গর্ভধারণ একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ব্যাপার। স্বাভাবিক হলেও এ সময় শরীরে কিছু পরিবর্তন ঘটে। সে জন্য গর্ভকালীন সময়ে কিছু সাধারণ স্বাস্থ্যসমস্যা দেখা দেয়। এগুলো তেমন উদ্বেগের বিষয় নয়, সহজেই এসবের সমাধান সম্ভব। তবে অনেক সময় বা অনেকের ক্ষেত্রে এসব সাধারণ সমস্যাও বেশ কষ্ট দেয়। গর্ভকালীন কয়েকটি সাধারণ স্বাস্থ্যসমস্যা সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো:
বমি বমি ভাব বা বমি
দিনের শুরুতেই গর্ভবতীর বমি বমি ভাব হয় বা বমি হয়। প্রথম দিকে গর্ভ সঞ্চারের লক্ষণও এটি। দিনের অন্য যেকোনো সময়ও বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। সাধারণত গর্ভকালীন মায়েদের প্রথম তিন মাস পর্যন্ত এ লক্ষণ স্থায়ী হয়। গর্ভকালীন মায়েরা তেমন কিছু খেতে পারেন না। যা খান বমি হয়ে যায়। কোনো কিছুর গন্ধও সহ্য করতে পারেন না। গন্ধেও বমির উদ্রেক হয়। এ সমস্যা হলে অল্প করে ঘন ঘন খাবার খেতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই বিস্কুট, টোস্টজাতীয় শুকনো কিছু খাবার খেলেও উপকার পাওয়া যায়। তৈলাক্ত খাবার কম খেলেও উপকার পাওয়া যায়। বমি খুব বেশি হলে বা সমস্যাটা তিন মাসের বেশি স্থায়ী হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
বুক জ্বলা বা এসিডিটি
গর্ভকালে এ সমস্যাটা অনেকেরই হয়। গর্ভকালে প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় বলে এসিডিটি হয়। এসিডিটি বা বুক জ্বালা হলেও অল্প করে ঘন ঘন খাবার খেতে হবে। তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া খাবার ও বেশি মসলাযুক্ত খাবার কম খেতে হবে। একসঙ্গে বেশি খাবার না খেলেও উপকার পাওয়া যায়। খাওয়ার সময় পানি কম পান করতে হবে। দুই খাবারের মধ্যবর্তী সময়ে বেশি বেশি পানি পান কতে হবে। খাওয়ার পর পরই উপুড় হওয়া বা বিছানায় শোয়া উচিত নয়। তাতে বুক জ্বালা বাড়বে। চিকিৎসকের পরামর্শমতো অ্যান্টাসিডজাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
গর্ভকালে প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় বলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য একটি কষ্টকর সমস্যা। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অর্শ বা পাইলস এবং মলদ্বার ছিঁড়ে গিয়ে তাতে ক্ষত হতে পারে। ক্ষত শুকিয়ে মলদ্বার সরু হয়ে যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয়, সে জন্য দৈনিক পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। দৈনিক অন্তত আট গ্লাস চাই। আঁশ আছে এমন খাবার খেতে হবে বেশি বেশি। শাকসবজি, ফলমূল, বিচিজাতীয় খাবার, ডাল, পূর্ণ দানাশস্য খাদ্য, গমের আটা, ইত্যাদিতে আঁশ বেশি আছে। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম যেমন হাঁটাহাঁটি করাও কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সাময়িক পরিত্রাণের জন্য গ্লিসারিন সাপোজিটরি ব্যবহার করা যায়।
অর্শ ও পাইলস
দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে অর্শ হতে পারে। অর্শ হলে পায়খানা করার সময় মলদ্বারের রক্তনালি ছিঁড়ে রক্ত বের হয়। মলদ্বারে ব্যথা হয়। পাইলসের সমস্যা যেন না হয়, সে জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে, বেশি বেশি আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। আর অর্শ হয়ে থাকলে মলদ্বারের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে একখণ্ড বরফ টিস্যুতে বা বাপড়ে পেঁচিয়ে মলদারে ধরে রাখলে উপকার পাওয়া যাবে। একটা পাত্রে হালকা গরম পানি দিয়ে দিনে কয়েকবার তাতে কিছুক্ষণ বসে থাকলেও উপকার পাওয়া যাবে। চিকিৎসকের পরামর্শে অর্শের ক্রিম বা সাপোজিটরিও ব্যবহার করা যায়।
ঘন ঘন প্রস্রাব
গর্ভাবস্থায় জরায়ু বড় হয় এবং প্রস্রাবের থলিতে বাড়তি চাপ প্রয়োগ করে। এ কারণে প্রস্রাবের থলি পূর্ণ হওয়ার আগেই প্রস্রাবের চাপ অনুভূত হয়। সে কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। এ জন্য দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। ঘন ঘন প্রস্রাব হয় বলে পানি কম পান করা উচিত নয়; বরং পর্যাপ্ত পানিই পান করতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রস্রাব পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে ইনফেকশন আছে কি না বা ডায়াবেটিস আছে কি না তা দেখার জন্য। থাকলে সেইমতো চিকিৎসা নিতে হবে।
প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা
সামান্য কাশি হলে বা সামান্য ভারী কিছু ওঠানোর সময় প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা—বিশেষ করে গর্ভাবস্থার শেষের দিকে এ সমস্যা দেখা দেয়। প্রস্রাবের এমন সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রস্রাবের রাস্তা ও মলদ্বারের আশপাশের মাংসপেশির ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া যাবে।
নিম্নাঙ্গ বা পায়ের পেশিতে খিঁচুনি ও ব্যথা
সাধারণত গর্ভাবস্থার দ্বিতীয়ার্ধে এবং বিশেষ করে রাতের বেলায় হাঁটুর নিচে পায়ের পেছনের পেশিতে (কাফ মাসল) খিঁচুনি ও ব্যথা হয়। শোবার আগে কাফ মাসলের ব্যায়াম করলে পেশির খিঁচুনি হওয়ার আশঙ্কা কমে। আর খিঁচুনি হলে পায়ের আঙুলগুলো হাঁটুর দিকে বাঁকা করে টান টান করে কাফ মাসলের স্ট্রেচিং ব্যায়াম করতে হবে। তাতে খিঁচুনি কমবে। বিছানা থেকে উঠে একটু হাঁটলেও খিঁচুনি ও ব্যথা কমতে পারে।
নিম্নাঙ্গের বা পায়ের শিরা ফুলে আঁকাবাঁকা হয়ে যাওয়া
গর্ভাবস্থায় বড় হয়ে যাওয়া জরায়ু পায়ের দিক থেকে রক্ত ফিরে যাওয়ার পথে কিছুটা বাধার সৃষ্টি করে। তাই অনেকের ক্ষেত্রে নিম্নাঙ্গের শিরাগুলো কিছুটা ফুলে যায় এবং আঁকাবাঁকা হয়। এরূপ যেন না হয়, সে জন্য বা এমন হয়ে গেলে বেশিক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে না থেকে মাঝেমধ্যে একটু পায়চারি করার অভ্যাস করতে হবে। হাঁটাহাঁটির অভ্যাস করতে হবে। ঢিলেঢালা কাপড় পরতে হবে। বিশ্রাম নেওয়ার সময় পা দুটো সামান্য উঁচুতে রাখতে হবে। তবে এক পায়ের ওপর আরেক পা উঠিয়ে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা উচিত হবে না।
পিঠে বা কোমরে ব্যথা
গর্ভাবস্থায় শরীরের ওজন বেড়ে যায়। তা ছাড়া অস্থিসন্ধির লিগামেন্টগুলোও কিছুটা নরম ও নমনীয় হয়। এসব করণে পিঠে ও কোমরে ব্যথা হতে পারে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। দাঁড়ানো বা বসার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। একটানা বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে না থেকে মাঝেমধ্যে শুয়ে বিশ্রাম নিতে হবে। উঁচু হিলের জুতা ব্যবহার না করে নিচু হিলের জুতা ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করতে হবে।
মো. শহীদুল্লাহ
বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ
কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ০২, ২০১১
আমি লন্ডন এ থাকি । আমি গর্ভবতী । আমি গত ১৩/১২/২০১১ এ ultrasound করাই । এতে করে আমার রিপোর্ট আসে fetus – ১/১ , heart beat – present এবং ১২.৩ সপ্তাহ ও crl – ৫৯.১৭ । আমি এখনো আমার doctor এর সাথে appointment করিনি । next appointment ১৬ থেকে ১৮ সপ্তাহর মধ্যে । আগামি জানুয়ারী মাস এ আমার appointment । আমার doctor বলেছেন ১২ সপ্তাহ হলে folic acid খাওয়া বন্ধ করতে । আমি ১২.৩ সপ্তাহে বন্ধ করেছি । আমার এর আগে একবার গর্ভপাত হয়েছিল ৮ সপ্তাহে । আমি ভুল করে cod liver oil ভিটামিন খেয়েছিলাম । তারপর আমার baby র heart beat বন্ধ হয়ে যায় । আমি এখন খুব চিন্তীতি । এখন কি আমার গর্ভপাত হবার সম্বাবনা আছে ? আর যেহেতু এখন folic acid খাওয়া বন্ধ এখন আমি কি ধরনের খাবার খাব ? এবং crl – ৫৯.১৭ এর মানে কি ? please ভালো একটা বাচ্ছার জন্য আমি কি করব । একটা উপদেশ দিন ।
আপনার অন্য কমেন্টের নিচে উত্তর দেয়া হয়েছে।
গর্ভবতী হলে স্বামীর সাথে সেক্স করা যাই কি? বিশেষ করে প্রথম ৩ মাস?
শুধু প্রথম ৩ মাস নয়, যে কোনো সময়েই সেক্স করা যায়।
আমরা মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী । আমি ৩২ এবং আমার স্ত্রী ২২ বছর বয়সী । দুজনেই আরোগ্য । ২ বছরের সুখি বিবাহিত জীবন ।
গত মাসে আমার স্ত্রীর মাসিক বন্ধ হবার ১০দিন পর সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার পর জানতে পারি সে গর্ভবতী । এই বার্তা শুনে আমাদের দুই পরিবারেই সবাই আনন্দিত ।
আমরা evergreenbangla.com এ প্রবন্ধ/বিষয়বস্তু গুলো পাঠাভ্যাসে পরিনিত করেছি । অনেক প্রবন্ধ/বিষয়বস্তু বই আকারে নিজের সংগ্রহে রেখেছি এবং আরো জানার জন্য অনুরোধ করছি । দয়া করে আমাকে কোন লিংক বা ওয়েবসাইটের ঠিকানা দিন যেখান থেকে আমি “গর্ভকালীন জীবনধারা” বিষয়ে আরো জানতে পারি ।
সবাই ভালো থাকবেন ।
অভিনন্দন!
আমরাও খুব আনন্দিত হলাম আপনার খবর শুনে।
আপনি এই বিষয়ে যে কোন প্রশ্ন আমাদের করতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব উত্তর দেয়ার।
কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করছি ।
আমি ধারাবাহিক ভাবে এখানেই প্রশ্ন করে য়েতে চাই, যাতে করে আমার সুবিধা ও সময় বাঁচানো যায় ।
প্রশ্ন ১ : পরিবার ও লোক মুখে শুনেছি সাধারণত গর্ভকালীন মায়েদের প্রথম তিন মাস বা তারও বেশি সময় পর্যন্ত পেঁপে ও আনারস জাতীয় খাদ্যগ্রহণ করা উচিত নয় ?
প্রশ্ন ২ : গর্ভবতী মায়ের অহরহ বা প্রতিবার খাবারের পর ঠাণ্ডা পানি পান কতটুকো উপকার/অপকার ।
ভালো থাকবেন ।
১. একেবারেই খাওয়া যাবে না, তা নয়। মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। মাত্রাতিরিক্ত জুস খেলে জরায়ু সংকুচিত হতে পারে, সেই জন্য বেশি না খাওয়াই ভালো।
২. পানি পানে কোন সমস্যা নেই। উপকার অনেক। সারাদিনে দুই লিটারের বেশি পানি পান করা উচিত।
প্রশ্ন ৩: গর্ভকালীন বয়স ২৫দিন, প্রস্রাবে হালকা রক্ত যায় ৩দিন হয় , এখন কি করনিয় ?
আপনার ব্লাডার বা কিডনিতে কোন ইনফেকশন আছে কিনা, সেটা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। এছাড়া কিডনিতে পাথরের ব্যাপারটাও দেখা দরকার।
প্রশ্ন ৩ এর সমাধান আমরা পেয়েছি, যখন আমার স্ত্রী বসে বমি করত তখন প্রস্রাবে হালকা রক্ত য়েতো, এখন সে দাড়ানো অবস্থায় বমি করে তাই আর রক্ত যায়না ।
প্রশ্ন ৪ : গর্ভকালীন বয়স ১০সপ্তাহ, সারাদিনে একবার বমি হয় কিন্তু যখন জুস বা ফল খায় তখন বমির পরিমান বেড়ে যায়, ফলের পুষ্টিগুণ আছে এমন কিছু সবজির নাম জানালে ভালো হয়, বমির হাত থেকে তাকে নিরাপদ রাখা যেত ।
খেয়াল রাখুব বমিটা কখন বেশি হয়। ঐ সময়ের আগে কম খাবেন।
এমনিতে অল্প অল্প করে ২/৩ ঘন্টা পর পর খাবেন। সকালের দিকে শুকনা খাবার, যেমন বিস্কুট, টোস্ট- এসব খাবেন। ঘুমানোর প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন। জুস একবারে পুরোটা খাবেন না। একটু একটু চুমুক দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে খাবেন।
ভাজা, তৈলাক্ত, মসলা ও ঝাল খাবার এড়িয়ে চলবেন। যেসব খাবারে খুব কড়া গন্ধ, সেগুলো এড়িয়ে চলবেন। খুব গরম খাবার খাবেন না।
সব ফল ও শাকসবজিতেই পুষ্টি আছে।
প্রশ্ন ৫ : খুব গরম খাবার খাবেন না। এই কথাটি দিয়েই শুরু করি, গতকাল রাতে পাশের বাসা হতে দুটো কবুতরের ছানা এনেছি বেগম সাহেবা(স্ত্রী) কে খাওয়াবো বলে কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে স্বজনরা, তাদের মন্তব্য হলো কবুতর গরম খাবার তাই এটি খাওয়ানো যাবেনা । এই রকম মন্তব্য আরো কিছু কিছু খাবারেতেও আছে । সমাধান দিয়ে সহায়তা করবেন ।
(উল্লেখ্য : বিদেশি চিকিত্সকরা কোনো খাবারেই অসম্মতি দেননা )
ভালো থাকবেন ।
আমরা গরম বলতে তাপমাত্রা বুঝিয়েছি। আপনার স্বজনেরা বুঝাতে চাইছেন যে খাবারটা উত্তেজক। এটার কোন মানে নেই। সব ধরনের মাংশই উত্তেজক খাবার। সাথে ডিম আছে, দুধ আছে। এগুলো আসলে হাই প্রোটিন জাতীয় খাবার যা আমরা এমনিতেই আমাদের চাহিদার তুলনায় কম খাই।
ধর্মীয় বিধিবিধান ছাড়া কোন “খাবার” খেতেই সমস্যা হওয়ার কথা না। শুধু দেখতে হয়, খাবারটা পুষ্টিকর কিনা, এবং সেটা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে রান্না হয়েছে কিনা।
আমার স্ত্রী ১২ সপ্তাহের গর্ভবতী, আমাদের ১ টা সন্তান আছে, প্রথম সন্তানের বয়স ২.৫ বছর, এবার দ্বিতীয়বার এর মত গর্ভবতী হয়েছে, প্রথমবার কোন সমস্যা হয় নাই, কিন্তু এবার প্রথম অবস্থা থেকেই অল্প অল্প পেট বাথা করে, ইদানিং কোন কোন দিন বেশ অনেক পেট বাথা করে, সারা পেট জুরে বাথা, গাস্টিক নাই, পেট ধরলে বা চাপ দিলে ও বাথা, মাঝে মাঝে পিঠ ও কোমর ও বাথা করে, প্রায় প্রতিদিনই বমি হয়, নিয়মিত ডাক্তার দেখাচ্ছি, ডাক্তার বলেছে, এটা স্বাভাবিক, কিন্তু আমার কাছে বাপারটা ভালো লাগছে না। প্লিজ হেল্প মি।
ব্যাপারটা একেবারে অস্বাভাবিক লাগছে না। রাতে ঘুমের উপর নজর দিতে বলবেন। আর অল্প অল্প করে ঘনঘন খেতে বলবেন। এতে বমি কম হবে। নিয়মিত হাঁটাচলা করতে বলবেন।
স্যার আমার স্ত্রীর ২মাস সে কি বুকডান দিতে পারবে? গর্ভ অবস্থায় কত মাস পর্যন্ত বুকডান দিতে পারবে? আর কি কি ব্যাম করতে পারবে সহজ ভাষায় লিখবেন দয়া করে ।
মেয়েদের বুকডন পায়ের উপর ভর করে নয়, হাঁটুর উপর ভর করে দিলেই চলে। পেট বাড়তে থাকলে এটা দেয়া ঠিক হবে না। কেননা ধরুন যদি সামলাতে না পেরে শুয়ে পড়ে, তখন পেটে চাপ লাগতে পারে।
হালকা যোগব্যায়াম করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় নিয়মিত নিয়ম করে হাঁটলে। এতে বাচ্চার পজিশন ঠিক থাকবে।
স্যার আমার স্ত্রী গর্ভবতি হওয়ার পর থেকে ওর গায়ে টাচ করতে দেয় না কিচ দিতে দেয় না কিছুই থেতে চায় না খাবারের গন্ধ সয্য করতে পারে না বমি আসে ওর সাস্থ খারাপ হয়ে গেছে আমি এখন কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না আমি ওকে অনেক ভালবাসি প্লিজ পরামর্শ দিন ।
বাচ্চা এলে হরমোনজনিত কিছু পরিবর্তনের জন্য অনেকের এমন হতে পারে। আপনাদের এটা বুঝতে হবে সেই ভাবে ব্যাপারটা হ্যান্ডেল করতে হবে। দিন দিন তার খাওয়ার পরিমান আগের তুলনায় বাড়াতে হবে। তাকে বুঝিয়ে বলবেন যে বাচ্চা ঠিক রাখতে হলে খেতে হবে। যে খাবার ভালো লাগে, সেগুলো দেবেন। আর একবারে পেট ভরে খাওয়াবেন না। অল্প অল্প করে খাওয়াবেন। এতে বমি কম হবে। কয়েকদিন গেলেই ব্যাপারটা ঠিক হয়ে যাবে।
আমার বয়স ২৯ দুই বছর হল আমার বিয়ে হল এটা আমার প্রথম সন্তান বর্তমানে আমার চার মাস চলে তবে আমার তেমন বমি বা খাওয়ায় কোন অরূচি নাই কিন্তু আমার পিছনের একপাসে প্রচন্ড ব্যাথা করে বসলে,ঘুমালে আর উঠতে পারি না মনে হয় পিছনের হাড় বেংগে গেছে এখন বুজতে পারিনা বর্তমানে আমি কি করব আমি আবার সি এইচ সি পি আমার ক্লিনিক বাসা থেকে অনেক দুরে আমাকে এখন কি করতে হবে দয়া করে জানাবেন
অবশ্যই ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা করাবেন।