সাদা স্রাব নিয়ে অনেক রোগিণীর অভিযোগের শেষ নেই। চিকিৎসকের কাছে গেলে অন্য সমস্যার পাশাপাশি তাঁরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বলে থাকেন এবং সে সঙ্গে এও বলেন যে এর ফলে তাঁদের স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে। এ কারণে তাঁরা মানসিকভাবেও উৎকণ্ঠিত থাকেন। দেশের গ্রামগঞ্জ-হাটবাজারে এ সংক্রান্ত ছোট ছোট সাইনবোর্ড এবং বিভিন্ন ধরনের লিফলেট বিষয়টিকে আরও উসকে দেয়। সাদা স্রাবকে অনেকে ধাতু বলে থাকেন। এ বিষয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা করলে অনেক প্রশ্নের জবাব মিলবে।
স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় মেয়েদের জননাঙ্গপথে এক ধরনের পিচ্ছিল রস তৈরি হয়। মুখের লালা, চোখের পানি ইত্যাদি যেমন স্বাভাবিক, জননাঙ্গরসও তেমনি একটি ব্যাপার। এটি জননাঙ্গপথের কোষের স্বাভাবিকতা রক্ষা করে, শারীরিক মিলনের সময় লুব্রিকেসনের কাজ করে, যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ রসের পরিমাণ মানুষভেদে ও বয়সভেদে কম-বেশি হতে পারে। যেমন মাসিক শুরুর আগের বয়সে এবং মেনোপজের পর জননাঙ্গরস খুব অল্প নিঃসৃত হয়। আবার সম্যক ধারণার অভাবে স্বাভাবিক পরিমাণ রসকে অনেকের কাছে অতিরিক্ত সাদা স্রাব মনে হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, যখন জননাঙ্গরস বেশি নিঃসৃত হয়ে লজ্জাস্থানে ভেজা ভেজা ভাব হয়, পরনের কাপড়ে হলদেটে দাগ পড়ে তখনই কেবল সেটাকে সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়া বলে। স্বাভাবিক পরিমাণ জননাঙ্গরস লিউকোরিয়া নয়। স্বাভাবিক স্রাবের সঙ্গে স্বাস্থ্যহানির বৈজ্ঞানিক কোনো সম্পর্ক নেই।
মেয়েদের বিশেষ কতগুলো সময় আছে যখন জননাঙ্গরসের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় যেমন—শারীরিক মিলনের সময়, মাসিক শুরুর ঠিক আগের দিনগুলোয়, ওভ্যুলেশনের (ডিম্বস্ফোটন) সময়, গর্ভাবস্থায়, ডেলিভারির পর বেশ কিছুদিন, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহারকালে ইত্যাদি। অনেকে এমন খুঁতখুঁতে আছেন যে স্বাভাবিক জৈবিক গন্ধকে দূর করার জন্য নিয়মিত স্যাভলন-পানি বা কেউ কেউ ডিওডোরান্ট স্প্রে ব্যবহার করেন। এ অভ্যাস ক্ষতিকর। এর ফলে কেমিক্যাল রি-অ্যাকশন হয়ে অঙ্গের ক্ষতি হয়। উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে ক্ষতিকর জীবাণুর সংক্রমণকে উৎসাহিত করে।
কখন বোঝা যাবে যে অসুস্থতার কারণেই স্রাব বেশি হচ্ছে? যদি উপরিউক্ত সময় ছাড়াও অতিরিক্ত স্রাব নিঃসৃত হয়, চুলকানি হয়, ভীষণ দুর্গন্ধ হয়, সঙ্গে রক্ত কিংবা পুঁজ থাকে, তলপেটে ব্যথা থাকে, জ্বর থাকে। অস্বাভাবিক স্রাবের গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে ইনফেকশন, পলিপ, ক্যানসার ইত্যাদি।
সঠিক তথ্য জানার পর প্রচলিত ধ্যান-ধারণাকে পেছনে ফেলে স্বাভাবিক স্রাবকে যেমন সহজভাবে গ্রহণ করা দরকার, তেমনি অস্বাভাবিক স্রাব হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াও জরুরি।
এনামুল হক
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
গাইনিকেয়ার, ঢাকা।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ১৫, ২০১১
রিয়াদ
সাদা স্রাব কি প্রতিরোধ করা যায় ?
Bangla Health
সাদা স্রাব একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা ক্ষতিকর কিছু নয়। শুধু চুলকানি বা দুর্গন্ধ হলে তখন ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা করে নিতে হয়। শরীর ও মন ঠিক থাকলে এসব স্বাভাবিক নিয়মে হবে আবার শেষ হয়ে যাবে।
Soumen
Masik suru hoy 4 Dec amra sex korechi 15 Dec Amar wife er jounanger bhitore 1 phota hormone hoyto geche atate kono problem hote pare ki
Bangla Health
হ্যাঁ, হতে পারে।