অস্টিওপোরোসিস কী?
অস্টিওপোরোসিস হলো হাড়ের একটা সমস্যা, যার ফলে হাড়ের ঘনত্ব ও গুণগত মানের পরিবর্তন হয় এবং এর জন্য সামান্য আঘাত বা কোনো কারণ ছাড়াই হাড় ভেঙ্গে যেতে পারে।
যদিও মায়ের গর্ভেই হাড়ের গঠন শুরু হয়ে যায়। তবে মানুষের হাড়ের গঠন পঁচিশ থেকে ত্রিশ বছরের মধ্যে পূর্ণতা লাভ করে। তারপর বিভিন্ন কারণে ক্ষয় হতে থাকে।
হাড়ক্ষয়ের নানা কারণ
আমাদের হাড়ের প্রতিনিয়ত বৃদ্ধিসাধন ও ক্ষয় হতে থাকে। যখন হাড়ের ক্ষয় হাড়ের বৃদ্ধির চেয়ে বেশি হয় তখনই হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়, তাছাড়া মহিলাদের মাসিক বন্ধের পর হরমোন ইস্ট্রোজেন কমে যাওয়ার জন্য হাড়ের ক্ষয় দ্রুত হতে থাকে। কিছু কিছু ওষুধের জন্য যেমন স্টেরয়েড অনেক দিন ধরে নিলে, পুরনো বা ক্রনিক কিডনি, থাইরয়েড বা প্যারা থাইরয়েড সমস্যার জন্যও হাড় ক্ষয় হয়।
হাড় ক্ষয়ের আরো কারণ
আরো অনেক কারণে হাড়ের ক্ষয় শুরু হতে পারে, যেমন-খাবারে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি’র অভাব, বদহজম, দীর্ঘদিন বিছানায় শুয়ে থাকা ইত্যাদি। মোট হাড়ের ঘনত্ব ও ক্ষয় আরো কিছু কারণের ওপর নির্ভর করে যেমন-বর্ণগত বা জাতিগত কারণ, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি, জীবনধারা, হরমোনের পরিবর্তন, মহিলাদের ক্ষেত্রে সন্তানের সংখ্যা এবং কত দিন শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো হয়েছে।
কোন হাড়গুলো সহজে ভাঙ্গে
আমাদের শরীর দু’ধরনের হাড় দিয়ে তৈরী, কমপ্যাক্ট বোন ও ট্রাবেকুলার বোন। কমপ্যাক্ট বোনে অনেক মিনারেল থাকে এবং খুব ঘন, আর ট্রাবেকুলার বোন একটু ফাঁকা ফাঁকা থাকে এবং এ ধরনের হাড়ই প্রথমে ক্ষয় হওয়া শুরু হয়। পিঠের মেরুদণ্ডের হাড়, হিপ বা কোমরের হাড়, হাতের শেষে কব্জির দিকের হাড়ে ট্রাবেকুলার বোন থাকে এবং এগুলো অস্টিওপোরোসিসের জন্য সহজে ভেঙ্গে যায়। অনেক সময় পিঠের মেরুদণ্ডের হাড়ে ক্ষয় হয়ে হয়ে খুব ব্যথা হয়।
অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা
অস্টিওপোরোসিসের বা হাড় ক্ষয়ের জন্য কোনো কোনো রোগীর সমস্যা প্রকাশ নাও পেতে পারে। কিছু কিছু রোগীর কোমর বা পিঠে ব্যথা হতে পারে। একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন পিঠে বা কোমরে অনেক অনেক কারণে ব্যথা হতে পারে। হাড়ক্ষয় তার মধ্যে একটা মাত্র কারণ। হাড়ক্ষয়ের জন্য সামান্য আঘাতে অথবা আঘাত ছাড়াই হাড় ভেঙ্গে যেতে পারে। অনেক সময় বয়স্ক মহিলা বাথরুমে পড়ে গিয়ে দেখা যায় হাতে কব্জির কাছের হাড় ভেঙ্গে যায় বা হিপের হাড় ভেঙ্গে যায়। একবার ভেঙ্গে গেলে এসব চিকিৎসা ব্যয়বহুল আর বেশ জটিল।
হাড়ের ঘনত্ব নির্ণয়ের উপায়
হাড়ের ঘনত্ব নির্ণয়ের জন্য বেশ কয়টি পদ্ধতি আছে। তবে এর মধ্যে আমাদের দেশে ডুয়াল এক্স-রে এবসরবশিওমেট্রি (DEXA) ও বোন-ডেনসিটোমেট্রির সুবিধা এখন কিছু হাসপাতালে আছে।
হাড়ক্ষয়ের প্রতিকারের উপায়
নিয়মিত চলাফেরা, ব্যায়াম, খাবারের মধ্যে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি থাকতে হবে। যাদের অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ক্ষয়ের রোগ ধরা পড়েছে তাদের যথেষ্ট পরিমাণে দুধ বা দুধজাতীয় খাবার, যেমন-ছানা, পনির খেতে হবে, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ডি খেতে হবে। ধূমপান করলে ছেড়ে দিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
ডা. আইরিন পারভীন আলম
গাইনী ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ
সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, ঢাকা।
অর্ণব
আমার ডান হাতের মধ্য দুটি আগুল এর গাঁট, ছোট বেলা থেকে ভীষণ মোটা,এবং কোন বাথা নেই। মাঝে মাঝে বন্ধুদের কাছে দেখাতে লজ্জা করে।
আমাকে কোন পরামর্ষ দিলে আমি ভীষণ খুসি হব।
Bangla Health
শারীরিক ব্যাপার নিয়ে লজ্জা পাওয়ার কিছু নাই। ভালো মানুষ হতে শারীরিক ব্যাপার কোন বাঁধা নয়।