১। দোকান থেকে সদ্য কেনা শাড়িটি আনার পর আপনিঃ
ক. গায়ে মেলে ধরে আয়নার সম্মুখে দাঁড়ান
খ. না দেখেই কাচিয়ে নিন
গ. পরার আগে ভালো করে ঝেড়ে না নিলে স্বস্তি পান না
২। রাস্তার ধারে চায়ের দোকানে চায়ের অর্ডার দেয়া হলেঃ
ক. কাপ কিংবা গ্লাসটিকে গরম পানিতে ধুয়ে তাতে চা খাবেন
খ. ময়লা ও ধুলোর ভয়ে পিছু হটবেন
গ. যা হবার তাই হবে, ভেবে খেয়ে নেবেন সবটুকু
৩। বাড়িসুদ্ধ জঞ্জাল সরাতে কিংবা ধুল ঝাড়তেঃ
ক. নিজের কাজ নিজেই করতে পছন্দ করেন
খ. নিজে কিংবা কাজের লোক দিয়ে করান, সুবিধানুযায়ী
গ. কাজের লোকটি করার পর আপনার অন্তত একটিবার করা চাই
৪। বাইরে থেকে এসে সেই পরিধেয় নিয়েইঃ
ক. বসার ঘর কিংবা ডাইনিংয়ের কফি খেতে দ্বিধা করেন না
খ. শোবার যেতে অস্বস্তি বোধ করেন
গ. প্রথমেই পাল্টে ফেলেন, না হলে স্বস্তি পান না।
৫। বসার ঘরের কার্পেট পর্দা, সোফা বা ডিভান কাভার কাচতে যখন দেনঃ
ক. যে কোনো বাইরের লোক এসে বিদায় নেয়ার পরপরই
খ. ময়লা হলে
গ. বাড়িতে কোনো উৎসবে লোক এলে কিংবা পারিবারিক গেটটুগেদার হলে, তারপর
৬. বাসন-কাসন কাজের লোক ধুয়ে দিলেও পরে আপনি নিজে তা করেন এই ভেবে যেঃ
ক. অহেতুক নোংরা আপনার দৃষ্টিগোচর
খ. ব্যবহার করতে অস্বস্তি বোধ করেন
গ. কখনো সখনো নোংরা পরিষ্কার হয় না, তাইঃ
স্কোর কার্ড
ক খ গ
১. ১৫ ০৫ ১০
২. ১০ ০৫ ১৫
৩. ১০ ১৫ ০৫
৪. ১৫ ১০ ০৫
৫. ০৫ ১৫ ১০
৬. ০৫ ১০ ১৫
৩০-৩৫
আপনার মতো লোককে বাতিকগ্রস্ত বললে বোধকরি ভুল বলা হবে না। পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা এক কথা আর তা নিয়ে হৈচৈ করা তো ভিন্ন বিষয়। এটি এক ধরনের মনের অসুখ ছাড়া কিছুই নয়। সবকিছুতেই যদি কাল্পনিক ধুলা-ময়লা দেখেন তাহলে জীবনের আনন্দ কোথায় পাবেন, ভেবে দেখুন।
৫১-৭০
আপনি ভালো-মন্দের সীমারেখায় দাঁড়িয়ে আছেন। মাঝে-সাঝেই আপনি বর্ডার লাইন ক্রস করে যান। বাতিক একবার ধরে গেলে মুশকিল। তাই সতর্ক হোন, এখনই।
৭১-৯০
পরিচ্ছন্নতার ভূত মশাই আপনার কাঁধে চাপতে পারেনি। একটু আধটু ধুলো-ময়লাকে আপনি পরোয়াই করেন না। কাজেই জীবনের সহস্র রূপ আর রঙের স্বাদ-গন্ধ নিতে আপনার কোনো অসুবিধা হয় না।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, জুন ১৫, ২০১০
Leave a Reply