যেকোনো জাতের কাঁচা আমে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। এ ছাড়া কাঁচা আমে আছে ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি সিক্স এবং ভিটামিন বি টুয়েলভ। কাঁচা আমে রয়েছে মোট ১৭ রকমের অ্যামাইনো এসিড। অ্যামাইনো এসিড মানুষের পুষ্টি, বৃদ্ধি ও বর্ধনের জন্য ভীষণ জরুরি। আর ভিটামিন সি শরীরের ইনফেকশনজনিত সমস্যা দূর করে যেকোনো কাটাছেঁড়া শুকানোর জন্য অগ্রণী ভূমিকা রাখে।
কাঁচা আমে রয়েছে আঁশ, যা পাকস্থলীসহ পেটের অন্যান্য অঙ্গ (ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র) ভালো রাখে। কাঁচা আম চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এর উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ চোখের জন্য ভীষণ দরকারি। লবণ, কাঁচা মরিচ দিয়ে কাঁচা আম হতে পারে ভিটামিন সি-এর পূর্ণ মিশ্রণ। তবে খেয়াল রাখুন, উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা কাঁচা লবণ খাবেন না। ত্বকের ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার দুঃসাহসী শক্তি রয়েছে কাঁচা আমের। ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তবে কাটা স্থান শুকানোর জন্য অতিরিক্ত টক (কাঁচা আম) খাওয়া অনুচিত। এতে হিতে বিপরীত হবে। কাঁচা আমে অল্প পরিমাণে চিনি রয়েছে, যা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর নয়। কাঁচা আমের ভিটামিন সি অ্যান্টি-এজিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টি-এজিং ফ্যাক্টর বার্ধক্যকে দূরে ঠেলে দেয়। বেশি উপকার পাওয়ার আশায় অতিরিক্ত টক আম খাওয়া অনুচিত। আর টক আম খাওয়ার সঠিক সময় হলো দিনের বেলা। টক আম খাওয়ার সঙ্গে, আগে বা পরে দুধ পান করা থেকে বিরত থাকুন।
ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ০৪, ২০১১
Leave a Reply