দাঁতের স্বাস্থ্য
প্রতিদিন দু’বার করে দাঁত মাজা উচিত। রাতে খেয়েদেয়ে শোবার আগে একবার আর সকালে প্রাতঃরাশ খাবার পর আর একবার এই দু’বার দাঁত ব্রাশ করার সময় হাতের আঙ্গুল দিয়ে মাঢ়ি ম্যাসাজ করতে ভুলবেন না। মাঢ়ি ম্যাসাজ করলে আঙ্গুলের চাপে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ করেন। এটা একেবারেই করবেন না। রাতে শোবার আগে যখন দাঁত মাজেন তখনই মুখ পরিষ্কার হয়ে যায়। তাই সকালে উঠে দাঁত মাজা অযৌক্তিক। আসলে দাঁত ব্রাশ করার কারণ হলো দাঁতের মাঝে জমে থাকা খাবার খুটে বের করা। খাবার দাঁতের মাঝে জমে থাকলে, তা পচে এসিড হয়ে যায়। আর এই এসিড প্রকোপে দাঁত ক্ষয়ে গর্ত হয়ে যায়। একেই চলতি কথায় বলে দাঁতে পোকা লেগেছে। আসলে ওটা পোকা নয়। দাঁতের ঐ অংশে গর্ত হলে অংশটা কালো লাগে। এমন অবস্থা হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারি পরামর্শ নেবেন। দাঁতে গর্ত হলে সেটা একেবারে মাঢ়ির মধ্যে নার্ভ পর্যন্ত চলে যেতে থাকে। দাঁতে ব্যথা শুরু হয় তখনই। আর তখনই দাঁত তুলে ফেলে দিতে হয় কিন্তু অতোটা হবার আগেই সিল করে ফেলা উচিত। অনেকের ধারণা, দাঁতে পোকা লাগলে, তার পাশের দাঁতটাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ধারণা ভুল। বরং যে দাঁতের ক্যাভিটি বা পোকা হয় সেই দাঁতের ঠিক বিপরীত দিকের দাঁতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
দাঁত পরিষ্কার করণ
দাঁত মাজার সময় টুথ পেস্ট ব্যবহার করার তেমন কোনোও প্রয়োজন নেই। যদিও প্রায় সবাই বাজারে চলতি বিভিন্ন পেস্ট ব্যবহার করেন। আসলে পিপারমেন্ট এর ঝাঁঝালো গন্ধটা ভালো লাগে বলেই লোকে পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজে। কেবল ব্রাশ দিয়ে ঘষলেও যা ফল হয় পেস্ট দিয়ে মাজলেও একই ফল হয়। কিন্তু শুধু ব্রাশে ব্যথা লাগতে পারে। তাছাড়া পেস্ট দিলে মুখে একটা তরতাজা ভাব আসে। দাঁত ঘষার কায়দাটাই হলো আসল। সফ্ট মিডিয়াম ব্রাশ দিয়ে উপর নিচ করে দাঁত মাজবেন। আর দাঁতের উপরাংশটাও নিয়মিত মাজবেন যাতে খাবারের কণা বেরিয়ে আসতে পারে। খেয়াল রাখবেন ব্রাশ এর দাঁড়াগুলো যেনো মাঢ়িতে আঘাত না করে। কারণ মাঢ়িতে আঘাত লাগলে, মাঢ়ি দাঁতের গোড়া থেকে নেমে বা উঠে যায়, তাতে দাঁতের দৃঢ়ভাব নষ্ট হয়। তাছাড়া মাঢ়ি ও দাঁতের লাগোয়া অংশটায় যে এনামেল থাকে তাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এস.এম. নাজমুল হক
সান্তাহার চা-বাগান থেকে।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, জানুয়ারী ২৬, ২০১০
Leave a Reply