প্রকৃতিতে বসন্ত এলে তার প্রভাব পড়বে মনে; সাজগোজেও বটে। তবে ঘরের সজ্জায় যদি একটু বৈচিত্র্য আনা যায়, তবে তো ভালোই।
তবে সজ্জায় যে খুব আভিজাত্যের পরশ থাকতে হবে, তা কিন্তু নয়। দেশীয় ঘরানার কিছু মাটির জিনিস আর কাঁচা ফুলই আনতে পারে অনেক বেশি বৈচিত্র্য। সাজানোর জন্য থাকতে হবে তেমনি একটি সৃজনশীল মন।
রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের পরিচালক গুলশান নাসরিন চৌধুরী বলেন, অন্দরের প্রতিটি জায়গাতেই থাকা চাই দেশি আবেশ। মূল ফটকের পাশেই রাখা যেতে পারে মাটির পানিভরা বড় পাত্র। পানিতে রাখতে হবে কিছু ফুল আর ভেসে থাকে এমন মোমবাতি। এই পাত্রের পাশে বেতের আয়না রাখলে কিন্তু মন্দ হয় না। বসার ঘরে যেকোনো একটি কোনা নির্বাচন করতে হবে সাজানোর জন্য। যে কোনাটা নির্বাচন করা হচ্ছে, সেখানে লোহার কোনো শোপিসের মধ্যে মাটির পাত্রে হলুদ আর লাল রঙের ফুল রাখা যেতে পারে। আবার কেউ চাইলে নির্বাচিত কোনায় বড় ফুলদানিতে রাখতে পারেন নানা রঙের ফুল। বসার ঘরের সোফা যদি অপেক্ষাকৃত নিচু কিংবা ফ্লোর সেটিং কুশন হয়, তবে পাশে রাখা যেতে পারে লম্বা মাটির কোনো পাত্র। আর এই পাত্রের মধ্যে ছোট কোনো কাচের পাত্রে রাখা যেতে পারে মানিপ্ল্যান্ট।
এতে হলুদ আর লাল রঙের ফুলের সঙ্গে থাকবে সবুজের আবেশ।
খাবার ঘরে টেবিলের ওপর চাইলে মাটির পাত্রে কয়েকটি ফুল সাজিয়ে রাখা যায়। শোবার ঘরজুড়ে থাকুক স্নিগ্ধতা আর বর্ণিল সতেজতা। তাই বিছানার পাশে টেবিলে রাখতে পারেন কয়েক রঙের ফুল। গাঁদা ফুলের সঙ্গে লাল গোলাপ, ডালিয়া, গ্ল্যাডিওলাস, জারবেরা দিয়েও অন্দরমহল সাজানো যায়। কাঁচা ফুলের সঙ্গে কৃত্রিম ফুলের ব্যবহার অন্দরের সাজসজ্জার মধ্যে ভিন্নতা নিয়ে আসে—এমনটা বললেন ক্রিয়েটোর স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার রাশিদ খান। তিনি বলেন, কাগজ, শোলা বা কাপড়ের বর্ণিল সব ফুল দিয়ে ঘর সাজালে মন্দ লাগে না। তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যার পরে টেবিল ল্যাম্পের সঙ্গে হলুদ আর লাল কাপড় পেঁচিয়ে দিয়ে আলো জ্বাললে ঘর অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখায়। নানা ফুলের ব্যবহারে অন্দরের মনোরম সজ্জার সঙ্গে সঙ্গে বিছানার চাদর, জানালার পর্দা আর শতরঞ্জিও হতে পারে ফাল্গুনের রঙে রাঙা।
শারমিন নাহার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারী ০৮, ২০১০
Leave a Reply