জীবনের ধরনই বদলে যাওয়া। বয়সের সাথে পাল্লা দিয়ে বদলে যায় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কাঠামো আর কর্মক্ষমতা। ফলে পাল্টে যায় জীবন যাপনের ধরনও। একটু সচেতন হলেই এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব। কেননা সুস্থ থাকা আর সুন্দর থাকাটা সম্পূর্ণ আপনার কাছেই আছে। শুধু জীবনের প্রথম দিক থেকে একটু হিসেব করে দেখে শুনে বুঝে পা বাড়ালেই হল।
২০-৩০ বছর
জীবনের এই সময়টাই হচ্ছে অভ্যাস গঠনের সঠিক সময়। তবে এ বয়সটাই কেমন ছন্নছাড়া। কিন্তু একটু সতর্ক হলে লাভ কিন্তু আপনারই হবে। প্রথমেই ব্যায়াম আর সঠিক ডায়েটের পরিকল্পনা করে নিন। তবে খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন আপনার দৈনন্দিন কাজকর্মের সঙ্গে মানানসই হয়। যত তাড়াতাড়ি এই অভ্যাস গড়তে পারবেন ততই ভাল। অসুস্থ হলেই ডাক্তার নন। যদি পরিবারে কারও ডায়াবেটিক বা হৃদরোগের ইতিহাস থাকে তবে আরো একটু সচেতন হওয়া ভাল। ব্যায়ামের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। সাথে প্রচুর পরিমাণে খেতে পারেন সবুজ শাকসবজি, ছোট মাছ, দুধ।
৪০ বছর
এই সময়েই শরীরের বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। জীবনের দায়দায়িত্ব বেড়ে যায় অনেকখানি। বিশেষ কম ফ্যাটযুক্ত খাবার খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। হাঁটার অভ্যাস করলে সবচেয়ে ভালো হয়। আপনার খাবারের তালিকায় ক্যালসিয়াম রাখার চেষ্টা করুন। নিয়মিত চেকআপ এই বয়সে অত্যন্ত জরুরি।
৫০ বছর
এই বয়সে শরীরের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। কেননা এ সময় শরীরের ত্বক পাতলা ও শুষ্ক হয়ে যায়। এজন্য সানস্ক্রিন ও ময়েশ্চারাইজার নিয়মিত ব্যবহার করুন। দুশ্চিন্তা কমানোর চেষ্টা করুন। কম ফ্যাটযুক্ত খাবার খান। নিয়মিত চেকআপ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। মোনোপজের সমস্যা বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৬০ বছর ও তারপর
মূলত এই ক’দিন কেমন যত্ন নিয়েছেন শরীরের তার উপরেই অনেকাংশে নির্ভর করে এই সময়ের সুস্থতা। পুষ্টিকর খাবার বেশি বেশি খান, চোখের নিয়মিত যত্ন নিন। পরিবারের সদস্যদের সাথে গল্প করুন।
কি কি করবেন
০ প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করার করুন।
০ প্রচুর সবুজ শাকসবজি ও ফল খান।
০ যখন তখন না খেলেই ভাল।
০ ভাজাভুজি যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
০ রাতের খাওয়া ও সকালের খাওয়া তাড়াতাড়ি খান।
০ যে ধরনের ব্যায়াম ভাল লাগে সেই ব্যায়াম করুন।
০ ছিপছিপে থাকার জন্য না খেয়ে না থেকে সঠিক ডায়েট বেছে নিন।
০ অযথা টেনশন বা দুশ্চিন্তা করবেন না।
০ মেডিটেশনের বা নামাযের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
০ প্রাণখুলে হাসার চেষ্টা করুন সবসময়।
০ লবণ, তেল জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব কম খান।
০ চা, কফির পরিমাণ কমিয়ে দিন।
০ কৃত্রিম রঙ ও গন্ধ দেওয়া খাবার না খাওয়াই ভাল।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, এপ্রিল ২০, ২০১০
Leave a Reply