এখন অনেক দেশেই স্ত্রী-পুরুষনির্বিশেষে হূদরোগ প্রধান ঘাতক রোগ হয়েদাঁড়াচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও এ রোগের প্রকোপ ক্রমেই বাড়ছে। নারীদের মধ্যেহূদরোগ বাড়ছে। এ জন্যনারীদের মধ্যে হূদরোগ প্রতিরোধের উদ্যোগ বেশি দেখা দিচ্ছে দেশে দেশে।
প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো হার্টঅ্যাটাক। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সতর্কসংকেত সম্পর্কে জানা। হূদরোগ প্রতিরোধে অন্যতম প্রধান ভূমিকা রয়েছেখাদ্যবিধিরও। হূদরোগ প্রতিরোধেপুষ্টি-কৌশলগুলো হলো:
নুন খাবেন কম কম: দিনে নুন খেতে পারেন ২৩০০ মিলিগ্রামের কম। কারও যদি এরই মধ্যেউচ্চরক্তচাপ থেকে থাকে, তাহলেতাঁকে দিনে ১৫০০ মিলিগ্রাম পরিমাণনুন বা এর চেয়ে কম গ্রহণকরা উচিত।
মন্দ চর্বিযত কম খাবেন তত ভালো: খাদ্যে সম্পৃক্ত চর্বি মোট ক্যালরির সাত শতাংশের চেয়েও কম থাকা উচিত। দিনে ১৫-২০ গ্রামেরও কম। ট্যান্সফ্যাট থাকা উচিত এক শতাংশেরও কম। ট্যান্সফ্যাট একেবারে না খেলে আরও ভালো। সম্পৃক্ত চর্বি ও ট্যান্সফ্যাট হলো মন্দ চর্বি। চর্বিযুক্ত গোশত, চর্বিবহুলদুগ্ধজাত খাদ্য(ঘি, মাখন, দুধ), পাম কার্নেলতেল, নারকেলতেলআমাদের খাদ্যেঅনেক কমে গেলেও এখন ভাজা খাবার, ফাস্টফুড, ক্র্যাকারস, ডোনাট, কেক, পেস্ট্রি, মিঠাইয়ের রমরমা বাজার।
খাদ্যে যত কম কোলেস্টেরল থাকে তত ভালো: দিনে ৩০০ মিলিগ্রামের চেয়েকম কোলেস্টেরলযেন থাকে খাদ্যে। ডিমের কুসুম, চিংড়ি, গলদা চিংড়ি, এর মগজ, কলিজা এসব পরিহার করতে হবে। কম করে খাবেন এসব খাবার। দিনে ডিমের একটি কুসুমের বেশি নয়। দিনে দু-তিনটি ডিম খাওয়া মোটেও ঠিক নয়।
খাবেন বেশি বেশি দ্রবণীয়আঁশ: খাবেন বেশি মটরশুঁটি, শিমের বিচি, বিনস, ওটমিল (জইচূর্ণ), ফল, শাকসবজি।
অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরীর কলম থেকে
পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, বারডেম হাসপাতাল
সাম্মানিক অধ্যাপক, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারী ০৩, ২০১০
Leave a Reply