আধুনিক জীবনযাত্রার নানা কুপ্রভাবে জন্ম নেয় শরীরের অত্যধিক ওজনের সমস্যা। অতিমাত্রায় জাঙ্কফুড খাওয়া আর প্রয়োজনীয় এক্সারসাইজের অভাব ধীরে ধীরে ঠেলে দেয় ওবেসিটির দিকে। কিন্তু নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজন সচেতনতা এবং হাতে খানিকটা সময়। ওবেসিটি এখন পৃথিবী জুড়ে এক মারাত্মক অসুখ হিসেবে স্বীকৃত। তাই সব বয়সের মানুষকেই সচেতন থাকতে হয়। খাওয়ার অভ্যাস আর কয়েকটি সাধারণ এক্সারসাইজ নিয়মিত করলে এ সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব।
এক্সারসাইজ : ১
সোজা হয়ে শুয়ে পড়ণ্ডন। হাত এবং পা টান টান রাখুন। কোমর থেকে বাঁকিয়ে শরীর উপরের দিকে তুলুন। হাত দুটি যেন মাথার উপর থাকে। আস্তে আস্তে হাত দুটো সামনের দিক থেকে নামিয়ে এনে পায়ের বুড়ো আঙ্গুল স্পর্শ করুন। এ অবস্থায় ৫-১০ সেকেন্ড থাকুন। এভাবে অন্তত ১০ বার রিপিট করুন।
এক্সারসাইজ : ০২
৫ মিনিট একটু দ্রুতবেগে হাঁটুন যাতে অল্প ঘাম বের হয়। তারপর এক জায়গায় দাঁড়িয়ে স্পট জগিং করুন। জগিং করার সময় খেয়াল রাখুন আপনার হাঁটু যেন পেট অবধি ওঠে। প্রয়োজন হলে আপনার হাতের তালু উল্টো করে পেটের কাছে রাখুন যাতে জগ করার সময় হাঁটু আপনার হাত স্পর্শ করে। অন্তত ১০-১৫ মিনিট এভাবেই জগিং চালিয়ে যান।
এক্সারসাইজ : ০৩
সোজা হয়ে দাঁড়ান। হাত দুটো সামনের দিকে টানটান করে মেলান। এবার হাত দুটো সোজা করেই আস্তে আস্তে পায়ের আঙুলে ঠেকান। হাঁটু ভাঙবেন না। এভাবে ১০ বার রিপিট করুন।
এক্সারসাইজ : ০৪
উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ণ্ডন। দুটো হাতের তালু বুকের দু’পাশে মেঝের উপর রাখুন। এবার হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে শরীরটাকে আস্তে আস্তে উপর দিকে তুলুন। পায়ের আঙ্গুলকে ভর হিসেবে ব্যবহার করে শরীরের নিচের অংশও উপরে তুলুন। হাত ও পায়ের আঙ্গুলের উপর ব্যালান্স করে শরীরকে ৫-১০ সেকেন্ড শূন্যে রাখুন, তারপর ধীরে ধীরে নামিয়ে এনে বুক দিয়ে মাটি স্পর্শ করুন। এই পুশ আপ এক্সারসাইজ ১০ বার রিপিট করুন।
এক্সারসাইজ : ০৫
সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করুন। হাত দুটো ফোল্ড করে মাথার নিচে রাখুন। আস্তে আস্তে কোমর বেঁকিয়ে শরীরটাকে তুলতে থাকুন, যাতে আপনার মুখটা দু’হাঁটুর ভাঁজে গিয়ে ঠেকে। আবার আস্তে আস্তে শুয়ে পড়ণ্ডন। এভাবে ১০ বার রিপিট করুন।
মনে রাখুন
০ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে শরীরের ওজন এবং উচ্চতার অনুপাত (বডি মাস ইনডেক্স) ঠিক আছে কিনা জেনে নিন। তারপর তার ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী ওয়েট লস প্রোগ্রাম শুরু করুন।
০ দিনে ৩০-৬০ মি: এক্সারসাইজের জন্য বরাদ্দ করুন। ব্রিস্ক ওয়কিং সাইক্লিং, সুইমিং, এ্যারোবিক্স ওজন কমাতে সাহায্য করে।
০ লো ক্যালরি এবং কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খান। ছাকা তেলে ভাজা, মশলাদার খাবার এবং মিষ্টি এড়িয়ে চলুন। ডায়েটে ফলমূল এবং সবুজ শাকসবজির মাত্রা বাড়ান।
০ সপ্তাহে ১বার ওজন মাপুন, লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারছেন কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন।
তাসনুভা মেঘ
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, মার্চ ০৯, ২০১০
Leave a Reply