পাইলোসেবাসিয়াস ফলিকলের ক্রনিক অকার্যকারিতাকে ব্রণের প্রধান কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। ত্বকের সাধারণ অসুখের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ব্রণে আক্রান- রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক। এরপর মেছতা ও মুখের অন্যান্য দাগে আক্রান-দের অবস্থান রয়েছে। ব্রণ এবং মুখের দাগের চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করা সময় সাপেক্ষ বিধায় স্বল্প খরচে এই রোগগুলির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গেলে আক্রান-দের পক্ষে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া মোটেও অসম্ভব হবে না। এবং তাহারা হতাশা গ্রস্থ না হয়ে প্রয়োজনীয় সময় চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হতে পারবেন। জটিল আকার ধারণ করে নাই এমন ব্রণের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথমে একক ওষুধ হিসাবে বেনজাইল পারঅক্সাইড বাহ্যিক প্রয়োগে সুফল পাওয়া যায়। অপেক্ষাকৃত জটিল ব্রণে ইরিথ্রোমাইসিন লোশন, ক্লিন্ডামাইসিন লোশন, রেটিনিক এসিড ও বেনজাইলপার অক্সাইড এর মধ্যে কোন একটি ব্যবহার করা যায়। জটিল ব্রণে বাহ্যিক প্রয়োগের ওষুধের সাথে কিছু কিছু মুখে খাবার ওষুধ খেলে স্বল্প খরচে ভাল ফলাফল আশা করা যায়। এক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত ব্যবহুল ওষুধ ইরিথ্রোমাইসিন টেবলেট, মিনোসাইক্লিন, ক্লিন্ডামাইসিন এবং আইসোট্রেটইনওইন ও রয়েছে। ব্রণের জন্য বিশেষ ধরণের তৈলাক্ততা বিরোধী আমদানীকৃত সাবান পাওয়া যায়। মেছতা ও মুখের অন্যান্য দাগে বিভিন্ন লাইটেনিং এজেন্ট এবং ব্লিচিং এজেন্ট পাওয়া যায়। ব্লিচিং এজেন্ট শতকরা ৮০% ক্ষেত্রে কার্যকর। এক্ষেত্রে হাইড্রোকুইনন অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে পাওয়া যায়। মনে রাখা প্রয়োজন যে, মুখে যে কোন ওষুধ লাগানোর পূর্বে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অত্যাবশ্যক। ডা: এম এ রহমান, সিনিয়র কনসালটেন্ট সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল, ঢাকা।চেম্বার : ক্যাশ এন্ড কেরী ফার্মা, আরামবাগ, ঢাকা।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, জানুয়ারী ২৩, ২০১০
Leave a Reply