ওষুধের ঢালাও ও ভুল ব্যবহার হচ্ছে। গবেষকেরা বলছেন, ব্যবস্থাপত্রে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ বেশি লেখা হচ্ছে। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ছে এবং ক্ষেত্রবিশেষে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে গ্রাহকের ওপর আর্থিক চাপ পড়ছে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও সমস্যা অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে বেশি।
ওষুধ গবেষক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, রোগ নির্ণয়ের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসকেরা বেশি ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির ওপর নজরদারির ব্যবস্থা নেই বলে এর অপব্যবহার হচ্ছে বেশি।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কলাবাগানে একটি ওষুধের দোকানে সকাল ১০ থেকে ১১টা পর্যন্ত থেকে দেখা গেছে, এক ঘণ্টায় ৫৪ জন গ্রাহক ওষুধ কিনতে এসেছিলেন। তাঁদের ২৭ জনের হাতে চিকিৎসকের দেওয়া ব্যবস্থাপত্র ছিল। এর মধ্যে নয়টিতে অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়ার পরামর্শ ছিল। ১৭ জনের কোনো ব্যবস্থাপত্র ছিল না। তাঁদের দুজন অ্যান্টিবায়োটিক কেনেন।
২০০৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত অ্যান্টিবায়োটিক গাইড-এ বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বা ভুল ব্যবহারের কারণে ব্যক্তি ও সমাজকে বাড়তি মূল্য দিতে হচ্ছে। জাতীয়ভাবে বছরে ওষুধের জন্য যে খরচ হয়, তার ৪০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিকের জন্য—যার পরিমাণ চার হাজার কোটি টাকার বেশি।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের আর্থিক সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে দেশের ছয় বিভাগের ছয়টি জেলা হাসপাতালে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ে একটি গবেষণা চলছে। ওই গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সার্জারি, জেনারেল মেডিসিন ও শিশু বিভাগে ভর্তি হওয়া রোগীদের ৮০ শতাংশকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো প্রয়োজনই ছিল না।
দেশে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘একজন চিকিৎসক ওষুধ প্রয়োগের সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার এড়িয়ে চলতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পক্ষে নিয়ম মেনে চলা সম্ভব হয় না।’
ওষুধের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার বেশি হচ্ছে: নাগরিক সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যবস্থাপত্রে একটির বেশি ওষুধ লেখার হার অত্যন্ত বেশি এবং ক্রমশ তা বাড়ছে। ‘কেমন চলছে স্বাস্থ্য খাতের পরিচালনা’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি ব্যবস্থাপত্রে তিন বা তিনের অধিক ওষুধের নাম লেখার হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৪ সালে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৫ শতাংশ ব্যবস্থাপত্রে তিন বা তিনের অধিক ওষুধের নাম লেখা হতো। ২০০৯ সালে তা বেড়ে ৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি ব্যবস্থাপত্রে তিন বা তিনের অধিক ওষুধ (পলিফার্মেসি) থাকলে নানা ধরনের ঝুঁকি বাড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটির সভাপতি আ ব ম ফারুক বলেন, প্রতিটি ওষুধেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। বেশি ওষুধ খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশি হয়। এ ছাড়া একাধিক ওষুধের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে, ওষুধ বিক্রেতার ভুল ওষুধ দেওয়ার আশঙ্কা থাকে, ওষুধ গ্রহণে রোগী ভুল করতে পারে। বেশি ওষুধের কারণে চিকিৎসাব্যয়ও বেড়ে যায়।
ইনজেকশনের অনিরাপদ ব্যবহার: দেশের ছয় বিভাগের ২৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে এক গবেষণা জরিপে (২০০৯) দেখা গেছে, গড়ে ৭৮ শতাংশ রোগীকে ইনজেকশন দেওয়া হয়। রোগীপ্রতি ইনজেকশন প্রয়োগের হার সর্বনিম্ন ১ দশমিক ৪ (ঢাকা বিভাগ) থেকে সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ২৬ (খুলনা বিভাগ)।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের আর্থিক সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগ, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগ এবং স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ যৌথভাবে এই গবেষণা করেছে। ইনজেকশনের নিরাপদ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার ও তার ফলাফলবিষয়ক গবেষণায় বলা হচ্ছে, ইনজেকশন প্রয়োগের সময় স্বাস্থ্যকর্মীরা (চিকিৎসক ও নার্স) পর্যাপ্ত নিরাপদ ব্যবস্থা নেন না। অন্যদিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মীদের ১০ দশমিক ৫ থেকে ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ রক্তমাখা সুঁইয়ের খোঁচা খেয়েছেন বলে জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, এসব স্বাস্থ্যকর্মী হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি বা এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে।
আ ব ম ফারুক এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক চিকিৎসক রোগীর কাছে নিজের গুরুত্ব জাহির করতে ইনজেকশন দেন। অনেক রোগী বিশ্বাস করেন, ইনজেকশনে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়। গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসক ইনজেকশন দেওয়ার জন্য বাড়তি ফি পান বলে রোগীকে ইনজেকশন নেওয়ার পরামর্শ দেন। একই গবেষণায় দেখা গেছে, সচেতনতা বৃদ্ধি হলে এবং প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী থাকলে ইনজেকশনের কম ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার হচ্ছে, ব্যয় বাড়ছে: আজাদ চৌধুরী বলেন, একসময় অ্যারিথ্রোমাইসিন (১৯৫৫ সালে ব্যবহার শুরু) ও অ্যাজিথ্রোমাইসিন (১৯৮১ সালে ব্যবহার শুরু) নিউমোনিয়া নিরাময়ে খুবই কার্যকর ওষুধ ছিল। কিন্তু এর ঢালাও ব্যবহারের কারণে ওষুধের কার্যকারিতা কমেছে। নিউমোনিয়ার ব্যাকটেরিয়া ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় এমনটি হচ্ছে। একাধিক চিকিৎসক তাঁর এই বক্তব্য সমর্থন করেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. আবিদ হোসেন মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধিতে বলা আছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর নিউমোনিয়া নিরাময়ে অ্যাজিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করা যাবে না। তিনি শিশুদের চিকিৎসায় সব সময় অ্যান্টিবায়োটিক কম ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলার জন্য নির্দিষ্ট মাত্রায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে যেতে হয়। অ্যান্টিবায়োটিকের রাসায়নিক বিক্রিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাকটেরিয়া বেঁচে থাকার চেষ্টা করে। মাত্রা সঠিক না হলে অথবা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করলে ব্যাকটেরিয়া রাসায়নিক বিক্রিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে টিকে থাকে। ব্যাকটেরিয়া তখন ওষুধ প্রতিরোধী বা ‘রেজিসটেন্স’ হয়ে যায়। পরবর্তী সময় ওই অ্যান্টিবায়োটিকে রোগী আর সুস্থ হয় না। তখন উচ্চক্ষমতার অথবা নতুন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয়।
এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, বিধি হচ্ছে ‘সেনসিটিভিটি’ (ওষুধে জীবাণুটির স্পর্শকাতরতা) পরীক্ষার পর অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া। কিন্তু রাজধানীর কয়েকটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ছাড়া উপজেলা, জেলা হাসপাতালে সেনসিটিভিটি পরীক্ষার কোনো অবকাঠামো বা সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে গ্রামে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমনকি শহরে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করেই চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, পরীক্ষার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকলে অনেক রোগীর জীবন রক্ষাই সম্ভব হবে না।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাধারণ যক্ষ্মা নিরাময়ে নিয়ম মেনে ছয় মাস অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়। বাজারে এই ওষুধের দাম দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে অনিয়ম হলে ওষুধ প্রতিরোধী (মাল্টি ড্রাগ রেজিসটেন্স) যক্ষ্মা দেখা দেয়। এর চিকিৎসায় সময় লাগে ২৪ মাস, আর শুধু ওষুধের জন্য খরচ হয় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স: সিনথেসিস অব রেকোমেনডেশনস বাই এক্সপার্ট পলিসি গ্রুপ’ প্রতিবেদনে একাধিক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। এদের ৫০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার মতো নয়। এতে আরও বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধজনিত কারণে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রামক রোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে বছরে চার বিলিয়ন ডলার ব্যয় বেড়েছে অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ব্যয় বেড়েছে প্রায় ২৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
জাতীয় নীতিমালা দরকার: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে, পৃথিবীর অনেক দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার হচ্ছে এবং তা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবেও দেখা দিয়েছে। এই সংস্থা বলছে, (অ্যান্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স: সিনথেসিস অব রেকোমেনডেশনস বাই এক্সপার্ট পলিসি গ্রুপ) অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধ সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে; প্রতিরোধের তথ্য সংগ্রহের জন্য নজরদারি বাড়াতে হবে এবং উন্নয়নশীল দেশে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ সমস্যা হ্রাস করার কাজে সম্পদ বাড়াতে হবে।
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান অ্যালায়েন্স ফর প্রুডেন্ট ইউজ অব অ্যান্টিবায়োটিক ১৯৮৫ সালে তত্কালীন পিজি হাসপাতালের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিকের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে। ২০০৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক গাইডলাইন তৈরি করে। বিএসএমএমইউর অধিকাংশ চিকিৎসক এই নির্দেশিকা মানেন না। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয়েছে এমন পাঁচজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক এই নির্দেশিকার নামই শোনেননি।
একাধিক ওষুধ বিজ্ঞানী ও জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক বলেছেন, জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে জাতীয়ভাবে ও বিশেষায়িত হাসপাতালের নিজস্ব অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের নীতিমালা বা নির্দেশিকা থাকা দরকার। এই নির্দেশিকা জনসচেতনতা বাড়াবে।
আজাদ চৌধুরী বলেন, চিকিৎসকেরা যত দূর সম্ভব নীতিমালা মেনে ব্যবস্থাপত্র লিখবেন। আর সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধের দোকান যেন কোনো অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না করে।
সংক্রামক রোগ নিরাময়ে অ্যান্টিবায়োটিকের আবিষ্কার ও ব্যবহার চিকিৎসা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ঘটনা। ১৯৪০ সালে পেনিসিলিন আবিষ্কার হয় এবং ১৯৪৩ সালে এর ব্যবহার শুরু হয়। এরপর ১৯৪৪ সালে স্ট্রেপ্টোমাইসিন আবিষ্কারের পর ১৯৪৭ সালে ব্যবহার শুরু হয়। কিন্তু ১৯৪৭ সালেই জীবাণুর স্ট্রেপ্টোমাইসিন প্রতিরোধী ক্ষমতা বা ‘রেজিসটেন্স’ ধরা পড়ে। পেনিসিলিনের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে ১৯৬৫ সালে। আজ অবধি অনেক অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কৃত হয়েছে। একই সঙ্গে এদের প্রতিরোধী হওয়ার খবরও প্রকাশিত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই সমস্যা চলছে।
অ্যান্টিবায়োটিকের নাম আবিষ্কারের চিকিৎসায় ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ
বছর প্রয়োগ শুরু ধরা পড়ার বছর
পেনিসিলিন ১৯৪০ ১৯৪৩ ১৯৬৫
স্ট্রেপ্টোমাইসিন ১৯৪৪ ১৯৪৭ ১৯৪৭, ১৯৫৬
টেট্রাসাইক্লিন ১৯৪৮ ১৯৫২ ১৯৫৬
এরিথ্রোমাইসিন ১৯৫২ ১৯৫৫ ১৯৫৬
ভানকোমাইসিন ১৯৫৬ ১৯৭২ ১৯৮৭
জেন্টামাইসিন ১৯৬৩ ১৯৬৭ ১৯৭০
সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ২০০১; অ্যান্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স: সিনথেসিস অব রেকোমেনডেশনস বাই এক্সপার্ট পলিসি গ্রুপ
শিশির মোড়ল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ০৩, ২০১০
Leave a Reply