সময় কাটাবেন। হাসিখুশি থাকবেন। মেয়েদের নিয়ে বাজে চিন্তা করবেন না। তাদের সুদৃষ্টিতে দেখবেন। রাতে উপুর হয়ে ঘুমাবেন না। নিয়মিত খেলাধূলা বা ব্যায়াম করেন। আজেবাজে বন্ধুদের সাথে মিশবেন না।