বর্ষাকালে প্রকৃতি যেন নিজেকে রহস্যে আবৃত করে রাখে। হয়তো রোদ দেখে বাসা থেকে বের হলেন, খানিক বাদেই দেখা গেল বৃষ্টি ‘ক্ষণ অশ্রু, ক্ষণ হাসি পড়িতেছে রাশি রাশি’। বিষয়টা অনেকটাই রবীন্দ্রনাথের ‘বর্ষা যাপন’ কবিতার মতো। রোদ দেখে বাসা থেকে বেরিয়েছেন, কিন্তু একপশলা বৃষ্টি আপনাকে ভিজিয়ে দিতে পারে। আর বৃষ্টিতে ভেজা কাপড় গায়ে রাখলে আক্রমণ করতে পারে জ্বর, সর্দি ও কাশির মতো অসুখ। তাই সঙ্গে রাখতে পারেন বর্ষাতি আর গামবুট।
বাজারে এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ড, রং ও আকারের রেইনকোট পাওয়া যায়। ছোট শিশু সাবিতের পছন্দ কার্টুন আঁকা বর্ষাতি। শুধু ছোটদের জন্যই নয়, সব বয়সীর জন্যই বর্ষাতির সন্ধান মিলবে বাজারগুলোতে। সাধারণত ক্লাসিক, অ্যাটলাস, হোন্ডা ও প্লেবয় ব্র্যান্ডের বর্ষাতিগুলোই বেশি চলে এ দেশে। এগুলোর বেশির ভাগই চীন ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা। ছোট বাচ্চাদের প্লাস্টিকের বর্ষাতি পাওয়া যাবে ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। বড়দের বর্ষাতির দাম পড়বে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। তবে প্যারাসুট কাপড়ের ছোটদের বর্ষাতির দাম পড়বে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা আর বড়দের ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। অ্যাটলাস ব্রান্ডের ছোটদের বর্ষাতির দাম পড়বে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং বড়দের ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। যাঁরা সাইকেল বা মোটরসাইকেল চালান, তাঁদের জন্য পুরো শরীর আবৃত করা যায় এমন বর্ষাতিও পাওয়া যাবে। এর দাম পড়বে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। বায়তুল মোকাররম, গুলিস্তান, ফার্মগেট ও স্টেডিয়াম মার্কেটে সব ধরনের বর্ষাতি পাওয়া যায়।
বর্ষার আরেক সঙ্গী হলো গামবুট। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি ও রাস্তার ময়লা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। আর এই নোংরা পানি পায়ে লাগলে হতে পারে চুলকানি এবং ঘার মতো চর্মরোগ। তাই পায়ের সুরক্ষার কথা ভেবে ব্যবহার করতে পারেন গামবুট। বাজারে চীনা গামবুটের দাম পড়বে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আর থাইল্যান্ডের তৈরি গামবুটের দাম পড়বে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। পায়ের মাপ অনুযায়ী ফরমায়েশ দিয়েও গামবুট বানিয়ে নিতে পারেন আপনি। আর এর জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা। গামবুটের বিশাল সম্ভার রয়েছে ঢাকার পলওয়েল সুপার মার্কেট, ফার্মগেট, নিউমার্কেটসহ বেশ কিছু বাজারে। বর্ষণমুখর এই সময়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে এখন এই দুটো পণ্যই তো ভরসা।
শারমিন নাহার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ২০, ২০১০
Leave a Reply