রোগ জিজ্ঞাসা: খুলনা থেকে লিখেছেন লাকি।
বাচ্চার বয়স ৫ বছর। শীত আসলে প্রায়ই ঠান্ডা লাগে, জ্বর থাকে, কাঁশি হয়।
উত্তর: লাকি এ ধরণের সসম্যায় শীতকালে বেশীরভাগ শিশুই ভুগে থাকে। এটা কোন নতুন সমস্যা নয়। তবে যদি আপনার শিশুর জ্বর যদি ১০১ ডিগ্রী ফারেন হাইটের বেশী থাকে তবে প্যারাসিটামল সিরাপ দেবেন। খাওয়ার পর দেড়-চামচ থেকে ২ চামচ দেয়া যাবে। এছাড়া জ্বর কমাতে কোল্ড স্পঞ্জ বা ঠান্ডা পানিতে টাওয়াল ভিজিয়ে শরীর মুছে দিতে পারেন। জ্বরের সঙ্গে কাঁশি থাকলে যেকোন একটি এন্টি হিস্টামিন সিরাপ দিনে ২ বার ১ থেকে দেড় চামচ করে দিতে পারেন। জ্বরের সঙ্গে কাঁশি থাকলে এন্টিবায়োটিক দেয়া যেতে পারে। তবে এন্টিবায়োটিক দেয়ার আগে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। সাধারনত: চিকিৎসক শিশুর জন্য কোন হালকা মাত্রার এন্টিবায়োটিক দেবেন। কারণ অনেক ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক না দিলে শিশুর নিউমোনিয়া হতে পারে তাই কাঁশি, জ্বর বেশী থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অনেক সময় শিশুর জ্বর বেশী থাকলে প্যারাসিটামল সাপোজিটরী দিলে দ্রুত জ্বর কমতে সাহায্য করে। বাজারে বড় বড় ওষুধ কোম্পানীর প্যারাসিটামল সাপোজিটরী ১২৫, ২৫০ এবং ৫০০ মিলিগ্রাম মাত্রায় পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপোজিটরি ব্যবহার করতে পারেন। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যাথা, সর্দি, কাঁশি, খাবারে অরুচি ভাইরাল ফেভারের লক্ষণ। ভাইরাস জ্বর এমনিতেই ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। জ্বর হলেই শুরুতেই এন্টিবায়োটিক দেয়া উচিত নয়। অনেক সময় ভাইরাস জ্বর ও ইনফ্লেুয়েঞ্জার প্রায় একই রকম লক্ষণ থাকে। আর একটি কথা মনে রাখতে হবে বড়দের জ্বর-এর ক্ষেত্রেও একই ধরণের পরামর্শ অনুসরণ করতে হবে।
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ডিসেম্বর ১৫, ২০০৯
Leave a Reply