২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০১১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্যকৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। আমাদের শিশুরা যা খায় তার এক-তৃতীয়াংশ কৃমি খেয়ে ফেলে। কৃমির আক্রমণে বাংলাদেশে শিশুরা রক্তশূন্যতা, অ্যালার্জিসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়, তাদের বেড়ে ওঠা ও সুস্বাস্থ্য ব্যাহত হয়। নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির অভাব, অপরিচ্ছন্নতা, খাওয়ার আগে হাত না পরিষ্কার করা ও খালি পায়ে হাঁটা কৃমির প্রকোপের মূল কারণ। কৃমি থেকে শিশুদের মুক্ত করতে চাইলে—
শিশুদের খাওয়ার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার করুন।
পায়খানা ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়েফেলুন ও শিশুদেরও তা করতে শেখান।
কাঁচা ফলমূল, সালাদ বিশুদ্ধ পানিতে ধুয়ে খান।
নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি পান নিশ্চিত করুন।
জুতা ব্যবহার করুন।
এর পাশাপাশি প্রতি ছয় মাস পর পর দুই থেকে ১২ বছর বয়সী সব শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। পরিবারের সব সদস্যকেই কৃমিনাশক ওষুধ সেবন করা উচিত।
সরকারের কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় ২৫-৩১ অক্টোবর সবপ্রাথমিক বিদ্যালয়ে (মাদ্রাসা, মক্তবসহ) পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সীছাত্রছাত্রীদের একসঙ্গে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। আপনার শিশুটিকেও এই কার্যক্রমের আওতায় এনে তাকে কৃমিমুক্ত রাখুন ও শিশুর নীরোগ সুন্দর জীবন নিশ্চিত করুন।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ২৬, ২০১১
জয়
আমার ২ বছরের ছেলেকে ১মাস আগে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে, এখন আবার কৃমি হয়েছে, কি করব? আবার কি ওষুধ খাওয়ানো যাবে?
Bangla Health
ডাক্তার দেখিয়ে তারপর ব্যবস্থা নেবেন।