প্রতি বছর কয়েক লাখ পুরুষ প্রস্রাবের ইনফেকশনে ভোগেন। যদিও পুরুষের প্রস্রাবের ইনফেকশনের ক্ষেত্রে এমন পর্যন্ত অল্প বয়স্ক ছেলেরা মহিলাদের তুলনায় পিছিয়ে আছে, তবু উপসর্গ দেকা দেয়া মাত্র চিকিৎসা করাতে হবে। মূত্রতন্ত্রের (কিডনি, কিডনি নালী, মূত্রথলি ও মূত্রনালী) ইনফেকশন খুব বিপজ্জনক হতে পারে- এমনকি জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।
মূত্রতন্ত্রের কাজ
মূত্রতন্ত্রের কাজ হলো শরীরের তরল বর্জ্য বের করে দিয়ে বিভিন্ন উপাদান ও লবণের স্বাস্থ্যকর সমতা বজায় রাখা এবং রক্তের লোহিত কণিকা তৈরিতে সাহায্যকারী হরমোন উৎপাদন করা। প্রস্রাবের প্রবাহ ইনফেকশনকে ধুয়ে বের করে দেয়ার মাধ্যমে। প্রোস্টেট গ্রন্থিও রস উৎপাদন করে, যা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে মন্থর করে।
প্রস্রাবের ইনফেকশনের কারণ
স্বাভাবিকভাবে প্রস্রাব জীবাণুমুক্ত থাক,ে তবে বিশেষ কিছু অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সচরাছর ই.কলাই নামক জীবাণু, যা অস্ত্রে বাস করে, তা মূত্রনালীতে ঢুকে ইনফেকশন বা সংক্রমণ ঘটায়। একে ইউরেথ্রাইটিস বা মূত্রনালীর প্রদাহ বলে। এই ইনফেখশন মুত্রথলিতে কিডনিতেও ছঢ়াতে পারে। একে বলে পাইলো নেফ্রাইটিস।
০ ক্ল্যামাইডিয়া এবং মাইক্রোপ্লাজমা নামক ক্ষুদ্র জীবাণু দুটো শারীরিক মিলন সংসর্গের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হতে পারে। যদি এমন ঘটে তাহলে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই ইনফেকশনের চিকিৎসা করতে হবে।
০ যেসব পুরুষের মূত্রপথে কোনো অস্বাভাবিক (যেমন কিডনিতে পাথর অথবা প্রোস্টেট বড় হওয়া) থাকে তাদের প্রস্রাবে ইনফেকশন হওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা থাকে।
০ যেসব পুরুষের মূত্রথলিতে ক্যাথেটার বা নল পরানো থাকে, তাদের ইনফেকশনের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
০ যেসব পুরুষের ডায়াবেটিস রয়েছে কিংবা এমন রোগ রয়েছে যার কারণে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাদের প্রস্রাবে ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
একটি মজার তথ্য:
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মহিলার স্বামীরা কনডোমের সাথে শুক্রনামক ফোম ব্যবহার করেন সেসব মহিলার জননাঙ্গতে ই.কলাই ব্যাকটেরিয়া থাকে।
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন এবং মূত্ররোগ বিশেষজ্ঞ। চেম্বার : কমপ্যাথ লিমিটেড, ১৩৬ এলিফ্যান্ট রোড (বাটা সিগনাল ও হাতিরপুল বাজারের সংযোগ সড়কের মাঝামাঝি) ঢাকা। ফোন : ০১৭১৬২৮৮৮৫৫।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, আগস্ট ০১, ২০০৯
Leave a Reply