বাজারে সব মৌসুমেই পাওয়া যায় নানা বর্ণ, গন্ধ আর স্বাদের ফল। আর এই মৌসুমি ফলগুলো পাওয়া যায় কিন্তু হাতের কাছেই। মাছ-তরকারি কেনার সময় তাই প্রতিদিনই কিছু না কিছু ফল কেনা উচিত। পুষ্টিগুণের বিচারে ফলের জুড়ি মেলা ভার। আর ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে টাটকা ফলকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। কারও ফল খাওয়ায় অরুচি থাকলে রস হিসেবে আকর্ষণীয় করেও পরিবেশন করা যায়। সে ক্ষেত্রে পুষ্টিগুণের কোনো হেরফের হয় না। এক গবেষণায় দেখা যায়, খেলাধুলা বা ব্যায়ামের পর ফলের রস পান করলে শরীর দ্রুত সতেজ হয়। বাজারে কৃত্রিম ফলের রস পাওয়া যায়। কিন্তু এগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। বাড়িতে তৈরি ফলের রস হতে পারে উৎকৃষ্ট পানীয়। আপেলের রসে এক কাপে ১৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৯৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। ২০০ মিলিলিটার কমলার রসে আছে ১১২ ক্যালরি। এ ছাড়া নিয়মিত আঙুরের রস পান করলে অতিরিক্ত রক্তচাপ কমে। টমেটোর রসে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লাইকোপ্যান, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। প্রায় সব ফলই পুষ্টিগুণের বিচারে অনন্য। তাই নিয়ম করে ফলের রস খেলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত রোগ এড়ানো যায় এমনিতেই।
সিদ্ধার্থ মজুমদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১০
Leave a Reply