সকালের যে ৭ অভ্যাসে কমবে ওজন
ওজন কমাতে কত কীই-না করছে মানুষ। আমূল বদলে ফেলছে খাওয়ার অভ্যাস। কখনো পুরো জীবনযাত্রাই। তবে ছোট্ট কিছু অভ্যাস বদলালেই এ ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। সকালের তেমনই সাতটি অভ্যাসের কথা থাকছে এই আয়োজনে।
নাশতায় উচ্চমাত্রায় প্রোটিন
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি হলো ওজন কমাতে সকালের নাশতায় বাড়িয়ে দিতে পারেন প্রোটিনের মাত্রা। কারণ, প্রোটিন ক্ষুধার হরমোন নির্গত হওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেবে। ক্ষুধা অনুভূত না হওয়ায় জাগবে না এটা-সেটা খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। সে জন্য নাশতায় রাখতে পারেন ডিম, টক দই, পনির বা চিজ, বাদাম ইত্যাদি।
বেশি বেশি পানি পান
নাশতার পাশাপাশি সকালে পানি পানের পরিমাণও বাড়িয়ে দিন। সকালটা শুরু করুন কয়েক গ্লাস পানি দিয়ে। তাহলে বেশি পরিশ্রম করতে পারবেন। ফলে ক্যালরি খরচ হবে বেশি। যথেষ্ট পানি পান আপনার অতিরিক্ত খাওয়ার চাহিদাও কমিয়ে দেবে।
নিয়মিত ওজন মাপুন
কোনো বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য নিজেকে বারবার মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি। সে জন্য প্রতিদিন সকালে ওজন মাপতে পারেন। তাতে ওজন কমাতে মানসিকভাবে উদ্বুদ্ধ হবেন। মনে রাখবেন, সকালে ওজন মাপবেন প্রাতঃকর্ম সারার পর, কোনো কিছু খাওয়ার আগে।
সূর্যস্নানে শুচি হোন
সকাল সকাল গায়ে রোদ মাখুন। হতে পারে তা ঘরে সূর্যালোক প্রবেশ করতে দিয়ে বা নিজে ঘর থেকে বের হয়েও। সূর্যালোকের ভিটামিন ডি ও অতি বেগুনি রশ্মি, দুটিই ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে কতখানি রোদ মাখবেন, তা আপনার ত্বকের প্রকৃতি, কোন মৌসুমে কোন জায়গায় রোদ মাখছেন, এসবের ওপর নির্ভর করবে।
হাঁটাহাঁটি ও শরীরচর্চা
হাঁটা কিংবা ব্যায়াম দিনের যেকোনো সময় করা যায়। তবে সেরা সময় সকালবেলা। এই সময়ের শরীরচর্চা সারা দিন আপনার রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
দুপুরের খাবার গুছিয়ে নিন
সকাল সকাল ঠিক করে ফেলুন দুপুরে কী খাবেন। কর্মজীবী হলে সকাল সকাল রেঁধে ফেলুন। কিংবা রাতের কিছু সময় বরাদ্দ করুন, যাতে সকালে চটজলদি লাঞ্চবক্সে ভরে নিতে পারেন। ওজন কমাতে বাইরের খাবার পরিত্যাগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাতে খাবারের পরিমাণ ও উপকরণ, দুটিই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
পর্যাপ্ত ঘুম
সকাল সকাল উঠতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান। নিশ্চিত করুন, ঘুম যেন কম না হয়। কারণ, ঘুম কম হলে আপনার ক্ষুধার অনুভূতি বাড়িয়ে দেবে। বিশেষ করে আকর্ষণ তৈরি হবে উচ্চমাত্রায় কার্বন ও ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবারের প্রতি। তাই চেষ্টা করুন দিনে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর।
নাবীল আল জাহান
সোর্স : প্রথম আলো
Leave a Reply