* আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে সম্পূর্ণ সেদ্ধ করে রান্না করা হাঁস, মুরগি, কবুতর বা অন্যপাখির মাংস খাওয়া যাবে।
* সম্পূর্ণ সেদ্ধ করে ডিম খাওয়া যাবে। অর্থাৎ অমলেট, রান্না করা, দুই পিঠেভেজে পোচ, মামলেট ইত্যাদি উপায়ে ডিম খাওয়া যাবে। হাফ-বয়েল ডিম খাওয়া যাবে না।
* হাঁস, মুরগি, কবুতর, পাখি ইত্যাদি ধরা, ছোঁয়া, নাড়াচাড়া কিংবা জবাই করার পর ছুরি, বঁটি ইত্যাদিসহ হাত সাবানপানি দিয়েধুয়েফেলতে হবে।
* শুধু ফার্মের হাঁস-মুরগি নয়, গৃহপালিত হাঁস-মুরগির ক্ষেত্রেও একই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
* যারা খামারি, অর্থাৎ খামারের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বে নিয়োজিত, তাদের হাঁস-মুরগি প্রতিপালনের সময়নাক-মুখ ঢেকে কাজ করতে হবে।
* যারা বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত এলাকায় হাঁস, মুরগি, পাখিনিধনের সঙ্গে জড়িত, তাদের সরকারিভাবে সরবরাহ করা পোশাক, গ্লাভ্স, মাস্ক, ক্যাপ ইত্যাদি যথাযথভাবে পরতে হবে।
* প্রতিবার হাঁস, মুরগি, কবুতর ও পাখির সংস্পর্শেআসার পর সাবানপানি দিয়েভালোভাবে দুই হাত কবজি পর্যন্ত উভয় দিকে ধুয়ে ফেলতে হবে।
* শিশুরা যাতে হাঁস, মুরগি, কবুতর বা অন্যপাখি নিয়েখেলা না করে সেদিকে খেয়ালরাখুন। কোনো শিশু হাঁস, মুরগি, কবুতর বা অন্যপাখির সংস্পর্শেএলেসাবানপানি দিয়ে হাত ধুয়েনিন।
* রান্নার সময়মাংস কাটার পর আলাদা পাত্রে রাখতে হবে। কাটাকুটির পর বঁটি, দা ভালোভাবে সাবানপানি দিয়েধুয়েফেলতে হবে। রান্নার জন্যতৈরি কাঁচা মাংস আলাদা রাখতে হবে। অন্যান্যসবজির সঙ্গে মেশানো যাবে না।
* বার্ড ফ্লু ভাইরাস উচ্চ তাপে (৭০ ডিগ্রিসেন্টিগ্রেড) মরে যায়। তাই হাঁস, মুরগি, পাখি, কবুতরের মাংস ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে।
ডা· ইকবাল কবীর
সূত্রঃ প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারী ২০, ২০০৮।
Leave a Reply