হাঁচি-কাশি শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ-ব্যবস্থার একটা অংশ। সুস্থ মানুষ যখন কাশে তখন কাশের কফ বেরিয়ে আসে। কিন্তু ফুসফুসের রোগাক্রান্ত মানুষদের কাশতে অসুবিধা হয় বা কাশতে পারেন না। ফলে তার ভেতরের কফ বের হতে পারে না। এতে করে তার ফুসফুসের ভেতরে সংক্রমণ বা ইনফেকশন পুঞ্জীভূত হয়, যা রোগ নিরাময়ে বিরাট অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং রোগীকে কাশির কার্যকর কৌশল রপ্ত করা খুব জরুরি।
যখন একজন মানুষ কাশে তখন তার নিম্নলিখিত প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
গভীর শ্বাস নেওয়া।
গ্লটিস (শ্বাস রন্ধ্র) বন্ধ হয়, স্বরনালি বা ভোকাল কর্ড শক্ত হয়।
পেটের পেশি শক্ত হয় ও ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছেদা পেশি উঁচু হয়। ফলে বক্ষ গহবর (ইনট্রা থোরাসিক) ও পেটের ভেতরে (ইনট্রা এরডোমিনাল) চাপের সৃষ্টি করে।
গ্লটিস খোলে এবং প্রচণ্ড জোরে শ্বাস বেরিয়ে আসে।
কীভাবে কাশবেন:
যে কাশিতে কফ বের হয়ে যায় সেটাই কার্যকরী কাশি। সাধারণত কাশি অনৈচ্ছিক এবং আমাদের প্রতিক্রিয়ার অংশবিশেষ। কিন্তু নানা কারণে এই ক্রিয়ায় ঘাটতি দেখা দেয়। এসব রোগীর কাশতে বললে সাধারণত গলা খাকারি দেওয়ার ভঙ্গিতে কাশে এবং থুথু ফেলে, যা মোটেই কার্যকরী কাশি নয়।
নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
সামনে ঝুঁকে বসুন।
ধীরে ধীরে এমনভাবে শ্বাস নেবেন, যাতে বুকের উপরিভাগ ফুলে ওঠে। শ্বাস নেওয়াতে মনোযোগ দিন।
এবার ধীরে ধীরে শ্বাস ছেড়ে গভীর শ্বাস নিন এবং সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে পেটের পেশি শক্ত করে কাশুন। কাশির সময় মুখ বন্ধ রাখবেন।
এভাবে পরপর দুবার কাশি দেবেন। সাধারণত দ্বিতীয়বার কাশির সময় কফ বেরোবে।
মনে রাখবেন:
কাশার সময় আলাদা শ্বাস নেওয়া চলবে না। কারণ এমন করলে,
এতে ব্রঙ্কোস্পাজম (বায়ুনালিতে প্রদাহ বা ঘা সাময়িক সংকীর্ণ হয়ে যাওয়া) বাড়তে পারে।
রোগী অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
এভাবে শ্বাস নিলে শ্বাসের সঙ্গে হাওয়ায় ভাসমান বিষাক্ত পদার্থ সরাসরি ফুসফুসে প্রবেশ করার আশঙ্কা থাকে।
ঘাড় ও বুকসংলগ্ন কর্ড ইনজুরির জন্য রোগীর পেটের পেশি দুর্বল হয়ে কার্যকর কাশিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে সেসব ক্ষেত্রে রোগীদের নিচের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
কাশার সময় মাথা সামনের দিকে ঝুলিয়ে দেবেন।
চিত্ হয়ে শুয়ে বুকের খাঁচার নিচে পেটের ওপর আপনার এক হাতের তালুর ওপর অন্য হাত রাখুন।
এভাবে পেট চেপে গভীরভাবে শ্বাস নিন এবং একই পদ্ধতিতে কাশতে থাকুন।
অন্য যেসব কৌশলে কাশানো হয়:
কফ অত্যধিক ঘন হয়ে গেলে আলট্রাসনিক নেবুলাইজার থেরাপির সাহায্য নিতে হবে।
পেটের ঊর্ধ্বাংশের কোনো অপারেশন হলে রোগী কাশার সময় সেলাইয়ের স্থানে বালিশ চেপে কাশবেন।
শিশু বা যেসব রোগী কোনো অবস্থায়ই চিকিৎসকের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অনিচ্ছুক সেসব ক্ষেত্রে তাদের একটি বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, যাকে বলা হয় ট্রাকিয়াল ট্রিকল। এ পদ্ধতিতে রোগীর পাজরের মধ্য হাড় (স্টারনাম)-এর ওপরে কণ্ঠলগ্ন শ্বাসলগ্ন শ্বাসনালিতে দুই আঙুল, যথাক্রমে প্রথমা ও মধ্যমা রেখে বৃত্তাকারে ওপরে ধীরে ধীরে চাপ দিতে থাকলে রোগী অবশ্যই কাশবেন।
সাবধানতা:
রোগীকে যত দূর সম্ভব আরামদায়ক অবস্থায় থাকতে হবে।
অনিয়ন্ত্রিত কাশি (পা অক্সিজমাল কাফিং) যাদের আছে, তারা এ পদ্ধতি অবলম্বন করে কাশবেন না।
অধিক উচ্চ রক্তচাপ ও হূদরোগীদের জোর করে কাশানো যাবে না।
এস এম নওশের
মেডিকেল অফিসার, স্বেচ্ছা রক্তদান অফিসার
স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ২৪, ২০১০
asia
amaer koff er sathe blood er moto jaye. amer boro kono oshuk
Bangla Health
ডাক্তার দেখানো উচিত।
Rakip
Amar kiso din por por kash hoy.khob bashi.shatha shashkoshto hoy.ami smoking kori.majha majha kashar shata rokto bar hoy.smoking bad dila kash akto koma.plz doctor ans me.
Bangla Health
ধূমপান বাদ দিলে সমস্যা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে আগেই শরীরে কিছু হয়ে আছে কিনা, সেটা ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা করে নেবেন।