নাক কান ও গলা শরীরের এই তিনটি অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি হতে পারে। সাধারণ হাঁচি-সর্দি থেকে শুরু করে গলার ক্যান্সার সবই রয়েছে এই তালিকায়। স্বল্পপরিসরে সেইসব রোগের কয়েকটি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হল। টনসিলের ইনফেকশন: সবচেয়ে পরিচিত এই টনসিলের সমস্যা। এটি মূলত শিশুদের সমস্যা। বড়দেরও হয়। টনসিলের সমস্যায় গলাব্যথা, খেতে গেলে ব্যথা, সামান্য জ্বর ইত্যাদি থাকে। প্রথমত ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। বারবার হতে থাকলে সম্যক জটিলতা ও কষ্টের কথা বিবেচনা করে টনসিল অপারেশন করিয়ে নিতে হয়। সারা পৃথিবীতে শিশুদের যত অপারেশন হয় তারমধ্যে টনসিল অপারেশনের অবস্থান সবার শীর্ষে। এডিনয়েড বড় হওয়া: এটি শিশুদের রোগ। নাকের ছিদ্রের পিছন দিকে যে অঞ্চলটি রয়েছে সেখানে এই এডিনয়েড নামক লসিকা গ্রন্থির অবস্থান। এটি অনেক সময় বড় হয়ে নাক আংশিক বন্ধ করে দেয়ে ফলে নাক দিয়ে অধিকাংশ সময়েই সর্দি ঝরে। কানের সাথে নাকের পিছনের অংশের যোগাযোগরক্ষাকারী টিউবটির মুখও আংশিকভাবে বন্ধ থাকে। ফলে কানও বন্ধ থাকে। কানের মধ্যে পানির মত তরল জমে কান ব্যথা করে। এডিনয়েড বড় হলে শিশু মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। ঘুমের মধ্যে শ্বাসবন্ধ হয়ে জেগে ওঠে। রোগীর চেহোরা ক্রমশ হাবাগোবা হয়ে পড়ে। অনেক অভিভাবকই এ সমস্যাটির ফলে সৃষ্ট ক্ষতি অনুধাবন করেন না। ফলে শিশুর অনেক ক্ষতি হয়। অপারেশনই হচ্ছে এর একমাত্র চিকিৎসা। ভোকাল কর্ডে পলিপ: এটি শ্বাসতন্ত্রের অনর্-গত সমস্যা। গলায় স্বর তৈরির স্থানটি হচ্ছে ল্যারিংস। সেখানেই থাকে ভোকাল কর্ড। কর্ড দুটির কাঁপুনিতেই সৃষ্টি হয় শব্দ। ভোকাল কর্ড বেশি ব্যবহৃত হলে এবং ল্যারিংসে ইনফেকশন হলে গলার স্বর ভেঙ্গে যায়। স্বরভঙ্গের প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে ৭-১০দিন কথা বলা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করে দেয়া। স্বরের পরিমিত বিশ্রামের অভাবে গলা ভাঙ্গলে ভোকাল কর্ডে দানার মতো দেখা দেয়। যাকে বলা হয় ভোকাল কর্ড। স্বর ব্যবহারকারী যেমন- সঙ্গীত শিল্পী , শিক্ষক এদের ভোকালকর্ডে পলিপ বেশি দেখা দেয়। পলিপ হলে চিকিৎসা অপারেশন। গলায় ক্যান্সার: এ ক্ষেত্রে ল্যারিংসের ক্যান্সারকেই বোঝানো হয়েছে। খাদ্যনালীর ক্যান্সারকেও গলায় ক্যান্সার বলা যেতে পারে। ল্যারিংসের ক্যান্সার বলতে শ্বাসতন্ত্রের যেখানে থেকে স্বর তৈরি হয় সে অঞ্চলের ক্যান্সারকে বোঝায়। আর খাদ্যনালীর ক্যান্সার বলতে বোঝায় খাদ্যনালীর উপরের অংশের ক্যান্সারকে বোঝানো হয়। ল্যারিংসের ক্যান্সার হলে তাই গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে যায়, সমস্যা তীব্র হয়ে শ্বাসনালী বন্ধ করার উপক্রম হলে শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। অন্যদিকে খাদ্যনালীর ক্যান্সারের সমস্যা শুরু হয় গলায় ব্যথা ও খেতে অসুবিধা হওয়ার মধ্য দিয়ে। সমস্যা তীব্র হলে খাদ্যনালী বন্ধের উপক্রম হলে রোগী কিছুই খেতে পারে না। অবস্থাভেদে এর চিকিৎসা- অপারেশন, রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি।
০ ডা. সজল আশফাক
সহযোগী অধ্যাপক, নাক কান গলা বিভাগ হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। চেম্বার: ইনসাফ ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, ১২৯ নিউ ইস্কাটন, ঢাকা।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০১০
স্যার সালাম নিবেন,আমার বয়স ৩০ আমি ২ মাস যাবৎ গলার সমস্যাতে ভুগতেছি ।আমার গলার দুই সাইডে ব্যাথা হয় এবং ঢোক গেলার সময় একটা আওয়াজ হয় এবং আমার কান ও নাক মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায়,আমার গলার আওয়াজ নরমাল এবং খেতে কোন সমস্যা হয়না ।আমি ডাক্টারকে দেখানোর পর ডাক্টার এন্টিবায়োটিকের সাথে পেরাসিটামল,ও চুসে খাওয়ার ট্যাবলেট দেন এবং একটি গলার এক্সরে করান ।এক্সরের রিপোর্ট নরমাল ।আমার সমস্যা না সারাতে আমি আবার ডাক্টারের কাছে গেলে তিনি দেখা পর বলেন কোন সমস্যা নাই ।স্যার দয়াকরে বলেন আমার সমস্যা কি হতে পারে এবং আমি কি করতে পারি এখন ।বিদ্রঃআমার এলার্জির সমস্যা আছে ।
ঠাণ্ডা-গরম যাতে না লাগে, সেদিকে নজর দেবেন। ঠাণ্ডা কাশির মত ব্যাপার যেন না হয়।
শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত কিছু না কিছু ব্যায়াম করুন।
স্যার আমার গত এক সপ্তাহে আগে কাশি ছিল এবং কাশির সাথে কফ আসে।পরে চারদিন পরে আমার জ্বিবা ও মাড়ি খলস ওঠে যায়।তার দুইদিন পরে টনসিলে দুপাশে থেকে কন্ঠনালী পর্যন্ত খুসখুসে লাগে,গলার ভেতরে ফুলায়,মাঝে মাঝে মাথা ও কানে ব্যাথা হয়,গাড়ে ব্যাথা হয়। এখন কি করা
স্যার আমার গত এক সপ্তাহে আগে কাশি ছিল এবং কাশির সাথে কফ আসে।পরে চারদিন পরে আমার জ্বিবা ও মাড়ি খলস ওঠে যায়।তার দুইদিন পরে টনসিলে দুপাশে থেকে কন্ঠনালী পর্যন্ত খুসখুসে লাগে,গলার ভেতরে ফুলায়,মাঝে মাঝে মাথা ও কানে ব্যাথা হয়,গাড়ে ব্যাথা হয়। খাওয়ার সময়ে সমস্যা নেই তবে সব সময় গলা মাঝারি ব্যা হয়
স্যার সালাম নিবেন,
মাঝে মাঝে আমার গলায় খাদ্য কনা আটকে থাকে যেটা থেকে পরবর্তীতে নিশ্বাসের সাথে খুব দুর্ঘন্ধ আসে, অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু এটার কোন সমাধান পাচ্ছি না। শুধু এই বিষয় টার জন্য কারো সামনে কথা বলতে লজ্জা করে
এখন আমি কি করব, দয়া করে বলবেন….
স্যার আমি বিগত ১ বছর দরে কষ্ট করতেছি।আমার আগে কোন সমস্যা ছিলনা।রবিবারে রাতরে কিছুরি পাক করছিল।কিছুরে চুলার কাছ থেকে আনার পর আমি চামিছ দিয়ে একটা টেমোটু খেয়েছিলাম রান্না ঘর থেকে আনার পর পরে।টেমুটু মুখে দেওয়ার পর গলায় আটকে যায়।আমার কাছে একটাই গরম লাগছিল যে জায়গায় আটকে ছিল।না নিতে পারি ভিতরে,না আনতে পারি বাহিরে।পরে টেমোটু টান্টা হয়ে ভিতরে যায়।তার পর থেকে সাথে সাথে ব্যাথ্যা শুরু করে।আমার মনে হইছিল জায়গাটা পুড়ে গেছে।পড়ে দিন ব্যাতার ওষুদ আনি।কমছে।পড়ে ডাক্তারে কাছে গেছি কোন কিছু হচ্চেনা।এখন প্রচুর সমস্যা করে।রক্ত আসে।ব্যথ্যা করে,টন টন করে।চুলকায়।জ্বর আসে।গলায় কাশ লেগে তাকে সব সময়।
এখন প্রচুর কষ্ট হয়।তা নিয়ে সমস্যা আছি।।আগে অনেক রক্ত যেত,এখন মাযে মাযে যায়।
কিছু বুঝতে পারতেছিনা
সালাম নিবেন স্যার। আমার সমস্যাটা প্রায় ২০ দিন যাবত। গলায় প্রথমে ব্যাথা হলো তারপর আবার দিন দিন লক্ষ্য করলাম ঢোক গিললে গলায় কি যেন লাগে আর সারাক্ষন গলায় কিছু একটা আছে মনে হয়, তার সাথে ঘাড়ে ব্যাথা আছে। এন্টিবায়োটিক খাচ্ছি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মত কিন্তু কমছে না। আমি ভয়ে আছি এটা কিনা ভয়াভহ কোনো কিছু হয়!! কি করতে পারি স্যার?
খুব সম্ভবত ঠাণ্ডা লেগে হয়েছে। ভয়াবহ কিছু না।
sir kno medicine er name bolea dilea valo hoy aktu
আমার রাকিব, বয়স 32, আজ ২ মাস যাবত আমার গলার বাম পাশের ভিতরে খোচা খোচা লাগছে, এটা সাধারনত গাড় একপাশ করলে অনুভব করি। আর হাতের আঙ্গুল দিয়ে গলায় ভিতর দেখলে কিছু একটা মাংসপিন্ড় আছে মনে হয় কিন্তু কোন ব্যাথা বা খাবার গ্রহনে সমস্যা করছে না। কিন্তু টেনশন হচ্চে কি করনিয়
স্যার,
আমার গলায় বেশ কিছুদিন ধরে সমস্যা গলা ব্যাথা,খুসখুস করে,গাঁ হয়েছে মনে হয়, মাঝে মাঝে মনে হয় ভিতরে চুলকানো অনুভব করি।খুবই অসস্তিকর লাগে, এর প্রতিকার কি প্লিজ যদি বলতেন।প্রাথমিক চিকিৎসা ও নিয়েছি, বায়োডিন নামক লিকুইড ঔষধ কুমকুম গরম পানি দিয়ে গড়গড় করছি,সাথে এন্টিবায়োটিক থিজা নামের ঔষধ খেয়েছি,কোন উপকার হয়নি।
আমার গলার সমস্যা প্রায় এক মাসের বেশি। আমার মনে হয় গলায় সব সময় কিছু একটা আটকে আছে এবং খাবার গিলতে কষ্ট হয়। খাওয়ার পর শ্বাস নিতে কষ্ট হয় আর ঢোক গিলতে ও কষ্ট হয়।এজন্য আমি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছি । তিনি একটা এক্সরে করেন এবং কিছু মেডিসিন দেন।সেটা খাওয়ার পর ও সমস্যার সমাধান হয়নি।আমি খুবই চিন্তিত। এখন আমি কি করতে পারি??
সার সলাম নিবেন, আমার বয়স ৩০ বছর, এক বছর ধরে আমার গলায় সমাসসা, কথা বলার সময় কে যেন আমার গলা টিপে ধরে,আওয়াজ করতে পারিনা অনেক চিকিৎসা করেছি,কিনতু ভাল লাগছেনা(এন ডোস কপি করেছি) নারমাল আছে,সার এখন আমি কি করতে পারি।
সার আমার গলায় মে হয় কি আটকে আছে,কিচু গিলতে কষ্ট হয়,অনেকদিন থেকে, আমি বাহিরে থাকি,বয়স ২৭,সমস্যাটা কি
স্যার সালাম নিবেন। আমার আজ থেকে প্রায় ৫ মাস থেকে গলার চামরার নিচে একটা অসান্তি বিরাজ করতেছে, মাজে মাজে একটু ভার ভার লাগে। আবার কিছুক্ষণ কথা বললে মাজে মাজে গলার ভিতর এবং জিহ্বার বাম পাশ জ্বলে। সকাল বেলায় গলার ভিতর হালকা কফ জমা হয়ে থাকে। খুব টেনশনে আছি কি কারনে এমন হচ্ছে যদি বলতেন উপকৃত হতাম।ডাঃ এর পরামর্শ মতে টেবলেট ফিক্জ ১২০, পিউরোক্লাব ৫০০, রিবোসন টেবলেট খাইছি কিন্তু কমেনা
স্যার আমার গলায প্রায় ১সপ্তাহ যাবত খুব সমস্যায় পড়েছি ডোক গিলতে মনে হচ্ছে যেন কিছু আটকে আছে এবং উঠা নামা করতছে খুব অসস্থি হচ্ছে। এর সমাধান কি?