নারীরা সকালে উঠে একটি বড় ভুল করেন, তা হলো: প্রাতরাশ না করা অথবা কেউ কেউ একেবারেই ব্রেকফাস্ট করেন না।
সকালবেলা আগের রাতের চেয়ে ৮০ শতাংশ শক্তি নিঃশেষ হয়ে থাকে। যদি ঠিকমতো নাশতা না করা হয় তাহলে শরীর শক্তি সংরক্ষণ করতে থাকে এবং ক্যালোরি পোড়াতে থাকে কম—নেমে আসে দেহের বিপাবস্থার। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এ জন্যই যাঁরা প্রাতরাশ করেন না বা করলেও নামেমাত্র করেন, তাঁরা বেশ স্থূল হয়ে ওঠেন।
কিছু কিছু খাবার আছে, এতে এমন সব উপকরণ আছে, যেগুলো লড়াই করে মেদের বিরুদ্ধে। যেমন, খাবারে আঁশ, ওমেগা-৩, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি—এটি একটি শক্তিসঞ্চারী সম্মিলন—এর যুক্ত প্রভাবে মেদ পোড়ে আর রক্তের সুগার থাকে সুস্থিত।
গমের রুটি, সেই সঙ্গে ডিম, ছড়িয়ে দিন দারচিনির গুঁড়ো ও তিসি। দেখবেন একটি মিষ্টি, স্বাদু ফ্লেভার ও সংযুতি মোহিত করবে মন।
প্রাতরাশে কোমল, মিহি তরল
সহজ স্মুথি: ননিতোলা দুধের দই, স্ট্রবেরি, আখরোট, তিসি—রেখে দিন রাতে ফ্রিজে, চটজলদি প্রাতরাশ সকালে ওজন কমবে শরীরের।
চটজলদি প্রাতরাশ আরও?
রাতে ফ্রিজে ভ্যানিলা-দধি, টফু, আদা কুচি, আমের টুকরায় এলাচদানা দিয়ে ঘুঁটে রেখে দিন ফ্রিজে। সকালে পান করে ছোটেন না কাজে।
রুটি, আখরোট, ক্রানবেরি-দুধ
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ চর্বিহীন দুধ হলে আর কী চাই? এর ওপর ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ আখরোট, বাদাম, তিসি সঙ্গে ভ্যানিলা। বড় ভালো প্রাতরাশ। নারীদের ভালো লাগবে। সঙ্গে ক্রানবেরি দিলে চমৎকার। পাবেন তৃপ্তিকর মিষ্টত্ব।
ডিম-পালংশাক, আটার রুটি, টমেটো তোফা নাশতা
ডিম সেদ্ধ হলে পালংশাক, টমেটো, গমের রুটির স্যান্ডউইচ। পালংশাক ও টমেটোতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, গমের রুটিতে আঁশ, ডিমের প্রোটিন—দুপুর পর্যন্ত আর খিদে লাগবে না।
পিনাট বাটার, জেলি প্যানকেক
প্যানকেক, পিনাট বাটার, নিজের ঘরে জেলি বানালে ভালো। আনারস বা জামের জেলি। মধুও দিতে পারেন।
ঢেঁকিছাঁটা লাল চালের ভাত, কলা, দই চটকে
আবার একদিন ভাতের সঙ্গে নারকেল কোরা ও মধু সঙ্গে ননিতোলা দুধ, প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি, সঙ্গে র্যাজবেরি কেন নয়?
অন্য রকম প্রাতরাশ
খেতে পারেন বন্ধের দিন সকালে। গমের রুটি, ওটমিল, তিসি, দধি বা দুধ, ব্লুবেরি। আজকাল বিদেশি ফলও পাওয়া যায়। সহজ যোগ করতে পারেন মৌসুমি দেশি ফল।
সুস্বাদু প্রাতরাশ হতে পারে অন্য ধরনের, একটু বিদেশি
স্বাস্থ্যকর সবজি, কাঁচামরিচ, টমেটো, পালংশাক, মসলা, ধনেশাক, বিনস, লেবু—বেশ ভালো।
দৃষ্টিনন্দন ফ্রেঞ্চটোস্ট
গমের রুটি, ননিতোলা দুধ, ট্রান্স ফ্যাটমুক্ত মার্জারিন ছড়িয়ে। দারচিনির গুঁড়া—স্থিত রাখে রক্তের সুগার, কমায় রক্তের চর্বি। জেলি।
গমের বনরুটি ও অন্যান্য
গমের বনরুটি, সঙ্গে সামুদ্রিক মাছের সেদ্ধ করা টুকরো, কম চর্বি কম পনির। লেটুসপাতা সঙ্গে।
চীনা এগ প্যানকেক
হালকা ও সহজ নাশতা, ওমলেট, সঙ্গে বাঁধাকপি সেদ্ধ বা ব্রাশেলস অঙ্কুুর, গাজরের টুকরো, তিসি।
শুভ সকাল
এক গ্লাস দধি। শুকনো ফলের টুকরো, তিসি। টুকরো বাদাম। দারচিনি গুঁড়া ছিটিয়ে বেশ স্বাদু। রক্তের সুগারও ঠিক থাকে।
অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী
পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, বারডেম হাসপাতাল
সাম্মানিক অধ্যাপক, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ২৯, ২০১০
Leave a Reply