প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের মাছ অন্যতম। প্রোটিনের চাহিদা পূরণ ছাড়াও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের অভাবজনিত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধানে মাছ যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রোটিন সহজপাচ্য। মাংশের মত মাছ রক্তের কোলেস্টরল বৃদ্ধি করে না বরং মাছের তেলে থাকা ওমেগা-৩ রক্তের ক্ষতিকারক কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে। মাছের বিভিন্ন খনিজ পদার্থের মাধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়োডিন, লৌহ ইত্যাদি। মাছের কাঁটাতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। সেজন্য ছোট মাছ কাঁটাসহ চিবিয়ে খেলে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড় গঠনে সহায়তা করে। বাড়ন্ত শিশু, গর্ভাবস্থা, প্রসূতিমাত্রা এবং চল্লিশোর্ধ বয়সে ক্যালসিয়ামের চাহিদা অনেক বেশি যা নিয়মিত মাছ খেলে পূরণ হয়। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক গবেষণায় বলা হয়েছে তৈলাক্ত মাছ বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ অ্যাজমা প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী। এসব মাছের তেল বাতের ব্যথা, অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানীরা মাছের তেলের উপর আরো গবেষণা করে দেখেছেন যে এই তেলে থাকা ওমেগা-৩ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় ফলে হার্ট এটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও হ্রাস পায়। সুতরাং দেহের প্রোটিনের চাহিদা ছাড়াও রোগ প্রতিরোধে মাছ খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।
ডা. জ্যোৎস্না মাহবুব খান
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০০৯
Leave a Reply