ভীষণ উপকারী জিনিস কালিজিরা। এটাকে খাবার না বলে পথ্য বলাই ভালো। এখন প্রচণ্ড গরম। এই মৌসুমে গরম ও ঠান্ডাজনিত কারণে অনেকের জ্বর হচ্ছে। জ্বর, কফ, গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য কালিজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়। যাঁরা মোটা হতে চান, তাঁদের জন্য কালিজিরা যথাযোগ্য পথ্য। আবার যাঁদের শরীরে পানি জমে হাত-পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের পানি জমতে বাধা দেয়। কালিজিরা শরীরের জন্য খুব জরুরি। সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালিজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে। কালিজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এই উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয় না। আমাদের মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। কালিজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে। খুব বেশি কালিজিরা খেলে হিতে বিপরীত হবে। আর যাঁরা কালিজিরা হজম করতে পারেন না, তাঁরা খাবেন না। কালিজিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে। তারুণ্য ধরে রাখে দীর্ঘকাল। আমাদের কাজ করার শক্তিকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। দেহের কাটা-ছেঁড়া শুকানোর জন্যও কাজ করে। তাই প্রতিদিন অল্প করে ভাত বা রুটির সঙ্গে খেতে পারেন কালিজিরা।
ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ২৫, ২০১১
ইয়াছিন
বীর্য ঝরে আমার স্বপ্ন দোষের প্রয়োজন হয় না
কি খাওয়া কি করা উচিৎ
বয়স২৬
Bangla Health
আপনার মন্তব্যটা পরিষ্কার বুঝতে পারছি না। দয়া করে আবার করবেন কি?
মো: লিয়াকত আলি খান
দয়া করে ডোজ গুলো জানাবেন?
Bangla Health
আমাদের দেশে সাধারণত রান্না বা বিভিন্ন প্রকার খাবারের সাথে মিশিয়ে এটা খাওয়া হয়।
তবে ইদানিং আলাদা ভাবে এর তেল কিনতে পাওয়া যায়। এটা সকালে নাস্তা করার পর এবং রাতের খাবার খাওয়ার পর এক চা চামচ (৫ মিলি) সমপরিমান মধুর সাথে বা একগ্লাস দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।