‘আমাকে আর আমার পরিবারকে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হচ্ছে থ্যালাসেমিয়ার বিরুদ্ধে। সব কাজের মধ্যে একটা চিন্তাই ঘুরপাক খায়। সামনের মাসে কোথা থেকে রক্ত নেব? রক্ত আদৌ পাওয়া যাবে তো? প্রতি মাসে রক্ত আর ওষুধের জোগান দিতে দিতে আমরা হয়রান। আমাদের যে আরও কিছুদিন বাঁচতে ইচ্ছা করে। সরকার কি আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারে না?’
৮ মে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন এবং হেলথ রাইটস মুভমেন্ট ন্যাশনাল কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি এবং থ্যালাসেমিয়া’ শীর্ষক গোলটেবিলে এমনই প্রশ্ন ছিল একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকেরা। গোলটেবিলে সঞ্চালক ছিলেন চিকিত্সক মুরাদ সুলতান। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক রশিদ-ই-মাহাবুব। তিনি বলেন, ‘চিকিত্সক হিসেবে এই অসহায় রোগীদের প্রতি আমাদের যেমন কর্তব্য আছে, তেমনই সরকারকেও দায়িত্ব নিতে হবে।’ বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আখতারী মমতাজ। তিনি বলেন, ‘সরকার কিন্তু একা সবকিছু করতে পারে না। তাই সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমিও চাই, থ্যালাসেমিয়া জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে অন্তর্ভুক্ত হোক।’ গোলটেবিলের প্রধান অতিথি এবং শেষ বক্তা ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ। তিনি বলেন, ‘আমরাও চাই, এ রোগের সুচিকিৎসা হোক। মানুষ যেন চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই দুয়ার আমরা খুলে দিতে চাই।’
—সিদ্ধার্থ মজুমদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ১২, ২০১০
Leave a Reply