সিলেট হেপাটাইটিস দিবস ২০০৮
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ১০ভাগ হেপাটাইটিস-বি এবং ৩ ভাগ হেপাটাইটিস-সি ভাইরাসে আক্রান্ত। গর্ভবতীদের শতকরা ৩.৫ ভাগ হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে অনাগত সন্তানসহ নিজেরাও পতিত হচ্ছেন মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে
হেপাটাইটিস একটি দুরারোগ্য ব্যাধি, যার মধ্যে হেপাটাইটিস বি ও সি-এর ব্যাপকতা ভয়াবহ। সমীক্ষায় দেখা গেছে, সমগ্র বিশ্বে হেপাটাইটিস-বি ও সি ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ মিলিয়ন। এর মধ্যে হেপাটাইটিস-বি জনিত সংক্রমণে ৩৫০-৪০০ মিলিয়ন এবং হেপাটাইটিস-সি জনিত সংক্রমণে ১৮০ মিলিয়ন এর অধিক লোক আক্রান্ত।
ধারণা করা হয় বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ১০ভাগ হেপাটাইটিস-বি এবং ৩ ভাগ হেপটাইটিস-সি দ্বারা আক্রান্ত। গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে ৩.৫ভাগ হেপাটাইটিস-বি দ্বারা আক্রান্ত। দীর্ঘ মেয়াদে আক্রান্ত থাকার কারণে এসব রোগী অনেকেই লিভার ক্যান্সার ও পরবর্তী সময়ে লিভার ফেইল্যুর বা বিকল লিভারজনিত সমস্যায় ভোগেন এবং মৃত্যুবরণ করে থাকেন।
হেপাটাইটিস-বি প্রতিরোধের জন্য কার্যকর ভ্যাক্সিন থাকলেও হেপাটাইটিস-সি প্রতিরোধে কোনো কার্যকর ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কার হয়নি। ব্যক্তিগত প্রতিরোধই হেপাটাইটিস-সি ভাইরাস প্রতিরোধের একমাত্র উপায়। এই দু’টি হেপাটাইটিস ভাইরাসকে নীরব ঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করে এর প্রতিরোধের লক্ষ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে ২০০৭ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকায় তথা দেশে প্রথম বারের মত বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালনের পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে সিলেটে প্রথম বারের মতো উদযাপন করল- ‘সিলেট হেপাটাইটিস দিবস’। এই দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘লিভারকে জানুন এবং ভাল রাখুন’। সিলেটের জেলা প্রশাসক, লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং সমাজসেবা, স্বাস্থ্য , জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য র্যালির সিলেট শহর প্রদক্ষিণের মাধ্যমে দিনটির কার্যক্রম শুরু হয়। র্যালিতে শত শত ছাত্রছাত্রী ও স্কাউটের অংশগ্রহণও ছিল উল্লেখযোগ্য।
সেমিনারের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন লিভার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী জেনারেল প্রফেসর ডা.
মোহাম্মদ আলী। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশে লিভার রোগের ব্যাপকতা, হেপাটাইটিস-এর প্রকোপ ও লিভার রোগ প্রতিরোধে লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদে-এর কার্যক্রম সম্পর্কে বিশদভাবে আলোকপাত করেন। তিনি সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে লিভার ফাউন্ডেশনের জনকল্যাণমূলক কাজে সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ডা. আব্দুল মালিক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব এ.কে.এম জাফর উল্লাহ খান, সমাজ সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মোঃ আব্দুল ফয়েজ, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আজিজ হাসান, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এম.এ খালেক ও সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এম.এ রকিব।
লিভার ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট গ্যাস্ট্রো এন্টেরোলজিস্ট প্রফেসর ডা. এ.কিউ.এম মোহসেনের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে। উল্লেখ্য লিভার ফাউন্ডেশন লিভার রোগ প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও এ সম্পর্কিত শিক্ষা ও গবেষণাকল্পে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই ফাউন্ডেশন ইতোমধ্যে লিভার , গলব্লাডার , বাইলডাক্ট ও প্যানক্রিয়াসের রোগীদের সরাসরি বিনামূল্যে পরীক্ষা ও পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে চালু করেছে লিভার ক্লিনিক সার্ভিস, ফ্রি ফ্রাইডে লিভার ক্লিনিক সার্ভিস । সবচেয়ে কম মূল্যে লিভার , গলব্লাডার, বাইলডাক্ট ও প্যানক্রিয়াসের সব ধরনের ল্যবরেটরি ও ইমেজিং ইনভেস্টিগেশনের জন্য চালু আছে- ইনভেস্টিগেশন সার্ভিস ্। আছে ভ্যাকসিনেশন সার্ভিস । লিভারের রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে কম মূল্যে হেপাটাইটিস-বি টিকা প্রদান করা হয় প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। দুস্থ মানুষের জন্য বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিনামূল্যে হেপাটাইটিস-বি এর টিকা দেয়া হয়। ফাউন্ডেশনের রয়েছে লিভার রোগের তথ্যবহুল আন্তর্জাতিক মানের ওয়েব সাইট http://www.liver.org.bd/ ই-মেইলঃ [email protected]
ই-মেইল এর মাধ্যমে সরাসরি লিভারের রোগ সম্পর্কিত জিজ্ঞাসার জবাব এবং এসম্পর্কিত লিফলেট সংযুক্ত ফাইল আকারে প্রেরণ করা হচ্ছে। চিঠির মাধ্যমেও লিভারের রোগীদের পরামর্শ ও সঠিক দিকনির্দেশনা গ্রহণ করা সম্ভব।
**************************
ডা. কাজী মাহবুবা আখতার শিমুল
এ বিষয়ক ঠিকানা- লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, ১৭০ কলা বাগান, ২নং লেন, ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা-১২০৫, বাংলাদেশ।
দৈনিক নয়া দিগন্ত, ২৩ মার্চ ২০০৮
jewel
স্যার আমি প্রায় ১ বছর যাবৎ খাবারে অনীহা থাক।ে খাওয়ার সময় বমরি ভাবটা বশেি হয়। তাই খতেে পারি না। ঢকেুর ওঠ।ে পটেে কোনো প্রকার ব্যথা ও জ্বালাপোড়া নইে। গলাও জ্বলে না .
খাবার মুখে দিলে বুমি বুমি বেগ হয়, খাবার গিলতে পারিনা।
অল্প আহারে মনে হয় পেট ভরে গেছে।
খাবারে অনীহা কারনে, অনেক সময় না খেলে পেট ফুলে থাকে
খাবার খেতে বসলে অল্প খেলেই মনে হয় পেট ভরে গেছে। বেশি খেতে পারিনা।
তাই আমি গত ১৫/০২/২০১২ ইং তারিখে একজন লিভার বিশেষজ্ঞর শরণাপন্ন হই তখন তিনি আমাকে আলর্টাস্নোগ্রাম দেন। সেখান থেকে সংযুক্ত রিপোর্টটি আসে। অতএব স্যার এই রিপোর্ট দেখে আমার লিভারের বর্তমান অবস্থা কি মনে হয়, জানালে উপকৃত হব।
Report:
Ultrasound Examination of Abdomino-pelvic organs:
Liver: Liver is mildly enlarged in size. However, hepatic parenchymal echotexture and echodensity are uniform. No focal hyper or hypo-echoic lesion is seen in the liver. Intrahepatic portion of IVC is normal. Portal vein is normal. Porta-hepatis is normal.
Gall bladder: Normal in size and contour. Wall thickness is within normal limit. No evidence of echogenic structures or biliary sludge is seen within the gall bladder. Intrahepatic biliary radicals and common ducts are not dilated. Internal diameter of CBD (3mm) and that of portal vein (9mm) are within normal limit. Pancreas: Parenchymal echotexture of pancreas is homogeneous. Main pancreatic duct is not dilated.
Spleen: is mildly enlarged in size. However, it shows uniform in echopattern.
Kidneys:
Both kidneys are normal in position and size. Bipolar length of- (a) Right kidney is 09.0cm & (b) Left kidney is 10.2 cm. No mass lesion or calculus is seen on either side. Pelvi-calyceal systems are not dilated. Cortico-medullary differentiation is normal in both kidneys with normal cortical echogenicity. Ureters are not dilated.
Adrenal glands : Both adrenal glands appear normal at USG examination.
Urinary bladder: Normal in outline. No wall thickening seen. No demonstrable intravesical lesion is seen.
Prostate Gland:
Prostate is normal in size. It measures about 2.5 cm X 2.7cm X 2.9cm. Its volume equals to 11.142cm3. It shows homogeneous echotexture with smooth and intact capsule.
Bangla Health
তেমন বড় কোন সমস্যা নাই রিপোর্টে। আপনি অল্প অল্প করেই খান। খাওয়ার একটু আগে একটা আমলকি খেতে পারেন। এতে ক্ষুধা লাগবে। নিয়মিত ব্যায়াম বা খেলাধূলা করবেন। শরীর ঘামাবেন।