প্রাপ্ত বয়স্ক বছরে গড়ে তিনবার ঠান্ডায় ভোগেন। এই ঠান্ডা কমবেশি স্থায়ী হয় নয়দিন। এই সূত্র যে সবার বেলা খাটবে এমন কিন্তু না। তবে পরিসংখ্যানটা মোটামুটি এমন। তাই বলে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না। ঠান্ডার বিরুদ্ধে যেমন লড়তে হবে, জিততেও হবে।
প্রচুর তরল খেতে হবে
ঠান্ডার জীবাণুগুলো শরীরে ঢোকার সাথে সাথেই তার কর্মযজ্ঞগুলো দ্রুত শুরু করে দেয়। শুরু হয় গলা ব্যথা , নাক বন্ধ ভাব। আরও কত্ত কি। এ সময়টায় দেরি না করে খেতে হবে প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার। আর তরল খাবার এ উপসর্গগুলোর বিরুদ্ধে খুব ভালো লড়তে পারে।
ফলের মধ্যে কমলা
শীতের এ সময় বাজারে প্রচুর কমলা পাওয়া যায়। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ঠান্ডা প্রতিরোধের এক বড় অস্ত্র, তাই ঠান্ডা লাগলে তো অবশ্যই না লাগলেও নিয়ম করে প্রতিদিন কমলা খান।
লবণপানিতে কুলকুচা
শীতের এ সময়টায় একটুু ঠান্ডা লেগে গেলেই গলার ভেতরটা কখনো কখনো কাঁটা বিঁধার মতো খচখচ করে। দ্রুত এক গ্লাস গরম পানিতে আধা চা-চামচ লবণ মিশিয়ে কুলকুচা করুন।
এই লবণ কণ্ঠনালির কোষ থেকে অতিরিক্ত জল শুষে নিয়ে গলার সংক্রমণ কমাবে। এ ছাড়া লবণপানি গলার ভেতরে বাসাবাঁধা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে ধুয়ে-মুছেও পরিষ্কার রাখবে।
মধুতে সমাধান
চিরচেনা সেই মধু হতে পারে সহজ সমাধান। এক কিংবা দুই চামচ মধু সরাসরি খেয়ে ফেলুন। আর মধুতে যদি অনিহা থাকে, চা খান। তবে চিনির বদলে মধু দিয়ে। ঠান্ডা পালাবেই।
শরীরকে বিশ্রাম দিন
জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়তে শরীরে শক্তির জোগান দিন। ভারী কাজ থেকে বিরত থাকুন। শরীরকে একটুখানি বিশ্রাম দিলে সে জীবাণুর সঙ্গে লড়বে বীরের মতোই।
হালকা শরীরচর্চা
আপনি যদি রাজি থাকেন, হালকা শরীরচর্চাও করতে পারেন। শরীরচর্চায় শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তবে মনে রাখতে হবে, এ শরীরচর্চা হবে খুবই পরিমিত।
দিনের শেষে
সুষম খাদ্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। তাই রাতের খাবারের তালিকায় মাছ, মাংস, ডালের মতো প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। সঙ্গে সবজি আর ফলমূল তো থাকবেই। আর এগুলো যদি মুখে না রোচে গরম এক বাটি স্যুপ অবশ্যই।
সিদ্ধার্থ মজুমদার
তথ্যসূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারী ১২, ২০১০
Leave a Reply