বেশিরভাগ লোকের ধারণা, গ্লুকোমার নিরাময় হলো বিভিন্ন ধরনের ওষুধ। এছাড়া আরেকটি রাস্তা হলো অপারেশন। ইতোমধ্যে চোখের ডাক্তাররা অনেক নতুন ধরনের চিকিৎসার কথা বলতে শুরু করেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে চারদিন ৩০ মিনিট করে হাঁটা গ্লুকোমা রোগ উপশমের ভাল একটা পন্থা।
নিউইয়র্ক শহরভিত্তিক গ্লুকোমা ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর রবার্ট রিচ এমডি চোখকে তুলনা করেন সিঙ্কের সঙ্গে। চোখ যখন ভাল থাকে তখন রক্ত সঞ্চালন থাকে স্বাভাবিক। আইরিশ ঠিকমতো পুষ্টি পায়। রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে চোখের তরল এর পেছনের চেম্বারে জমা হয়। সঞ্চিত তরল সম্মিলিতভাবে চোখের দুর্বল নার্ভে প্রচন্ড চাপ দেয়। অপটিক নার্ভ দর্শন অনুভূতি মস্তিষ্কে প্রেরণ করে। এ নার্ভ ছিড়ে গেলে নার্ভ মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় অনুভূতি পাঠাতে ব্যর্থ হয়। ফলাফল আংশিক বা পূর্ণ অন্ধত্ব। অপারেশন বা প্রেসক্রিপশন ড্রপ এখনো চক্ষুরোগ নিরাময়ের উপায়। নতুন গবেষণা বলে, এরাবিক ব্যায়াম রোগ উপশমের খুব ভাল উপায় হতে পারে।
ড. রিচ বলেন, ‘এরোবিক ব্যায়াম চোখের ওপর চাপ কমাতে পারে।’ তার রোগীরা টেনিস খেলে, হাঁটে কিংবা নিয়মিত সাঁতার কাটে। তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম বা খেলাধুলা চোখের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে পারে। এর ফলে চোখে প্রয়োজনীয় রক্ত সঞ্চালিত হয়।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, জুলাই ০৪, ২০০৯
Leave a Reply