শিশুর অসুখে জ্বর হলো খুব সচরাচর এক লক্ষণ। তবে কখনো কখনো তাপমাত্রা কমে যাওয়া, অর্থাৎ হাইপো থারমিয়াও ঘটতে দেখা যায়, বিশেষত নবজাতক শিশুর।
* এক বছরের কম বয়সী শিশুর জ্বর নির্ণয়ে পেটের ওপর উঁচু ভাঁজ করে গ্রোইনে থার্মোমিটার রেখে তাপমাত্রা দেওয়া হয়, যা ৩৭০ সেন্টিগ্রেড বা ৯৮·৪০ ফারেনহাইট। কিংবা পায়ুপথে রেকট্যাল থার্মোমিটার ব্যবহার করে তাপমাত্রা মাপা হয়, যার স্বাভাবিক মান হবে ৩৭·৫০ সেন্টিগ্রেড বা ৯৯·৫০ ফারেনহাইট। বড় বাচ্চার তাপমাত্রা নির্ণয়ে বগলের নিচে থার্মোমিটার রেখে রিডিং নেওয়া বেশি সুবিধাজনক।
* ২৯-৪৩০ সেন্টিগ্রেড বা ৮৫-১০৯০ ফারেনহাইট পর্যন্ত রেখাঙ্কিত লো রিডিং থার্মোমিটার প্যাডিয়াট্রিকস প্র্যাকটিসে বেশি প্রয়োজন। এতে শিশুর কম তাপমাত্রা বা অত্যধিক শীতল হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করা সম্ভব।
* যারা প্রিম্যাচিউর্ড ইনফ্যান্ট তাদের দেহের তাপমাত্রা পূর্ণ গর্ভকাল পাওয়া ইনফ্যান্টের তুলনায় ১০ ফারেনহাইট নিচে অবস্থান করে।
ডা· প্রণব কুমার চৌধুরী
সূত্রঃ প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারী ২০, ২০০৮।
Leave a Reply