গ্যাস্ট্রিক বা আলসার নামটির সাথে পরিচিত নন এমন লোক খুঁজে বের করা হয়তো খুব কঠিন হবে। সাধারণত লোকজন গ্যাস্ট্রিক বা আলসার বলতে যা বুঝিয়ে থাকেন আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলি পেপটিক আলসার।
পেপটিক আলসার যে শুধু মাত্র পাকস্থলীতেই হয়ে থাকে তা কিন্তু নয় বরং এটি পৌষ্ঠিক তন্ত্রের যেকোনো অংশেই হতে পারে। সাধারণত পৌষ্ঠিক তন্ত্রের যে যে অংশে পেপটিক আলসার দেখা যায় সে গুলো হচ্ছে-
০ অন্ননালীর নিচের প্রান্ত
০ পাকস্থলী
০ ডিওডেনামের বা ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অংশ এবং
০ পৌষ্ঠিক তন্ত্রের অপারেশনের পর যে অংশে জোড়া লাগানো হয় সে অংশে। পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় উন্নয়নশীল দেশ তথা আমাদের এ উপমহাদেশে এ রোগীর সংখ্যা খুবই বেশি। ধনীদের চেয়ে গরীব লোকদের মধ্যে এ রোগ বেশি দেখা দেয়। তবে নারী পুরুষ প্রায় সমানভাবে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
যে সব কারণে পেপটিক আলসার হতে পারে
০ বংশগত : কারো নিকটতম আত্মীয় স্বজন যেমন- মা, বাবা, চাচা, মামা, খালা, ফুফু যদি এ রোগে ভুগে থাকেন তবে তাদের পেপটিক আলসার হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। যাদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’ তাদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি।
০ রোগ-জীবাণু : হেলিকো বেক্টার পাইলোরি নামক এক প্রকার অণুজীব এ রোগের জন্য বহুলাংশে দায়ী।
০ ঔষধ : যে সমস্ত ঔষধ সেবনে পেপটিক আলসার হতে পারে তন্মধ্যে ব্যথানাশক ঔষধ বা ঘ ঝঅওউঝ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
০ ধূমপান : ধূমপায়ীদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি।
এছাড়াও কারো পৌষ্ঠিকতন্ত্র থেকে যদি বেশি পরিমাণে এসিড এবং প্রোটিন পরিপাককারী এক ধরনের এনজাইম বা পেপসিন নামে পরিচিত তা নিঃসৃত হতে থাকে এবং জন্মগতভাবেই পৌষ্ঠিকতন্ত্রের গঠনগত কাঠামো দুর্বল থাকে তাহলে ও পেপটিক আলসার হতে পারে।
তবে সাধারণত যে কথাটা প্রচলিত ভাজা-পোড়া কিংবা ঝাল জাতীয় খাবার খেলে পেপটিক আলসার হয় এর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ চিকিৎসা বিজ্ঞানে মেলেনি। তবে যারা নিয়মিত আহার গ্রহণ করেন না কিংবা দীর্ঘ সময় উপোস থাকে তাদের পেপটিক আলসার দেখা দিতে পারে।
উপসর্গ সমূহ
০ পেটে ব্যথা : সাধারণত পেটের উপরি ভাগের মাঝখানে বক্ষ পিঞ্জরের ঠিক নিচে পেটিক আলসারের ব্যথা অনুভব হয়। তবে কখনো কখনো ব্যথাটা পেছনের দিকেও যেতে পারে।
ক্ষুধার্ত থাকলে ব্যথা : এ জাতীয় রোগী ক্ষুধার্ত হলেই প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করে এবং খাবার খেলে সাথে সাথে ব্যথা কমে যায়।
০ রাতে ব্যথা : অনেক সময় রাতের বলা পেটে ব্যথার কারণে রোগী ঘুম থেকে জেগে উঠে কিছু খেলে ব্যথা কমে যায় এবং রোগী আবার ঘুমিয়ে পড়ে।
০ মাঝে মধ্যে ব্যথা : পেপটিক আলসারের ব্যথা সাধারণত সবসময় থাকে না, একাধারে ব্যথাটা কয়েক সপ্তাহ চলতে থাকে তারপর রোগী সম্পূর্ণরূপে ভাল হয়ে যায়, এ অবস্থা কয়েকমাস থাকে তারপর আবার কয়েক সপ্তাহ ধরে ঠিক আগের মতো ব্যথা অনুভব হয়।
০ ব্যথা কমে : পেপটিক আলসার ব্যথা সাধারণত দুধ, এন্টাসিড, খাবার খেলে কিংবা বমি করলে অথবা ঢেকুর তুললে কমে।
এ ছাড়াও পেপটিক আলসারের রোগীদের মধ্যে বুক জ্বালা, অরুচি, বমি বমি ভাব, ক্ষুধা মন্দা, কিংবা হঠাৎ করে রক্ত বমি অথবা পেটে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হতে পারে।
চিকিৎসা
০ শৃংখলা : পেপটিক আলসারে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই ধূমপান বন্ধ করতে হবে। ব্যথা নাশক ঔষধ অর্থাৎ এসপ্রিন জাতীয় ঔষধ সেবন থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে এবং নিয়মিত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
০ ঔষধ : পেপটিক আলসারের রোগীরা সাধারণত এন্টাসিড, রেনিটিডিন, ফেমোটিডিন, ওমিপ্রাজল, লেনসো প্রাজল, পেনটো প্রাজল জাতীয় ঔষধ সেবনে উপকৃত হন।
০ কারণভিত্তিক চিকিৎসা : জীবাণু জনিত কারণে যদি এ রোগ হয়ে থাকে তবে বিভিন্ন ঔষধের সমন্বয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয় যা ট্রিপল থেকে থেরাপি নামে পরিচিত।
০ অপারেশন : পেপটিক আলসারের ক্ষেত্রে অপারেশন সাধারণত জরুরি নয়। তবে দীর্ঘ মেয়াদী ঔষধ সেবনের পরও যদি রোগী ভাল না হন, কিছু খেলে যদি বমি হয়ে যায় অর্থাৎ পৌষ্ঠিক নালীর কোনো অংশ যদি সরু হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে অপারেশন করিয়ে রোগী উপকৃত হতে পারেন।
সময় মত পেপটিক আলসারের চিকিৎসা না করলে রোগীর নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। যেমন-
০ পাকস্থলী ফুটা হয়ে যেতে পারে
০ রক্ত বমি হতে পারে
০ কালো পায়খানা হতে পারে
০ রক্তশূন্যতা হতে পারে
০ ক্যান্সার হতে পারে (কদাচিং) এবং
০ পৌষ্টিক নালীর পথ সরু হয়ে যেতে পারে এবং রোগীর বার বার বমি হতে পারে।
কাজেই যারা দীর্ঘমেয়াদী পেপটিক আলসারে ভুগছেন তাদের উচিত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। পেপটিক আলসার জনিত জটিলতা আগে থেকেই শণাক্ত করা এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা নেয়া, প্রয়োজনে অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা ধরে না রেখে সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক জীবন যাপন করা।
০ অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক
লেখক : চেয়ারম্যান, কলোরেকটাল সার্জারি বিভাগ (অবঃ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। চেম্বার : জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল, ৫৫, সাত মসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা। ফোন : ০১৭১৫০৮৭৬৬১, ০১৭২৬৭০৩১১৬।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, জুলাই ২৫, ২০০৯
Ami kichu Din Jaboth Amasa Bhugchi.Dr. Dekhiachi. Se amake HORN500-5Din, NORMAXIN*-1Tab Daily,1 month,SOMPRAZ*40-1Tab Daily 1 month, Akhono Khacchi. Kintu Amasa Vab ta Komche na. Ki Korbo…..
আমাশয়ে কাঁচকলা খুব উপকারী। এটার ভর্তা বা তরকারী রান্না করে খেতে পারেন।
আরো ভালো হয় যদি রেগুলার ভোর বেলা বাসি পেটে থানকুনী পাতার রস খেতে পারেন।
বাইরের খাবার বা তেলেভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলেন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করেন।
হাঁটা, দৌড় সহ ফ্রি হ্যাণ্ড ব্যায়াম করেন।
স্যার মুরছালিন বা ঢেকি গাছ এটা নাকি গ্যাস্টিক আলসার এর ঔষধ আমি যার কাছ থেকে কিনলাম সে বললো এটা সিলেটে চাষ হয়। ৮ দিনের জন্য দিয়েছে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে পানি খেতে হবে। আমি জানতে চাই এটা কি আসলেই কাজ করে?
এ ব্যাপারে আমাদের কাছে সঠিক তথ্য নেই।
আলসারের চিকিৎসা আছে। আপনি একজন ডাক্তার দেখিয়ে নিতে পারেন।
আমি সাত বছর আগ থেকেই নিয়মিত ওরাডাক্সন ঔষধ খেয়ে মোটা হয়।প্রায় নিয়মিতভাবে ঔষধ খায়।এখন আমি তিনবছর ধরে ঔষধ খায়না।আমার ওজন ৫০কেজি থেকে ৫৬কেজি গিয়েছিল।বর্তমানে আমার ওজন ৫২ কেজি।আমার প্রায় সময় বমি বমি ভাব হত ভাত খাওয়ার কোন রুচি থাকতনা।তারপর আমি এন্ডসকপি করে নিশ্চত হয় যে আমার গ্যাষ্টিক আলসার আছে।এখন যদি আমি নিয়মিত ঔষধ না খায় এ সমস্যা দেখা দেয় আমি এখন কি করব।
আপনি আলসারের চিকিৎসা নিচ্ছেন? নিয়ে থাকলে ডাক্তারের কথা মত চলতে থাকুন।
খিদা না লাগা বা রুচি না থাকা- এসব মানসিক ব্যাপার। শরীর একটা যন্ত্রের মত। একটা নির্দিষ্ট সময় পরে একে ঠিকই খাবার দিতে হবে। নইলে শরীর খারাপ হবে এবং সেই সাথে আরো নানাবিধ শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হবে। তখন মনও খারাপ হবে। কিছুই করতে ইচ্ছে হবে না।
এখন আপনার খাওয়া-দাওয়া আর ঘুম ঠিক রাখতে হবে। ৩ ঘন্টা পর পর ঘড়ি ধরে ধরে অল্প অল্প করে খাবেন। আর রাতে একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাবেন। এতে ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে আসবে। যখন বুঝবেন শরীর ভালো লাগছে, তখন খাওয়া বাড়াবেন এবং ব্যায়াম করবেন। এতে ওজন বাড়বে।
আমার বয়স ২০. ইদানিং সার্বক্ষনিক বুক জ্বলে এবং খাবার খেলে আরো বেরে যায়।এনার্জি ড্রিংস ছাড়া অন্য কোন বদাভ্যাস নাই। কি ঔষধ খেতে পারি জানালে কৃতঙ্গ থাকব
এনার্জি ড্রিংস খুবই বাজে ব্যাপার। অবশ্যই বাদ দেবেন
ঝাল-টক-মসলাজাতীয় খাবার বাদ দেবেন। ভোর বেলা দৌড়াবেন। একবারে বেশি বেশি খাবেন না। অল্প অল্প করে খাবেন। প্রচুর পানি পান করবেন। এতেই ঠিক হয়ে যাবে। ঔষধ লাগবে না।
আমার বতর্মানে খিদা আছে কিন্তু খেতে বসলে আর মন চায়না । জোর ক রে মুখে দিলে ঢুকতে চায় না। মুখ থে কে বের হয়ে আ সে । বুমি বুমি ভাব আ সে। এ জন্য আমি ৩ মাস আগে এনডক্ কপি করিেছ । সেখানে আমার আলসার ধরাপরে । ডাক্তার আমাকে ১৪ দিনের এন্টিবেটক দিছে তা খেয়েছি। এখন আমার প্রচুর খিদা সত্তে আ মি খাবার খেতে পারি না। সকালে ব্রাশ কর লে বুমি বুমি ভাব আ সে। ডাক্তার আমাকে এইচ.বি.এস এ জি পরীক্ষা দিছে স্ েটাতে আমার নে গে টিভ আস ছে। এখন স্যার আ মি কি কর বো ।
রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করলে সকালে আবার ব্রাশ না করলেও চলে। শুধু পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে খেয়ে নিয়ে তারপর ব্রাশ করতে পারেন। নিয়মিত ঘড়ি ধরে ধরে খাওয়া আর ঘুমই এখন আপনার সবচেয়ে বড় ঔষধ। অল্প অল্প করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন যা ভাল লাগে বা যা খেতে ইচ্ছে হয়।
রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করলে সকালে আবার ব্রাশ না করলেও চলে। শুধু পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে খেয়ে নিয়ে তারপর ব্রাশ করতে পারেন। নিয়মিত ঘড়ি ধরে ধরে খাওয়া আর ঘুমই এখন আপনার সবচেয়ে বড় ঔষধ। অল্প অল্প করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন যা ভাল লাগে বা যা খেতে ইচ্ছে হয়।
জুয়েল—
স্যার আপনার উত্তর পরলাম। এখন আ মি প্র তি দি ন সেেন্ড লিন ২০ এম.জি সকা লে এবং রাতে খাচ্ছি। কিন্তু এই আলসার থেকে কি করলে রেহাই পাব। বা কি করলে আলসার আমার বতর্মানে যে অবস্থা তা স রে যাবে । আ মি পুনরায় সুস্থ্য জীবন ফি রে পাব।
আপনি ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ খান, তাহলেই এটা সেরে যাবে। ৯৯% আলসার ঔষধেই সেরে যায়।
এর পর নিজের লাইফস্টাইল ভালো রাখার চেষ্টা করবেন।ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাওয়া যাবে না। খাওয়া দাওয়া নিয়মমতো ও সময়মতো করতে হবে। এইটা খুব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। অতিরিক্ত ঝাল,মসলা ও চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। খাবার পরপরই শুয়ে পড়া উচিৎ নয়। ওজন যাতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এসব মেনে চললে আর হবে না।
আমার সব সময় বমি বমি লাগে। মাঝে মাঝে একধমই খেতে পারি না, বমি আসতে চায়।৫মাস ধরে এই সমস্যা চলতেছে, সকালে ব্রাশ করতে গেলে বমি আসতে চায় । মাঝে মাঝে বমি হয়। এন্ডোস্কপি করিয়েছি , সাধারন গ্যাস্টিক ধরা পরেছে।বেশির ভাগ সময়ই পায়খানা নরম হয় এবং আম যায়।ডাক্তারের পরামর্শে ৩মাস ঔষধ খাওয়ার পরও সমস্যা সমাধান হচ্ছে না । এইচ.বি.এস.এজি নেগিটিভ আছে।দীর্ঘ মেয়াদি সমস্যার কারনে এখন মানসিক টেনসান হয়। কিভাবে আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারি ? দয়া করে উত্তর দিন।
খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো করাটাই এখন আপনার বড় ঔষধ। রাতে ব্লাশ করবেন। তাহলে সকালে না করেও খেতে পারবেন। অল্প অল্প করে খাবেন। মন ভালো রাখবেন। তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
স্যার আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ । নিয়ম মাফিক চললেও কি এই সমস্যা দীর্ঘ দিন থাকতে পারে ? ডাক্তার আমাকে কোলনস্কপি করতে বলেছে ।এখন আমি কি করতে পারি, দয়া করে একটু খোলে বলবেন স্যার ?
আগে পরীক্ষা করে দেখুন রেজাল্ট কি আসে। সেই মোতাবেক চিকিৎসা করানো উচিত হবে। নিয়ম মাফিক চললে অধিংকাংশ সমস্যা থেকে এড়িয়ে চলা যায়।
Amar problem holo ami kisu khawar por bus a utle first a amer body gorom hoy tar por bomi ase. Ar jodi kisu na khai tahole problem or bomi asena. Ami almost 10 year jabot tablet or khali pete theke bus a travel korsi. As a result amer gastric hoise. Ami doctor dekhaise but amer kono progress hoy na. Tahole ami sober moto bus a travel korte parbona?
আপনার শারীরিক অবস্থা কেমন?
একেবারে না খেয়ে থাকা ঠিক নয়। অল্প অল্প খেতে পারেন। তবে আপাতত ভ্রমণের আগে ঝাল, মসলা জাতীয় খাবার খাবেন না। খাওয়ার পর বা ভ্রমণের সময় মাঝে মাঝে একটু আদা বা লবঙ্গ মুখে দিয়ে রাখতে পারেন। পারলে খোলা জায়গায় বসবেন যেখানে অনেক বাতাস পাওয়া যায়। চোখ বন্ধ রাখবেন, নইলে অনেক দূরে তাকিয়ে থাকবেন। এতে বমি ভাব কম হবে।
শারীরিক ফিটনেস ঠিক থাকলে এই সমস্যা একেবারে কমে যাবে।
স্যার আমার সমস্যাটা প্রায় চার বৎসর যাবত। কিছু খেলে পেটের নিম্নাংশে গুড়গুরি আওয়াজ করে । শরিরের তাপমাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যায়। শরীর জ্বালাপুড়া করে । এছাড়াও একটা ঝিমুনী ভাব বিষন্নতার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থাটা সপ্তাহে ২ – ৩ দিন থাকে। আবার ভালো হয় আবার উঠে এভাবে চলতেছে। পায়খানা মাঝেমধ্যে আমাশয়ের মত হয় বা পাতলা আবার কালো পায়খানা আবার কোষ্ঠকাঠিন্ন । কখনোই পায়খানার বেগ অনুভূত হয়না । এজন্য হামদদ৲ এর ট্যাবঃ পেচিশ সিরাপ মারবেলাস ৩ মাস খেয়েছি কিন্তু কইছু হয়নি আর ট্যাব সিপ্রো ৫০০। ডমপেরিডন সেকলো জাতীয় ঔষধগুলো । কিন্তু অবাক হওয়ার বিষয় হল ঔষধ খেলে সমস্যা আরো বাড়ে তাই এখন কিছুই খাচ্ছিনা আমার বয়স ২৩ ।উচ্ছতা ৫’৫”
ওজন ৫০ কেজি। পুরুষ। স্যার আপনার পরামর্শের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
প্রতিদিন ভোর বেলা উঠে পানি বাদে কিছু খেয়ে দৌড়াবেন।
পেট ভরে খাবার খাবেন না। অল্প অল্প করে ঘনঘন খাবেন। শাকসবজি, ফলমূল বেশি খাবেন। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলবেন। ঝাল, মসলা, তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলবেন।
কিছুদিন দৌড়ানোর পর এই সমস্যাগুলো দূর হবে। তখন না দৌড়িয়ে জিমে গিয়ে বা ওয়েট নিয়ে ব্যায়াম করবেন। খাওয়া বাড়াবেন। ওজন আরো ১০ কেজি বাড়ানোর দিকে নজর দেবেন।
Amer age 26, hight 5.7 inch, Weight 57 kg, komor 32 inch. Amer fat barate hobe? amer health last 5-6 year same ase komeo na barew na. Ami everyday multivitamin khai but amer health is same.
শুধু ফ্যাট বাড়াবেন কেন?
উচ্চতা অনুসারে ওজন আরো বাড়াতে পারেন কেজি দশেক। জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন। এতে ফ্যাট কম হবে, পেশি বেশি বাড়বে।
আপনার উচ্চতা আর বাড়বে না।
স্যার আমার বয়স ২৩ বছর আমার োজন বতর্মানে ৪৩ কেজি. । এক বছর আগে আমার োজর ছিল ৪৪ । আমার বতর্মানে গ্যাষ্টিক আলসার সমস্যা ধরাপরছিল। ডাক্তারের পরামশর্ অনুযায়ী আমি োষধ খেয়েছি । এখন প্রতিদিন সকাল এবং রাতে খাোয়ার আগে জেল ডিন ২০ এম.জি খাচ্ছি। আমার বতর্মানে খিদা আছে কিন্তু খেতে বসলে আর মন চায়না । জোর ক রে মুখে দিলে ঢুকতে চায় না। মুখ থে কে বের হয়ে আ সে। আজ অ নেক দিন হল, আ মি এ খন কি করব । সাধারন জীবন ফি রে কিভাবে পাব ।
অল্প অল্প করে ঘনঘন খাবেন। অল্প খাবার নিয়ে বসবেন। শেষ করবেন। আপাতত কিছুদিন দৌড়ান। এতে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কম হবে, বুকজ্বলা কম হবে। খাওয়ার একটু আগে একটা আমলকি খেতে পারেন, এতে ক্ষুধা বাড়বে। আর খাওয়ার পর একটু আদা বা লবঙ্গ। এতে খাওয়ার পর বুকজ্বলা হবে না। তখন খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
স্যার আমার মা আজ অনেক দিন ধরে গ্যাস্টিক সমস্যায় আছেন। তার কোন খিদা লাগেনা। পেটে সারাক্ষন গ্যাস জমে থাকে। পেট ভড়া থাকে। পায়খানা কষা। সে জোড় করে খাচ্ছে। তার পর এনডঙ্ কপি করার পর তার পেটে গ্যাস জমে ধরা পরেছে। এখন স্যার পেট জালাপড়া করে। স্যার সে নিয়মিত গ্যাষ্টিক ঔষধ খাচ্ছে। তার বয়স: ৩৮ বছর। সে এখন খাওয়া দাওয়া করতে পারে না। খিদা ও লাগে না। স্যার আমার মা’র সুস্থ জীবন কিভাবে পাবে।
উনাকে নিয়মিত জোরে জোরে হাঁটতে বলবেন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট। আর খাবার খুব অল্প অল্প করে ২/৩ ঘন্টা পর পর খেতে বলবেন। শাকসবজি, ফলমূল বেশি খেতে হবে। প্রচুর পানি পান করতে বলবেন।
আমার বয়স; ২৩ বছর, আমার উচ্চতা : ৫ ফিট ৫ ইঞ্চি, আমার ওজন ৪৩ কেজি, আমার বর্তমানের গ্যাষ্টিক আলসার টেষ্টে ধরাপড়েছে। আমি কি করে আলসার থেকে মুক্ত হতে পারি এবং কি করে আমার স্বাস্থ্য বাড়াতে পারি।
আলসারের ধরন বুঝে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা নিবেন।
সব ঠিক রাখতে কখনোই খালি পেটে বেশিক্ষণ থাকবেন না। একটু একটু পর পর খাবেন। নিয়মিত ব্যায়াম করবেন।
খুবই চমৎকার ব্লগ আপনার মঙ্গল কামনা করছি , আমার বয়স ৪৮ ছোট বেলায় গ্যাষ্টিক ছিল তবে এখন নেই , কিন্তু মাঝে মধ্যে সুটকি বা ডাল জাতীয় খাদ্য খেলে বুক জলে , কি করতে পারি ?
এতে ঝাল বা মসলা কমিয়ে দিন।
নিয়মিত হাঁটাচলা করবেন। তাতে বুক জ্বলা কমে যাবে। ততদিন বুকজ্বলা চলতে থাকলে খাওয়ার পর একটু আদা বা লবঙ্গ চিবুতে পারেন।
ধন্যবাদ , আমার এক বন্ধু ২২ বৎসর যাবৎ গ্যাষ্টিক আলসারে ভুগছেন , ডায়বেটিস ও আছে ১৬০-২০০, নিয়মিত ওষুধ ও সেবন করেন,কিন্তু এর পরও বুকের নীছে কামডায় এবং মাঝে মধ্য অসহ্য জালা করে কি করতে পারে , আপানার পরামশ কামনা করি ,
নিয়মিত ব্যায়াম করতে বলুন।
আমার কয়েক দিন ধরে খেলেও
পেট খালি খালি লাগে পায়খানা
ধরেনা আগে কিছু খেলেই পেট
বারবার লাগত আর এখন এমন টি হয়না আমার খুব ভয় হচ্ছে
কেনো এমন হচ্ছে
কয়েকদিন ধরে কি শারীরিক পরিশ্রম বেশি করছেন?
আর কী কী খাচ্ছেন?
পানি আর সবুজ শাক-সবজি বেশি করে খাবেন।
আমি সবসময় গ্যাস্ট্রিক এর ওষুধ
খাচ্ছি আর সাথেdeleta, anfree,omidon,, মাঝেমাঝে খাই আর প্রস্রাব এ ইনফেকশন ছিলো হাত পা ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া ডিম দুধ খাবার পরে পেটে
এই সমস্যা টা হচ্ছে খেলেও পেট
খালি লাগা এবং নাভিতে মাঝেমধ্যে হালার গূটির মত পেছ
দিয়ে রাখা মুখ আটা আটা লাগা জিহব্বা সাদা হয়ে যাওয়া পেটে জ্বর অনুভব করা মুখ তিতা শরিলে প্রেসার না থাকা মাথার খারাপ চিন্তা অস্থিরতা ভাব মরে যাবো লাগে হাত পা ঝিনঝিন
খাওয়ার আগে একটি আমলকি আর খাওয়ার পরে একটু আদা খাবেন। প্রতিদিন একটু শারীরিক পরিশ্রম করবেন–খেলাধূলা, সাঁতার, দ্রুত হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো। বেশি করে পানি এবং সবুজ শাকসবজি খাবেন। বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকবেন না। ২/৩ ঘণ্টা পর পর অল্প অল্প করে খাবেন। ভাজাপোড়া, মসলাযুক্ত খাবার, বাইরের খাবার–এগুলা এড়িয়ে চলবেন।
খারাপ চিন্তা কম করবেন। মন সতেজ ও উৎফুল্ল রাখার চেষ্টা করবেন। আর অবশ্যই নেশা করবেন না, রাত জাগবেন না। এগুলা গ্যাস্ট্রিকের অবস্থা আরো খারাপ করে দেয়।
কিছুদিনের মধ্যে উন্নতি না দেখতে পেলে ডাক্তার দেখাবেন।
আচ্ছা স্যার মাঝেমাঝে ঘারের
রগ অস্বাভাবিক ভাবে ফালফারা কেন কেমন শব্দ হয় অতিরিক্ত হাটাহাটি করলেও,, মাথা ঝিমঝিম
বা ঘুরা এর কারন কি দুচ্চিন্তা থেকে ডাক্তারখানা গেলে ঘুমের জন্য zolax, anfree,, mervan, ইত্যাদি দেয়,,আসলে কি আমি একজন মানসিক রোগী স্যার ওষুধ জীবনে অনেক খেয়েছি
বয়স মাত্র২৫ এই বয়সে এতো খারাপ লাগলে কি করবো মনের ভিতর অনেক ভয়,, মনে হয় যেন আমার ভিতরে বড় ধরনের অসুখ হয়েছে আমি আর বাঁঁচবো না সারাখন শরিলের দিকে তাকিয়ে
থাকি প্রস্রাব হলুদ হয় কেন বুকে ব্যাথা হয় কেন মনে হয় আমার হাটের সমস্যা ইত্যাদি নানা রকম
খারাপ লাগে আমাকে ভালো একটা বুদ্ধি দেন স্যার আমাকে বাঁচান স্যার আমি চাই মেডিসিন ছারা ভালো থাকতে এতো গ্যাস পেটে মনে হয় যে ন আলসার হয়েছে বুকে চাপ অনুভব শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি আরো অনেক অনেক কিছু
লাগে আল্লাহ্ দোহাই লাগে আমাকে একটি সঠিক বুদ্ধি দেন স্যার আমি চির কৃতজ্ঞ থাকিব।।
বুদ্ধি হলো–প্রচুর পানি আর সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। সেই সাথে পুষ্টিকর খাবার–ডিম দুধ মাছ মাংস দই– ২/৩ ঘন্টা পর পর অল্প অল্প করে খাবেন। ক্ষুধা না লাগলে খাওয়ার আগে একটা আমলকি খেতে পারেন। খাওয়ার পরে বুকজ্বালা করলে আদা খাবেন একটু। ভাজাপোড়া-অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাবেন। আর নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। পারলে সকালে উঠে কিছুক্ষণ দৌড়ে আসতে পারেন। রাত জাগা চলবে না। সব কিছু টাইম মতো করতে হবে। কিছুদিন এভাবে দেখেন উন্নতি হয় কি না।
সার আমার ৫, ৬ দিন থাকে খাতে গালে শুধু বমি বমি ভাব হই,,,খিদা লাগাএ কিন্তুু খেতে পারি না,,,,,আমি কি করব,,,???
গ্যাসের জন্য হচ্ছে কি না সেটা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। খাওয়ার আগে-পরে একটু আদা চিবিয়ে দেখতে পারেন। আর নিয়মিত একটু শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করলে ভালো হয়।
amar nam abdulla al bijoy age 20.onek din dhore amar buker thik majhkane pain kore…. majhe majhe buk jala pora kore r tok dhekur uthe…..dr.dekhalam oni sono kore report dilen…. huge gass shadow is seen. . but ata akhono shompurno vabe sharce na….. kindly valo akti consult jodi diten?
আমার মাঝে মাঝে বুকে ব্যথা অনুভুত হয়।পায়খানার চাপ লাগলে বুঝা যায়না।বরং পেট খুব জ্বালাপোড়া করে।পায়খানা কখনো কালো কখনো পাতলা কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।খাওয়ার রুচি নেই।ওজন কমে গেছে ৮/৯ কেজি।মাথা ঝিমঝিম করে ঘুরে।চোখ অন্ধকার হয়ে যায় হঠাৎ উঠলে বা বসলে।খাওয়ার পর শরীর অবশ হয়ে আসে।আবার মিষ্টি জাতীয় কিছু খেলে ঠিক হয়ে যায়।ঘুম কখনো বেশি কখনো হয় ই না।প্রসাব ঘন গাড় হলুদ এবং অল্প। চুল পরে যায় গোড়া থেকে ভীষণ।
বয়স ২২
উচ্চতা ৫”১’
ওজন ৪৬
আমার আবুর ৩ মাস জাবত যে কনো কিছু খেলে বমি করে আরও নালায় আমাকে বলবেন কি কথায় নিয়ে জাবো। এবং কি করণ এবং কি করবো। বুঝতে পারছি না যশোরের অনেক দেক লাম। কিছু লাব হয়ে নি
দয়াকরে বলেন, আমার অনেকদিন ধরে, পাতলা পায়খানা, এ্যান্ডোসকপি করে, ডিওডেনাল আলসার ধরা পড়েছিল, ডিসেম্বর এর ২০১৮ সাল, আলসার খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না, ২-৩ ইঞ্চি,হইতে পারে, এর পর ডাক্তার টিমোটর,মুড অন,ইমোটিল দিছিলো, ২-৩ মাস খাওয়ার পরেও কমেনি, এর পর জুলাই ৩,২০১৯ এ, পিজি হাসপাতালের ডাক্তার, এম.এ. ওহাব, কে দেখাই, উনি পাইলোট্রিপ দিছিলো,১৪ দিনের, খাওয়ার ২-৩ দিন পরে, পাতলা পায়খানা,প্রায় ভাল হয়ে গেছিলো,কিন্তু পাইলোট্রিপ ১৪ দিন,শেষ হওয়ার, ২ দিন পর থেকেই আবারও পাতলা পায়খানা শুরু হয়েছে, এখন অনেক বেশি, ৬-৭ বার পাতলা পায়খানা হচ্ছে,
আমি কি আবারও পাইলোট্রিপ খাইতে পারবো, দয়া করে জানিয়েন,,
ওজন কমে গেছে,বদ হজম হয়, পেট ব্যাথা করে,ম্যাক্স প্রো,সেকলো খেয়েও কমছে না,
বিদ্রঃঃ একটা কারনে আর ডাক্তারে র কাছে যেতে পারি নাই, যদি দয়া করে কোন প্রতিকার বলতেন,?
আর পাইলোট্রিপ কি আরও খেতে পারবো,
আমার খাওয়ার সময় নিয়মিত বমির ভাব আসে। একদম খেতে পারিনা। প্রায় ৩/৪বছর ধরেই সমস্যা। ডাক্তারের পরামর্শে আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ইউরিন টেস্ট, স্টুল রুটিন টেস্ট, লিভার ফাংশন টেস্ট করিয়েছি। কোন সমস্যা পাওয়া যায়নি। কিন্তু মাঝে মাঝে সকালে খালি পেটে আমার প্রস্রাব হলুদ হয়। যখন প্রস্রাব হলুদ হয়। তখন বমির ভাব টা বেশি থাকে। যখন বমি ভাব থাকে তখন পেটে এবং মাথায় একটু অশান্তি অনুভব হয় । জন্ডিসের চিকিৎসা করিয়েছি।
নিয়মিত গ্যাষ্টিকের ঔষধ খাচ্ছি। বমির জন্য ডমপিরিডন এর বিভিন্ন ঔষধ অনেকদিন ধরে খেয়েছি। ঔষধ খাওয়ার সময়ও বমির ভাব কমতো না।
সকালবেলা এবং রাতে খাওয়ার সময় বমির ভাব বেশি থাকে।
বমির ভাব থেকে বাঁচতে হলে কি করতে হবে?
আমার বয়স ২১ বছর
ওজন ৫৮ কেজি
আমার মায়ের বয়স ৫২ বছর। ১০ বছর যাবত খুব বেশী আলসারের সম্যাসায় ভোগছেন।অনেক চিকিৎসক দেখানো হয়েছে। তাদের দেওয়া ঔষধ সেবন করে কিছুটা সুস্থ ও হয়েছেন। এখন সম্যসাটা আবার খুব বেড়ে গেছে। স্থায়ী কোন চিকিৎসা আছে যা করলে ওনি একবারে সুস্থ হয়ে যাবেন?