সমস্যাঃ আমার রক্তে এইচবিএসএজি পজিটিভ ধরা পড়ে গত বছর। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এইচবিএসএজি, এইচবিইএজি, অ্যান্টি-এইচবিসিআইজিএম, এস বিলিরুবিন, এসজিপিটি, প্রস্রাব, আলট্রাসনোগ্রাম ইত্যাদি পরীক্ষা করি। যার ফলাফল হচ্ছে এইচবিএসএজি পজিটিভ (মান ২.২৪৩), এইচবিইএজি পজিটিভ (মান ৩.০৬৫), অ্যান্টি এইচবিসিআইজিএম পজিটিভ (মান ১২.০ ইউ/মিলি), এস বিলিরুবিন (১.৭ মিলিগ্রাম ডেলি), এমজিপিটি (৫৮৫.০৭ ইউ/এল)। পরে এস বিলিরুবিন ও এসজিপিটি পরীক্ষা করি, যার ফলাফল বিলিরুবিন (১.৬) মিলিগ্রাম, ১০০ মিলি ও এসজিপিটি (১২৭ ইউনিট/টি)। পরে এইচবিভি ডিএনএ টেস্ট করি, যার ফলাফল হাই পজিটিভ। এর দুই মাস পর এস বিলিরুবিন ও এসজিপিটি পরীক্ষা করাই, যার ফলাফল যথাক্রমে (০.৯ মিলিগ্রাম/১০০ মিলিগ্রাম) ও এসজিপিটি (৬৮ ইউ/লি)। এর পরের মাসে এইচবিএসএজি করি, যার ফলাফলও পজিটিভ। এখন আমি রোগটির কোন পর্যায়ে আছি এবং আমাকে কোনো ওষুধ খেতে হবে কি না, জানালে উপকৃত হব। (চিঠিটি সংক্ষেপিত)
আশিকুর রহমান
ময়মনসিংহ
পরামর্শঃ আপনি চিঠিতে বয়স উল্লেখ করেননি। আপনার রক্তে এইচবিএসএজি যখন ধরা পড়েছে, তখন কি আপনার কোনো অসুখ, যেমন-জ্বর, জন্ডিস এগুলো দেখা দিয়েছিল, নাকি এমনিতেই রক্ত পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়েছে? সেটা জানা প্রয়োজন।
যা-ই হোক, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে আপনার রক্তে এইচবিএসএজি পজিটিভের সঙ্গে লিভার এনজাইম, যেমন-এসজিপিটি ক্রমাগত অনেক বেশি (স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি) এবং এইচবিভি ডিএনএ ১০০.০০০ কপিস (প্রতি মিলি) হলে ধরে নেওয়া হয় রোগটি ক্রনিক পর্যায়ে আছে।
আপনার যেহেতু এখনো ছয় মাস হয়নি এবং এসজিপিটির মান কমে যাচ্ছে, আপনি আবার ছয় মাস পর রক্তের এইচবিএসএজি, এইচবিইএজি, অ্যান্টি এইচবিসি, এসজিপিটি, এস বিলিরুবিন এবং এইচবিভি-ডিনএ পরীক্ষা করাবেন।
তখন সব রিপোর্ট দেখে আপনি রোগের কোন পর্যায়ে আছেন তা ঠিক করে ওষুধ খেতে হতে পারে। আবার ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে। আপনি রোগটির রিজল্ভ্ড পর্যায়েও চলে যেতে পারেন। তাই হতাশ হবেন না।
——————–
ডা. মাসুদা বেগম
সহযোগীঅধ্যাপক, হেমাটোলজি বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম আলো, ১২ মার্চ ২০০৮
Leave a Reply