ধৌতি (Dhauti):
‘হঠযোগ-প্রদীপিকা’ গ্রন্থের ২/১৪ স্তোত্রে বলা হয়েছে-
ধৌতিবস্তি স্তথা নেতিস্ত্রাটকং নৌলিকং থো।
কপালভাতিশ্চৈতানি ষট্কর্মাণি প্রচক্ষ্যতে।।
অর্থাৎ নাড়ী শোধনের জন্য ধৌতি, বস্তি, নেতি, নৌলিক, ত্রাটক ও কপালভাতি- এই ষষ্ঠকর্ম অভ্যাস করা উচিত।
যদিও প্রত্যেক যোগাসন অভ্যাসকারীকেই যে এই ষষ্ঠকর্ম করতেই হবে এমন কোন বিধান নেই, তবু যাদের দেহে মেদ ও শ্লেষ্মা অধিকমাত্রায় রয়েছে তাদের জন্য ষট্কর্ম অভ্যাস করা প্রয়োজন বলে যোগশাস্ত্রীরা বলে থাকেন। তবে আসন অভ্যাসকারী তাঁর নিজ প্রয়োজন অনুযায়ী উপরোক্ত ষট্কর্মের এক বা একাধিক বেছে নিয়ে যথানিয়মে অভ্যাস করলে আশানুরূপ ফল লাভ করতে পারেন।
উপরোক্ত ষট্কর্ম বা ধৌতিক্রিয়া অভ্যাসে বুকে ও পেটে সঞ্চিত দুষিত পদার্থ স্বাভাবিকভাবে নির্গত হয়ে যাওয়ায় বুক ও পেটে সহজে কোন রোগ আশ্রয় করতে পারে না। একান্তই পূর্বে কোন রোগ বাসা বেঁধে থাকলে এই ধৌতিক্রিয়া তা নিরাময় করতে সাহায্য করে। একই সাথে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে থাকে, যা প্রাণায়াম অভ্যাসে বিশেষ প্রয়োজন হয়।
এই ষট্কর্ম বা ধৌতিক্রিয়ার উল্লেখযোগ্যগুলো হলো- কপালভাতি, বাতসার, অগ্নিসার, বারিসার বা বমন ধৌতি, সহজ নেতিক্রিয়া বা নাসাপান, সহজ বস্তিক্রিয়া, ত্রাটক ইত্যাদি।
Leave a Reply