সম্ভবত পরিপাককর্মকে তুঙ্গে রাখার জন্য সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ পুষ্টি পদার্থ হলো প্রোবিয়াটিক্স। যিনি ওষুধ ব্যবহার করবেন, খুব বেশি চিনি, মদ ও শোধিত চাল বা ময়দা গ্রহণ করেন, এদের প্রোবিয়াটিক্স প্রয়োজন। প্রোবিয়াটিক্স হলো বন্ধুভাবাপন্ন ফ্লোরা, যা অন্ত্রে স্বভাবত থাকে। তবে এই বন্ধুভাবাপন্ন ফ্লোরা এভাবে বিনষ্ট হয়। বন্ধুভাবাপন্ন ফ্লোরা হলো হিতকরী জীবাণু যেমন এসিডোফিলাস ও বাইফিডাস যা নিয়মিত গ্রহণে গ্যাস দূর হয়, পেট ফাঁপা কমে, পেটের সমস্যা করে।
হজম উপশমক লতাগুল্ম
অনেকে খাবার পর গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। পেট ফাঁপার নানা কারণ আছে, যেমন কুপথ্য, এ্যালার্জি ও ছত্রাক সংক্রমণ। অনেকের দুধ খেলে পেট ফাঁপে। অনেক হার্ব বা লতাগুল্ম আছে যা কার্মিনেটিভ বা পাকস্থলীর বায়ুনাশক ওষুধ। এসব ওষুধ খেলে ভালো হজম হয়, গ্যাস উপশম হয়, কলিক ব্যথা হয় না এবং পেট ফাঁপা উপশম হয়। আদা, শা-জিরা, শুলফাসবজি, পুদিনাপাতা খুব ভালো। অন্ত্র দিয়ে মল ও বিষাক্ত দ্রব্য দ্রুত চলনের জন্য আদা সহায়ক। পুদিনার চাটনি খুব ভালো।
তেতো জিনিসের হিতকরী গুণ
আমরা অনেকে তেতো খেতে চাই না। আমার কিন্তু তেতো খুব পছন্দ। উচ্ছে, করলা, নিমপাতা ভাজি আমার খুব পছন্দের। হজমের জন্য তেতো খুব উপকারী। তেতো জিনিস এতো গুরম্নত্বপূর্ণ কেন? তেতো খাদ্য ক্ষুধার উদ্রেক করে, যকৃতের বিষক্ষয় করতে সহায়তা করে, পিত্তরস ক্ষরণ উদ্দীপ্ত করে, পাচকনলের দেয়াল মেরামতে সাহায্য করে, বমির উপশম করে, পুরো পাচকনলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। উচ্ছে, করলা, চিরতাপাতা, নিমপাতা, সাতকরা তেতো খেলে হজম হয় ভালো।
প্রতিদিনের সরস সালাদেও তেতো থাকুক। তেতো খাবারের একটি গুণ হলো এটি পিত্তরস কম হলে বমিভাব, কোষ্ঠবদ্ধতা, পেটে শূল, ফুড এ্যালার্জি, মাথাধরা, কলিকপেইন হতে পারে।
——————————–
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
দৈনিক নয়া দিগন্ত, ০২, মার্চ ২০০৮
Leave a Reply