সুন্দর হাসির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে দাঁত। শুধু কি সৌন্দর্য, মুখের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও দাঁতের দেখভাল জরুরি। শুধু দুবেলা দাঁত মাজলেই তো দাঁতের যত্ন শেষ হয়ে যায় না। জানতে হবে আরও কিছু।
কোমল পানীয় কোমল নয়
কোমল পানীয় দাঁতে দাগ ফেলে সৌন্দর্য তো নষ্ট করেই। দাঁতকে সুরক্ষা দেয় যে এনামেল তারও ব্যাপক ক্ষতি করে। কোমল পানীয় খেলে তাই মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। আর সুযোগ থাকলে করে ফেলুন ব্রাশ ।
আপেল আর গাজরে
আপেলকে বলা হয় প্রাকৃতিক টুথ ব্রাশ। খাবার শেষে দাঁত ব্রাশ সম্ভব না হলে বিকল্প হিসেবে আপেল খেতে পারেন। আপেলের মতো গাজরেরও আছে দাঁত পরিষ্কারের প্রাকৃতিক ক্ষমতা। এগুলো খাবার অভ্যাস গড়ুন। দাঁত যেমন পরিষ্কার থাকবে, পুষ্টি চাহিদাও মিটবে।
সবুজ চায়ে
সবুজ চায়ে থাকে পলিফেনল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। উপাদান দুটি দাঁতের গায়ে প্লাক জমতে বাধা দেয়। ফলে দাঁত বেঁচে যায় আরও সব অনাবশ্যক ক্ষতি থেকে।
সাঁতারুদের জন্য
সুইমিংপুলের ক্লোরিন দাঁতে অনাবশ্যক দাগ যেমন ফেলে, দাঁত ক্ষয়েও ওস্তাদ ক্লোরিন। নিয়মিত সাঁতারুদের তাই সাঁতার শেষে করতে হবে দাঁত ব্রাশ। আর পুলের জল মুখে না নেওয়ারও অভ্যাস গড়তে হবে।
স্ট্র ব্যবহার
কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংক, কিংবা জুস। এগুলোতে থাকে সাইট্রিক আর ফসফরিক এসিডের মিশেল। এগুলো দ্রুত ক্ষয় করে দাঁতের এনামেল। মুখরোচক এ পানীয় খাবার বেলায় ব্যবহার করুন স্ট্র।
কমলার রসে
ভিটামিন সি এ সমৃদ্ধ কমলা। তৃষ্ণা মেটাতে বেছে নিন সি সমৃদ্ধ ফলগুলো। ভালো থাকবে মাড়ি। সুস্থ্য থাকবে দাঁত।
সিদ্ধার্থ মজুমদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১১
Leave a Reply