ভাবুন তো একবার, সব সময়ের সঙ্গী মোবাইল ফোনটিতে যদি আপনার প্রিয় কবি বা সংগীতশিল্পীর ছবি কিংবা পছন্দের কোনো গ্রাফিক ডিজাইন থাকত? আপনার কাজের সঙ্গী ল্যাপটপটিতে যদি আপনার প্রিয় মানুষটি বা প্রিয় বন্ধুদের কিংবা প্রিয় কোনো চরিত্রের ছবি থাকত?
একবিংশ শতাব্দীতে আপনি এমনটা ভাবতেই পারেন। জীবনযাত্রার কেজো জিনিসগুলোতেও এখন লাগছে ফ্যাশনের ছোঁয়া। ফ্যাশনের এই ভিন্নতা আর গতি মাথায় রেখে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর থেকে আইডিয়া ম্যাক্স লিমিটেড কোম্পানি নিয়ে এসেছে ‘জি মাস্ক বিউটি র্যাপ’ পদ্ধতি।
প্রযুক্তিভিত্তিক এই স্কিন র্যাপ পদ্ধতি মূলত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপের ওপর করা হয় বলে জানান বাংলাদেশে জি মাস্কের হেড অব অপারেশন জিয়াউল আহসান। তিনি বলেন, স্কিন র্যাপ পদ্ধতিতে মোবাইল বা ল্যাপটপের সামনে ও পেছনে ডিজাইন করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পেছনেই নকশা করা হয়। তিনি জানান, বর্তমানে ৫০০টির বেশি নকশা নিয়ে ‘জি মাস্ক বিউটি র্যাপ’ কাজ করছে। এখন এই ফ্যাশন শুধু মোবাইল আর ল্যাপটপে নয়, পাশাপাশি ডিজিটাল ক্যামেরা, আইপড, পেনড্রাইভ, এমপিথ্রি প্লেয়ারেও প্রচলিত হয়ে উঠেছে। এর স্থায়িত্ব সাধারণত তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। পছন্দসই নকশা ১৫ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে যন্ত্রে করিয়ে নেওয়া যাবে। জি মাস্কের আরেকটি বিশেষ সেবা ক্রিস্টাল সার্ভিস। অর্থাৎ আপনি আপনার যন্ত্র র্যাপ করার পাশাপাশি সৌন্দর্য বাড়াতে ক্রিস্টাল লাগাতে পারেন।
আপনার মোবাইল বা ল্যাপটপে কিংবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রীতে জি মাস্ক দিয়ে র্যাপ করলে দেখতে তো ভালো লাগবেই, পাশাপাশি ঘাম, ধুলোবালি ও আঁচড় থেকে সুরক্ষিত থাকবে। এই র্যাপ যেকোনো সময় তুলে ফেলা যায় এবং তুলে ফেলার পর কোনো দাগ থাকে না বলে জানান জিয়াউল আহসান। তিনি আরও জানান, কেউ ইচ্ছে করলে নিজে নকশা করে দিলে জি মাস্ক তা যন্ত্রে করে দেবে। জি মাস্ক বিশেষভাবে তৈরি খুব পাতলা একধরনের ভিনাইল ফিল্ম ব্যবহার করে থাকে। এতে মনে হয় যন্ত্রটিই এভাবে তৈরি হয়েছে। এমন নকশা করতে খরচ পড়বে ৬০০-৮০০ টাকা। যন্ত্রের রং ও নকশাভেদে খরচের তারতম্য হয়। আপনার ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন ডিজাইন। এই সুযোগ পাবেন ঢাকার বসুন্ধরা সিটির লেভেল ১ ও লেভেল ৮, বনানী আওয়াল সেন্টার (২য় তলা), ধানমন্ডি রাইফেলস স্কয়ার (৩য় তলা) ও চট্টগ্রাম শাহপুরী টাওয়ারে।
ফারহানা জামান
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ২২, ২০১০
Leave a Reply