সব ফলের চেয়ে পাকা আমে ভিটামিন ‘এ’ বেশি থাকে বলে আমকে ভিটামিন ‘এ’-এর রাজা বলে। আমের ভিটামিন ‘এ’ খেলে দেহের ভেতর দ্বিগুণ ভিটামিন ‘এ’ সৃষ্টি হয়। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ ৫০ গ্রাম কাঁচা ও পাকা আম খেলে যথাক্রমে দৈনিক ভিটামিন ‘সি’ ও ভিটামিন ‘এ’ অভাব পূরণ হয়। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানও অন্যান্য ফলের চেয়ে কিছু বেশি আছে। ভিটামিন ‘এ’ রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। পাকা আমের রস ল্যাকজেটিভ, রোচক ও টনিক বা বলকারকের কাজ করে। আম যকৃতের জন্য উপকারী। কাঁচা আমের রস জ্বর ও সর্দি সারায়। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী পাকা ও কাঁচা আমের পুষ্টিমান যথাক্রমে প্রোটিন ১ ও ০.৭ গ্রাম, শর্করা ২০ ও ১০ গ্রাম, চর্বি ০.৭ ও ১ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.৪ ও ০.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৬ ও ১০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১.৩ ও ৫.৪ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন (ভিটামিন ‘এ’) ৮৩০০ ও ৯০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি১ ০.১ ও ০.০৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৪১ ও ৪৪ মিলিগ্রাম এবং খাদ্য শক্তি ৯০ ও ৪৪ কিলোক্যালরি। তবে এই পুষ্টিমান আমের জাত, উৎপাদনের স্থান ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ক্ষতিকর বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ আমে দিলে আমের রঙ উজ্জ্বল হলুদ বা লালচে হয় এবং অনেক দিন পঁচে না। এসব আম খেলে ক্যান্সার, বদহজম, যকৃতে সমস্যা পুষ্টি পরিশোষণে বাঁধা, প্রজনন সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য হতে পারে।
ফরহাদ আহাম্মেদ
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, জুলাই ১৮, ২০০৯
Leave a Reply