শাকসবজি
শাকসবজি তো খেতেই হবে। শরীরের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে সবজি খাওয়ার বিকল্প নেই। আর খাওয়ার বেলায় রঙিন সবজিগুলো বেছে নিন। দৃষ্টিনন্দন এ সবজিগুলো পুষ্টিগুণেও অনন্য। ব্রকলি, গাজর, টমেটো ও কুমড়ার মতো রঙিন সবজিগুলো খান তাই নিত্যদিন। তরকারিতে আদা-রসুনের ব্যবহার বাড়িয়ে দিন। আদা, রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
মাছ-মাংস
শরীর গঠনে প্রোটিনও খুব দরকারি। শাকসবজি আর ফলই কিন্তু শেষ কথা নয়। মাছ খেতে নেই কোনো বাধা। অন্তত নিয়ম করে সপ্তাহে তিন দিন মাছ খেতে হবে। মাংসের বেলায় আছে কিছু বিধিনিষেধ। চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়ার তালিকা থেকে ছেঁটে পরিমিত মাংস খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন।
দুধভাত
শিশু-কিশোরদের জন্য দুধ উৎকৃষ্ট খাদ্য হলেও বয়সীদের জন্য কিন্তু নয়। তাই বলে কি তাদের দুধ খাওয়া হবে না? চর্বিবিহীন দুধ পাওয়া যায় এখন বাজারে। তাতেই দুধের তৃষ্ণা মেটাতে পারেন বয়স্ক ব্যক্তিরা। আমাদের সন্তানেরা যেন সব সময় থাকে দুধে ভাতে।
তাজা ফল
এই গরমে ফল আর ফলের রসে গলা ভেজান। পেটভর ফল খেলেও মুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। হাড় আর দাঁত গঠনে রাখে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। হূদরোগের আশঙ্কা কমে যায় প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ। ক্যানসারের শঙ্কাকমে শতকরা ২২ ভাগ। সর্দি-কাশি সংক্রমণের বিরুদ্ধেও লড়ে ফল। মৌসুমি ফল তাই যেটাই পাওয়া যায় প্রতিদিন খান, রোগ পালাবেই।
সিদ্ধার্থ মজুমদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ২০, ২০১১
Leave a Reply